জন্ম তারিখ: ১৪ অক্টোবর, ২০০৭
শহীদ হওয়ার তারিখ: ৫ আগস্ট, ২০২৪
বিভাগ: ঢাকা_সিটি
পেশা: ছাত্র, শ্রেণি: ১০ম, গেন্ডারিয়া আদর্শ একাডেমি, বিভাগ: বিজ্ঞান শাহাদাতের স্থান :নিমতলি, ৯ নং নবাব কাটার গলি, চানখারপুল, ঢাকা
“আমি যদি বেঁচে না ফিরি, তবে গর্বিত হইয়ো। জীবনে প্রতিটি ভুলের জন্য ক্ষমা চাই।- আনাস শহীদ পরিচিতি ৫ আগস্ট গেন্ডারিয়ার বাসা থেকে গোপনে বেরিয়ে চানখাঁরপুলে আন্দোলনে যোগ দেন দশম শ্রেণির ছাত্র আনাস। সেখানে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান তিনি। আনাস বাসা থেকে গোপনে বের হওয়ার সময় তার স্কুলের খাতায় বাবা-মায়ের উদ্দেশ্যে একটি চিঠি লিখে আসে। চিঠিতে তিনি বলেন, “আমি যদি বেঁচে না ফিরি, তবে গর্বিত হইয়ো। জীবনে প্রতিটি ভুলের জন্য ক্ষমা চাই।” শাহরিয়ার খান আনাস তার জীবনে এমন একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, যা তার জীবন এবং দেশের ইতিহাসের গতিপথকে চিরতরে বদলে দিয়েছিল। যখন পুরো দেশ বিপর্যয়ের মুখে দাঁড়িয়ে ছিল, যখন চারপাশে ছিল রক্তের বন্যা আর মৃত্যু, তখন এমন অনেকেই ছিল যারা তাদের ঘর থেকেও বের হতে ভয় পাচ্ছিল এবং অধিকার আদায়ের জন্য কথা বলার সাহস পাচ্ছিলো না। কিন্তু আনাস, একজন স্কুল ছাত্র হয়েও, সামনে থাকা বিপদের কথা ভাবেননি। তিনি ভাবছিলেন ভবিষ্যতের কথা, ন্যায়বিচারের কথা, স্বাধীনতার কথা। তিনি হয়তো কেবল একজন কিশোর ছিলেন, কিন্তু তার হৃদয়ে বহন করছিলেন সেই বিপ্লব যা তার দেশের একান্ত প্রয়োজন ছিল। যেভাবে শহীদ হলেন শেখ হাসিনা তার ২০০৮ থেকে ২০২৪ সালের স্বৈরাচারী শাসনে অসংখ্য পরিবারকে কাঁদিয়েছে। নিজের ক্ষমতাকে পাকাপোক্ত করতে অত্যন্ত নির্দয়ভাবে হত্যা করেছে নিষ্পাপ শিশু, কিশোর, নারী, পুরুষসহ অধিকার আদায়রতদের। শেখ হাসিনার নির্দেশে দশম শ্রেণির ছাত্র আনাসকে তার পোষা পুলিশ নির্মমভাবে হত্যা করে। কোটা সংস্কার আন্দোলনে যুক্ত হওয়ার আগে আনাস তার বাবা-মায়ের উদ্দেশ্যে একটি চিঠি লিখে রেখে যান। বাবা-মায়ের উদ্দেশ্যে লেখা আনাসের আবেগ মিশ্রিত চিঠি পড়ে হাজার হাজার মানুষ কেঁদেছে। আনাস যেভাবে শহীদ হয়েছে, তার বর্ণনা শুনলেও একইভাবে সকলের হৃদয় ব্যথিত হবে। তাকে যেভাবে নির্মমভাবে খুন করেছে খুনি হাসিনার ঘৃণিত পুলিশ বাহিনী, তা কখনো যুদ্ধ ক্ষেত্রেও দেখা যায় না। যা মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন! কোটা সংস্কার আন্দোলন শুরু থেকে আনাসকে গভীরভাবে