Image of সজল মিয়া

নাম: সজল মিয়া

জন্ম তারিখ: ৬ মে, ২০০৫

শহীদ হওয়ার তারিখ: ২০ জুলাই, ২০২৪

বিভাগ: ঢাকা

ব্যক্তিগত তথ্য:

পেশা :দিন মজুর শাহাদাতের স্থান :চিটাগাং রোড

শহীদের জীবনী

ছাত্রদের কোটা সংস্কারের যৌক্তিক দাবির আন্দোলনে চিটাগাং রোডে পুলিশ ও বিজিবির এলোপাথাড়ি গুলিতে নিহত হয় সজল মিয়া। তার জন্ম ৬ই মে, ২০০৫ খ্রিস্টাব্দ। পিতার নাম মো: হাসান আলী, যিনি পেশায় দিন মজুর। মা রুনা আক্তার একজন গৃহিণী। একমাত্র ছোট ভাই ইব্রাহিম মাদরাসার দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র। শহীদ সজলের গ্রামের বাড়ি নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার থানার অন্তর্গত শ্রীনাবাসদী ইউনিয়নের শালমদী গ্রামে। পরিবারের সাথে তিনি সেখানেই থাকতেন। পেশায় ছিলেন দিনমজুর। যেভাবে শহীদ হন সজল মিয়া ১৬ জুলাই, রংপুরে পুলিশের বুলেটের সামনে বুক পেতে দিয়ে শহীদ হন আবু সাঈদ। তারপর থেকে পুরো দেশ বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। ছাত্রদের পাশাপাশি সাধারণ জনতাও রাস্তায় নেমে আসে। একদিকে চলছিল ছাত্রদের কমপ্লিট শাটডাউন, অন্যদিকে সরকারের কারফিউ। এমতাবস্থায় ২০ জুলাই, ২০২৪ তারিখে নারায়ণগঞ্জের চিটাগাং রোডে প্রতিদিনের মতো জড়ো হয় ছাত্ররা। তাদের আন্দোলন প্রতিহত করতে মোতায়েন করা হয় পুলিশ ও বিজিবি। একদিকে আন্দোলনরত ছাত্ররা, অন্যদিকে পুলিশ-বিজিবি। এমতাবস্থায় সজল মিয়া কাজের সন্ধানে যান চিটাগাং রোডে। ঠিক ১০টা নাগাদ হঠাৎ ছাত্র-জনতার উপর এলোপাথাড়ি গুলি ছোড়ে পুলিশ ও বিজিবি। একটা গুলি এসে ঢুকে যায় সজলের কপালে। সাথে সাথে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন সজল মিয়া। পাড়ি জামান অনন্ত জীবনের পথে। স্বৈরাচার শেখ হাসিনার নির্দেশে তার সশস্ত্র গুন্ডাবাহিনী সজলকে শহীদ করে। দেশমাতৃকার জন্য সজলের এই আত্মত্যাগ আমরা কখনো ভুলবো না। আমরা সজলকে নতুন স্বাধীন বাংলাদেশের একজন গর্বিত সৈনিক হিসেবে আজীবন মনে রাখব। স্থান দিয়ে রাখবো আমাদের মনের মণিকোঠায়। শহীদ সজল সম্পর্কে আরো কিছু কথা সজলের পিতা দিন মজুর হওয়ায় সংসারের অভাবের অন্ত ছিল না। তার মধ্যেই তিনি আদরের সন্তানকে পড়াশোনা করাচ্ছিলেন। নবম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করার পর পরিবারের আর্থিক অবস্থা এমন পর্যায়ে পৌঁছায় যে, দিনমজুর বাবার পক্ষে সংসারের ঘানি টানা আর সম্ভব হচ্ছিল না। এমতাবস্থায় সজলকে স্কুলের সুশোভিত জীবনে ক্ষান্ত দিয়ে বেছে নিতে হয় কষ্ট-ক্লেশের দিনমজুরি জীবন। বাবার সীমাহীন কষ্ট তার অন্তরে ঝড় তোলে। একদিকে তার পড়াশোনার খরচ, অন্যদিকে ছোট্ট ভাইটার লালনপালন, আরেকদিকে সংসার চালানো! ভিটেমাটিহীন