ভাবাতো। কিন্তু বাবা-মায়ের সাথে তা কখনো শেয়ার করতেন না। মৃত্যুর পরে তার বাবা আনাসের পড়ার টেবিলে সবগুলো খাতা উল্টাতে গিয়ে দেখেন, একটা খাতায় ৭-৮ পৃষ্ঠা ধরে কোটা সংস্কার নিয়ে আনাস তার চিন্তাভাবনা লিখে রেখেছেন। যেটা থেকে বুঝা যায়, কোটা সংস্কার নিয়ে ছাত্রদের বিভিন্ন পদক্ষেপগুলো শুরু থেকে গভীরভাবে খেলা করতো তার মনে। আন্দোলনে যখন ব্যাপকতা বাড়ে। নির্বিচারে শিক্ষার্থীদের উপর গণহত্যা চালায় পুলিশলীগ, তখন আনাসের বাবা-মায়ের আগ্রহ তৈরি হয় ছাত্রদের পক্ষে। এরপর আনাসের মা এবং আনাস বাসা থেকে বের হয়ে আন্দোলনে যোগ দেয়ার পরিকল্পনা করেন। কিন্তু প্রতিদিনই তার বাবা বলতেন, ’ আজকে না, আরেক দিন। তোরা আজকে বের হইছ না, পরিস্থিতি ভালো হবে না আজকে’ এভাবে না করতে করতে মা-ছেলে একসাথে আর আন্দোলনে যাওয়া হয় না। এরমধ্যে আনাস ভেতরে ভেতরে প্রস্তুতি নিতে থাকেন তিনি একাই বের হয়ে যাবেন। জুলাই মাসজুড়ে মার খেতে খেতে অবশেষে ৪ আগস্ট ছাত্র-জনতা প্রতিরোধ শুরু করে। এদিন লং মার্চের ডাক দেওয়া হয়। তখন আনাস আন্দোলনে যুক্ত হতে ৫ আগস্টের দিনকে বেছে নেন। ৪ আগস্ট রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে আনাস চুপিচুপি স্কুল ব্যাগের ভেতর কিছু জামা-কাপড় ঢুকিয়ে নেন। সাথে ঘরের ওষুধের কৌটা থেকে জ্বর-ব্যথা এসবের কিছু ওষুধ রাখেন। পরদিন সকাল আনুমানিক ৯ টার দিকে বাবা-মায়ের চোখ ফাঁকি দিয়ে স্কুল ব্যাগটা নিয়ে বের হয়ে যান। ঘর থেকে বের হওয়ার আগে বাবা-মায়ের উদ্দেশ্যে আবেগ-মিশ্রিত একটা চিঠি লিখে যান, যেটা সামাজিক মাধ্যমে প্রচার হয়েছে। বাসা থেকে বের হয়ে আনাস চলে আসেন তাঁতিবাজার। আনাস কিছুটা সহজ সরল প্রকৃতির ছিলেন। তার মায়ের কথা অনুযায়ী, রাস্তাঘাটও তার খুব একটা জানা নাই। তাই সে আগেই তার প্রাইভেট টিউটর (জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থী) ভাইয়ের কাছে থেকে রোডম্যাপ জেনে রাখেন। এটা আনাসের মা পরে জানতে পেরেছেন। প্রাইভেট টিউটর ভাইয়া তাকে বলছিল, তাঁতিবাজার গেলে সেখানে আরও অনেকেই থাকবে তাদের সাথে চাঁনখারপুল গিয়ে যোগ দেবে। পরে তারা বকশিবাজার হয়ে হয়ে ঢাকা মেডিকেলের সামনে দিয়ে শহীদ মিনার এবং শাহবাগের দিকে যাবে। ঐখান থেকে দিকনির্দেশনা অনুযায়ী তারা গণভবন অভিমুখে যাত্রা শুরু করবে। আনাস তাঁতিবাজার আসলে কয়েকজনের দেখা পায় যারা চেষ্টা করছিল একসাথে সামনে এগোতে কিন্তু পুলিশের বাঁধায় সামনে যেতে পারছিল না। ওখানে আনাস একজনকে বলে, ”আপনারা আন্দোলনে যাচ্ছেন?” আনাস তার কথা খুলে বললে, ঐ ছাত্ররা তাকে সাথে রাখে। (সেদিনের বর্ণনা যাদের কাছ থেকে পেয়েছেন তার মা, তাদের মধ্যে এই দলের একজন রয়েছে।) শেষ পর্যন্ত তারা পুলিশের পাশ কাটিয়ে চাঁনখারপুলের দিকে যেতে সক্ষম হয়। বেলা বাড়ার সাথে সাথে ওখানে জমায়েত হতে থাকে ছাত্ররা। সেখানে আরেক ভাইয়ের সাথে পরিচয় ঘটে আনাসের। (উনার বর্ণনায় উঠে আসে আনাসের শহীদ হওয়ার আগ মুহূর্তের কাহিনি) ঐ ছাত্র আনাসকে বলে, ”তুমি ব্যাগ নিয়ে বের হইছো কেন? এত বড় ব্যাগ! কী আছে ভেতরে?” আনাস উত্তর দেয়, ”বাসায় ফিরলে আমার বাবা-মা বাসা থেকে আর বের হতে দিবে না। এজন্য কাপড় চোপড় নিয়ে বের হইছি। আন্দোলনে কোনো ভাইয়ের সাথে পরিচয় হলে তার বাসায় থেকে যাব। শেষ হওয়া পর্যন্ত আন্দোলনে যাব।” (এখানে শেষ হওয়া পর্যন্ত বলতে আনাস বোধ হয় শেখ হাসিনার পতন বুঝিয়েছে।) ঐ ভাইয়া কথায় মুগ্ধ হয়ে তাকে সাথে রাখে এবং আনাসের কাঁধ থেকে ব্যাগ নিয়ে নিজের কাছে নিয়ে রাখে। এর কিছুক্ষণের মধ্যে জমায়েত হওয়া ছাত্রদের লক্ষ করে পুলিশ টিয়ারগ্যাস ছুড়ে, কিন্তু ছাত্ররা পিছপা হয় না। এরপর বৃষ্টির মতো রাবার বুলেট ছুঁড়তে থাকে। একটা রাবার বুলেট আনাসের গায়েও লাগে। সবাই দিগি¦দিক শুন্য হয়ে আশপাশের গুলিতে ঢুকে। সে মুহূর্তে ঐ ব্যাগ নেয়া ছাত্রটি আনাসকে হারিয়ে ফেলে। আনাসরা কয়েকজন দৌঁড়ে নিমতলির ৯ নং নবাব কাটার গলির ভেতর ঢুকে পড়ে। একদম চিপা একটা গলি। পুলিশ ড্রোন পাঠিয়ে দেখে কয়েকজন অবস্থান করছে এ গলিতে। পুলিশের কয়েকজন আসে গলির ভেতর। ঐ অবস্থায় আশপাশের ছেলেরা বাসাবাড়ির গেইটের ফাঁক দিয়ে যে যেভাবে পারে আশ্রয় নেয়, কিন্তু আটকে পড়ে যান আনাস। জীবন বাঁচাতে সব বাসার গেইট আটকে দেয়া হয়, দোকানপাটের শাটারও সব বন্ধ। অসহায় আনাস একটা দোকানের শাটার ঘেঁষে কাঁপতে থাকেন। ঠিক ঐসময় পুলিশ ক্লোজরেঞ্জ থেকে গুলি চালায়। প্রথম গুলিটা দোকানের শাটারে লাগে, দ্বিতীয় গুলিটা তার বুকে লাগে। গুলির আঘাতের পর আনাস বুকে হাত দিয়ে কয়েক কদম আগাতে গিয়েই রাস্তায় লুটিয়ে পড়ে। (আনাস ঠিক যে অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়ছিল, ঐ দৃশ্যটা গলির দেয়ালে পরে গ্রাফিতি করেছিল এলাকাবাসী। আনাসের চিঠি ভাইরাল হলে, তার বাবা-মার খোঁজ পেয়ে জানানো হয় এই গ্রাফিতির কথা। পরবর্তীতে পুলিশ মেইন রোডে চলে গেলে আশপাশে বিভিন্ন বাসার গেইটের চিপায় আশ্রয় নেওয়া