গরিব পিতার পক্ষে এই ঘানি টানা তো অসম্ভবই! সবদিক বিবেচনা করে অসহায় সজল সিদ্ধান্ত নেন পড়াশোনা বাদ দিয়ে বাবার সাথে দিনমজুরি কাজ করার। তিনি ভাবেন, তার পড়াশোনা না হলেও ছোট ভাইকে মাদ্রাসায় পড়িয়ে আল্লাহর একজন খাঁটি বান্দা বানিয়ে নিজের পড়াশোনা না করতে পারার আক্ষেপ ঘোচাবেন। সজল বেছে নিলেন বাবার মতো দিনমজুরি কাজ। নিজের সাধ্যমতো ইনকাম করে পরিবারের ব্যয়ভার নির্বাহ করতে থাকেন। চেষ্টা করতে থাকেন পরিবারে কিছুটা সচ্ছলতা আনতে। পরিবারের বড় সন্তান হওয়ায় সজল মিয়া ছিলেন পিতা-মাতার ভরসা স্থল, ছোট ভাই ইব্রাহিমের অভিভাবক। সন্ত্রাসীগোষ্ঠী আওয়ামী লীগের নিকৃষ্ট স্বৈরশাসক গণখুনি শেখ হাসিনা তার একনায়কত্ব টিকিয়ে রাখতে নিরীহ দিনমজুর সজল মিয়াকেও ছাড়লো না। তার পোষা পুলিশ বাহিনী তরতাজা যুবক সজলকে নিমিষেই বন্দুকের নলে বিদ্ধ করে। বাবা-মার ভরসা স্থল সজলকে হারিয়ে তারা হয়ে পড়ে নিঃস্ব-অসহায়। ছোট ভাইটা হয়ে পড়ে বিমূঢ়। পাড়া-প্রতিবেশী, আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব হয়ে পড়ে কিংকর্তব্যবিমূঢ়। সবার অন্তরে নেমে আসে অসীম শূন্যতা আর সীমাহীন হাহাকার। যেভাবে শহীদ হন সজল মিয়া ১৬ জুলাই, রংপুরে পুলিশের বুলেটের সামনে বুক পেতে দিয়ে শহীদ হন আবু সাঈদ। তারপর থেকে পুরো দেশ বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। ছাত্রদের পাশাপাশি সাধারণ জনতাও রাস্তায় নেমে আসে। একদিকে চলছিল ছাত্রদের কমপ্লিট শাটডাউন, অন্যদিকে সরকারের কারফিউ। এমতাবস্থায় ২০ জুলাই, ২০২৪ তারিখে নারায়ণগঞ্জের চিটাগাং রোডে প্রতিদিনের মতো জড়ো হয় ছাত্ররা। তাদের আন্দোলন প্রতিহত করতে মোতায়েন করা হয় পুলিশ ও বিজিবি। একদিকে আন্দোলনরত ছাত্ররা, অন্যদিকে পুলিশ-বিজিবি। এমতাবস্থায় সজল মিয়া কাজের সন্ধানে যান চিটাগাং রোডে। ঠিক ১০টা নাগাদ হঠাৎ ছাত্র-জনতার উপর এলোপাথাড়ি গুলি ছোড়ে পুলিশ ও বিজিবি। একটা গুলি এসে ঢুকে যায় সজলের কপালে। সাথে সাথে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন সজল মিয়া। পাড়ি জামান অনন্ত জীবনের পথে। স্বৈরাচার শেখ হাসিনার নির্দেশে তার সশস্ত্র গুন্ডাবাহিনী সজলকে শহীদ করে। দেশমাতৃকার জন্য সজলের এই আত্মত্যাগ আমরা কখনো ভুলবো না। আমরা সজলকে নতুন স্বাধীন বাংলাদেশের একজন গর্বিত সৈনিক হিসেবে আজীবন মনে রাখব। স্থান দিয়ে রাখবো আমাদের মনের মণিকোঠায়। শহীদ সজল সম্পর্কে আরো কিছু কথা সজলের পিতা দিন মজুর হওয়ায় সংসারের অভাবের অন্ত ছিল না। তার মধ্যেই তিনি আদরের সন্তানকে পড়াশোনা করাচ্ছিলেন। নবম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করার পর পরিবারের আর্থিক অবস্থা এমন পর্যায়ে