ছাত্ররা আনাসকে উদ্ধার করে নিয়ে যায় মিটফোর্ড হাসপাতালে। কিন্তু তার আগেই পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে পরপারে চলে যান আনাস। বিকৃত মস্তিস্কের অধিকারী খুনি শেখ হাসিনার পুলিশ এতো নির্মম হয়ে গিয়েছে যে, ভয়ে কাঁপতে থাকা একটি বালক ছেলেকে কাছে এসে গুলি করে হত্যা করে! আনাসের ব্যাগ কাঁধে থাকা ছাত্রটি আনাসকে খুঁজে ফেরে। এদিকে গুলিবিদ্ধ আনাসের লাশ হাসপাতালে। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া লোকজন আনাসের পকেট ঘেঁটে একটা বাটন ফোন পায়। সেই ফোন দিয়ে আনাস গেমস খেলতো। কোনো সিম ছিল না। ফোনের কনটাক্ট লিস্টে ৪-৫টা নম্বর সেইভ করা। আনাসের বাবা-মা, নানা এবং মামাদের। সেখান থেকে কল দেওয়া হয় তার মায়ের নাম্বারে। বরাবর ঠিক ১টা ১৮মিনিটে আনাসের মা একটা অপরিচিত নম্বর থেকে কল পান। রিসিভ করতেই ওপার থেকে শুনতে পান, “আপনাদের কেউ আন্দোলনে গিয়েছিল?” আনাসের মা বলেন, আমার ছেলে বের হইছে, আমাদের না জানিয়ে। তখন ওপাশ থেকে বলা হয়, আপনারা ইমার্জেন্সি মিটফোর্ড হাসপাতালে আসেন। ও আঘাত পেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছে। কিন্তু আনাস ততক্ষণেই শহীদ হয়ে গিয়েছে। মায়ের কাছে গোপন রাখা হয়েছে ছেলের মৃত্যুর খবর। ছেলের আঘাতের কথা শুনে উদ্বিগ্ন হয়ে বাবা-মা ছুটে আসেন মিটফোর্ডে। হাসপাতালে এসে দেখেন স্ট্রেচারে দেশের পতাকা মোড়ানো আনাসের নিথর দেহ। বুক থেকে অনবরত রক্ত ঝরছে। সাদা জামা রক্ত লাল হয়ে গিয়েছে। কলিজার টুকরা ছেলের এই অবস্থা দেখে পাগলপ্রায় বাবা-মা। আনাসের বাবার কান্নায় হাসপাতালের আশপাশের সব মানুষ জড়ো হয়ে যায়। অ্যাম্বুলেন্স খুঁজে পায় না, শেষ পর্যন্ত অটোতে করে বাবা-মা দুজনে ধরাধরি করে ছেলের লাশ নিয়ে ঘরে ফিরেন। একই এলাকার আরেক শহীদ শেখ মেহেদির সাথে তার জানাযার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। জুরাইন কবরস্থানে দাদির কবরেই আনাসকে দাফন করা হয়। আনাসের মা সানজিদা খান দীপ্তি বলেন, “ছেলের লাশ নিয়ে যখন ঘরে ফিরে এসেছি, তখন ছেলের শরীরে রক্ত আর অবশিষ্ট ছিল না। সারা শহরের রাস্তায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে আছে আমার ছেলের রক্ত।” আনাস যাত্রাবাড়ী গেন্ডারিয়ার আদর্শ একাডেমির বিজ্ঞান বিভাগে দশম শ্রেণির ছাত্র ছিলেন। তার পুরো নাম শাহরিয়ার খান আনাস। তার স্বপ্ন ছিল বড় হয়ে ইঞ্জিনিয়ার হবেন। বয়স মাত্র ১৬ বছর। এই বয়সে আমার, আমাদের জন্য নিজের জীবনটা স্যাক্রিফাইস করে ফেললেন। আনাস আন্দোলনে যাওয়ার আগে বাবা-মায়ের উদ্দেশ্য যে চিঠিটি লিখে পড়ার টেবিলে বইয়ের ভেতর রেখে যান। সে চিঠি আনাসের ফুফাতো বোন আঁচলের মাধ্যমে সর্বপ্রথম সামনে আসে। পরবর্তীতে এটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এই গল্প ভবিষ্যতের জন্য আর্কাইভ করে রাখতে আনাসের মায়ের কাছ থেকে সংগ্রহ করা চিঠিটি হুবহু তুলে ধরা হলো: ‘’মা, আমি মিছিলে যাচ্ছি। আমি নিজেকে আর আটকিয়ে রাখতে পারলাম না। সরি আব্বুজান। তোমার কথা অমান্য কোরে বের হোলাম। স্বার্থপরের মতো ঘরে বোসে থাকতে পারলাম না। আমাদের ভাই রা আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য কাফনের কাপড় মাথায় বেঁধে রাজপথে নেমে সংগ্রাম কোরে যাচ্ছে। অকাতরে নিজেদের জীবন বিষর্জন দিচ্ছে। একটি প্রতিবন্ধি কিশোর, ৭ বছরের বাচ্চা, ল্যাংরা মানুষ যদি সংগ্রামে নামতে পারে, তাহলে আমি কেন বোসে থাকবো ঘরে। একদিন তো মরতেই হবে। তাই মৃত্যুর ভয় কোরে স্বার্থপরের মতো ঘরে বোসে না থেকে সংগ্রামে নেমে গুলি খেয়ে বীরের মৃত্যুও অধিক শ্রেষ্ঠ। যে অন্যের জন্য নিজের জীবনকে বিলিয়ে দেয় সেই প্রকৃত মানুষ। আমি যদি বেঁচে না ফিরি তবে কষ্ট না পেয়ে গর্বিত হয়ো। জীবনে প্রতিটি ভুলের জন্য ক্ষমা চাই’’। -আনাস একশো শব্দে আনাসের এই ছোট্ট চিঠির ভার অনেক। যে ভার বইবার মতো সাধ্য আমাদের কারও নাই। যতদিন না আনাসের খুনিদের বিচার নিশ্চিত হবে, ততদিন আনাসের রক্তের কাছে আমরা দায়বদ্ধ থাকব। বাবা সাহরিয়ার খান পলাশ বলেন: “আমার ছেলে খুবই ভদ্র ছিল। স্বপ্ন ছিল ইঞ্জিনিয়ার হবে। ছেলেটার ইঞ্জিনিয়ার হওয়া আর হলো না। পুলিশের গুলি ওর জীবন কেড়ে নিলো। আমার ছেলে শহীদের মর্যাদা পাক, রাষ্ট্রীয় মর্যাদা পাক।” এক নজরে শহীদ শাহরিয়ার খান আনাস নাম : শাহরিয়ার খান আনাস পেশা : ছাত্র, শ্রেণি: ১০ম, গেন্ডারিয়া আদর্শ একাডেমি, বিভাগ: বিজ্ঞান পিতা : সাহরিয়ার খান পলাশ মাতা : সানজিদা খান দীপ্তি জন্ম : ১৪ অক্টোবর ২০০৭ ঠিকানা : ১২ নং কবিরাজ গলি, পটুয়াতল, গেন্ডারিয়া, ঢাকা আহত ও শহীদ হওয়ার তারিখ : ৫ আগস্ট ২০২৪ শাহাদাত বরণের স্থান : নিমতলির ৯ নং নবাব কাটার গলি, চানখারপুল, ঢাকা আক্রমণকারী : পুলিশ দাফন করা হয় : জুরাইন কবরস্থানে দাদীর কবরে ঘরবাড়ি ও সম্পদের অবস্থা : পরিবারটি ঢাকায় ভাড়া বাসায় অবস্থান করছেন প্রস্তাবনা : ১. মাসিক ও এককালীন সহযোগিতা প্রদান করা