পৌঁছায় যে, দিনমজুর বাবার পক্ষে সংসারের ঘানি টানা আর সম্ভব হচ্ছিল না। এমতাবস্থায় সজলকে স্কুলের সুশোভিত জীবনে ক্ষান্ত দিয়ে বেছে নিতে হয় কষ্ট-ক্লেশের দিনমজুরি জীবন। বাবার সীমাহীন কষ্ট তার অন্তরে ঝড় তোলে। একদিকে তার পড়াশোনার খরচ, অন্যদিকে ছোট্ট ভাইটার লালনপালন, আরেকদিকে সংসার চালানো! ভিটেমাটিহীন গরিব পিতার পক্ষে এই ঘানি টানা তো অসম্ভবই! সবদিক বিবেচনা করে অসহায় সজল সিদ্ধান্ত নেন পড়াশোনা বাদ দিয়ে বাবার সাথে দিনমজুরি কাজ করার। তিনি ভাবেন, তার পড়াশোনা না হলেও ছোট ভাইকে মাদ্রাসায় পড়িয়ে আল্লাহর একজন খাঁটি বান্দা বানিয়ে নিজের পড়াশোনা না করতে পারার আক্ষেপ ঘোচাবেন। সজল বেছে নিলেন বাবার মতো দিনমজুরি কাজ। নিজের সাধ্যমতো ইনকাম করে পরিবারের ব্যয়ভার নির্বাহ করতে থাকেন। চেষ্টা করতে থাকেন পরিবারে কিছুটা সচ্ছলতা আনতে। পরিবারের বড় সন্তান হওয়ায় সজল মিয়া ছিলেন পিতা-মাতার ভরসা স্থল, ছোট ভাই ইব্রাহিমের অভিভাবক। সন্ত্রাসীগোষ্ঠী আওয়ামী লীগের নিকৃষ্ট স্বৈরশাসক গণখুনি শেখ হাসিনা তার একনায়কত্ব টিকিয়ে রাখতে নিরীহ দিনমজুর সজল মিয়াকেও ছাড়লো না। তার পোষা পুলিশ বাহিনী তরতাজা যুবক সজলকে নিমিষেই বন্দুকের নলে বিদ্ধ করে। বাবা-মার ভরসা স্থল সজলকে হারিয়ে তারা হয়ে পড়ে নিঃস্ব-অসহায়। ছোট ভাইটা হয়ে পড়ে বিমূঢ়। পাড়া-প্রতিবেশী, আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব হয়ে পড়ে কিংকর্তব্যবিমূঢ়। সবার অন্তরে নেমে আসে অসীম শূন্যতা আর সীমাহীন হাহাকার। সংক্ষেপে শহীদ সজল নাম : সজল মিয়া জন্ম তারিখ : ৬-৫-২০০৫ পিতা : মোঃ হাসান আলী মাতা : রুনা আক্তার স্থায়ী ঠিকানা : গ্রাম: শালনদী, ইউনিয়ন: শ্রীনাবাসদী থানা: আড়াইহাজার, জেলা: নারায়ণগঞ্জ পেশা: দিনমজুর পরিবারের সদস্য সংখ্যা : ৩ জন (মা, বাবা, ভাই) পরিবারের আয়ের উৎস : পিতার দিনমজুরি শহীদ হবার স্থান : চিটাগাং রোড ঘাতক : পুলিশ ও বিজিবি আঘাতের ধরন : কপালে গুলি আহত ও শাহাদাতের তারিখ : ২০ জুলাই, ২০২৪; বেলা ১০টা কবরস্থান : নিজ এলাকা শহীদ পরিবারের জন্য সহযোগিতা সংক্রান্ত প্রস্তাবনা ১. নিয়মিত মাসিক আর্থিক সহযোগিতা প্রয়োজন ২. ছোট ভাইয়ের পড়াশোনার খরচ বহন করা প্রয়োজন

শহীদের তথ্য সম্বলিত ছবি

Image of সজল মিয়া
Image of সজল মিয়া
Image of সজল মিয়া
Image of সজল মিয়া

একই বিভাগ অন্যান্য শহীদদের তথ্য

রমজান মিয়া জীবন

আশরাফুল হাওলাদার

রাহাত হোসেন শরিফ

 মো: তাজুল ইসলাম

কোরমান শেখ

মো: মিঠু বিশ্বাস মারুফ

মো: বিপ্লব

 আফিকুল ইসলাম সাদ

মো: সামিউ আমান নুর

মো: তুহিন

মো: সাগর আহম্মেদ

নাফিসা হোসেন মারওয়া

শেয়ার করুন Facebook Logo Twitter Logo WhatsApp Logo