Image of জহিরুল ইসলাম শুভ

নাম: জহিরুল ইসলাম শুভ

জন্ম তারিখ: ৭ আগস্ট, ১৯৯৬

শহীদ হওয়ার তারিখ: ৫ আগস্ট, ২০২৪

বিভাগ: ঢাকা_সিটি

ব্যক্তিগত তথ্য:

পেশা: দিনমজুর (রাজমিস্ত্রির যোগালি) শাহাদাতের স্থান : উত্তরা ক্রিসেন্ট হাসপাতাল, ঢাকা

শহীদের জীবনী

“জান্নাত বলতে এমন স্থানকে বোঝায়, যা আল্লাহ তায়ালা তাঁর অনুগত ও প্রিয় বান্দাদের জন্য নির্দিষ্ট করে রেখেছেন’’ শহীদের মা বলেন,“আমার ছেলেকে কোনো কাজের জন্য একবারের বেশি দুইবার বলতে হয়নি। মসজিদে মসজিদে ইসলামের সুমহান আদর্শের দাওয়াত পৌঁছাতে আমার ছেলে ছিল সদা তৎপর। আল্লাহর সাথে গভীর সম্পর্কের জন্য ছিলো তাহাজ্জুদ গুজার। সদা কর্মচঞ্চল, হাস্যোজ্জ্বল দায়ী’র প্রতিচ্ছবি ছিল শুভ’র চলা ফেরায়।” শহীদের খালাত ভাই সোয়াদ বলেন,“হে প্রভু! মিনতিটুকু রেখো, মর্যাদা দিও চির জান্নাতে, রিযিক দিও বে-হিসেবে, তাওফীক দিও ভাইয়ার রেখে যাওয়া কাজের আঞ্জাম দেয়ার। শহীদের মায়ের আকুতি দেখে মনে হয়-তার ছেলে দেশের জন্যই শহীদ হয়েছে।” জন্ম ও পারিবারিক বর্ণনা শহীদ জহিরুল ইসলাম শুভ ১৯৯৬ সালের ৭ আগস্ট জন্মগ্রহণ করেন। তিনি পেশায় রাজমিস্ত্রীর যোগালি ছিলেন। তার বাবা দীর্ঘদিন ধরে ক্যন্সারে আক্রান্ত। মা একটি বেসরকারী টেলিভিশন কোম্পানিতে আয়া পদে চাকরি করেন। তিনি স্ত্রী ও এক সন্তানকে নিয়ে গাজীপুরের টঙ্গিতে একটি ভাড়া বাড়িতে বসবাস করতেন। শহীদের আদি নিবাস বরিশালের প্রত্যন্ত একটি চর এলাকায় ছিল। নদী ভাঙ্গনে সকল জায়গা-জমি বিলীন হয়েছে। তার বাবা-মা যাত্রবাড়ির মাতুয়াইলে থাকেন। তাদের বাসা ভাড়া এবং সংসারের অর্ধেক খরচ তিনি বহন করতেন। তার মৃত্যুতে দুটি পরিবার বিচ্ছিন্ন হয়েছে। স্ত্রী বর্তমানে দিনাজপুর তার মায়ের কাছে অবস্থান করছেন। নিজেকে পরিবর্তনের মাপকাঠি হিসেবে মসজিদকেই বেঁছে নেন শহীদ জহিরুল ইসলাম শুভ। ধর্মীয় একনিষ্ঠতা পরিবারে অভাব অনটন দেখে বড় হয়েছে শুভ। পারিবারিক দীনতায় লেখাপড়া করা হয়নি। পৈতৃক জায়গা জমি নদী ভাঙ্গনে বিলীন হওয়ার পর বাবা মায়ের সাথে ঢাকার ডেমরা আসেন তিনি। সেখানে স্থানীয় তাবলীগ জামাতের সাথে পরিচয় হয় তার। ধর্মীয় দীক্ষা নিতে ৪০ দিনের জন্য চিল্লায় যায় শহীদ জহরুল ইসলাম শুভ। মসজিদে-মসজিদে দ্বীনের আলাপন থেকে ধর্মীয় জ্ঞান, কোরআন শিক্ষা লাভ করেন। নিয়মিত হাদিসের তাৎপর্যপূর্ণ আলোচনা শুনে ধীরে ধীরে ধর্মীয় কাজে আসক্ত হয়ে পড়েন। চিল্লা থেকে এসে পরিবারের মাঝে দ্বীনকে জাগ্রত করতে যা শিখে এসেছেন সেগুলো আলোচনা করেন। একমাত্র বোন ও মায়ের শিয়রে বসে বোরখা পড়তে অনুরোধ করেন। নিজের মধ্যে ব্যাপক পরিবর্তন লক্ষ করেন তিনি। আজান শোনার সাথে-সাথে অন্তরে এক ধরনের অস্থিরতা শুরু হয়ে যেত তার। অতঃপর নিয়মিত মসজিদের ইমাম সাহেবের কাছে বিভিন্ন বিষয়ে জিজ্ঞাসা করে ধর্মীয় শিক্ষার ঘাটতি কমাতে নিবিড় প্রচেষ্টা চালিয়ে যান। ধর্মীয় একনিষ্ঠতায় বুদ হয়ে নিজেকে পরিবর্তনের মাপকাঠি হিসেবে মসজিদকেই বেঁছে নেন শহীদ জহিরুল ইসলাম শুভ। বেড়ে ওঠা জীবন জীবনের উষালগ্ন থেকে শহীদ পরিবারে বুভুক্ষু যেন মিত্র হয়ে উঠেছিল। মিত্রতাকে শত্রু করতে উঠেপড়ে লাগে শুভ। রাজধানীতে এসে রিকশা চালিয়ে পারিবারের হাল ধরেন তার বাবা। আকস্মিক অসুস্থতা হানা দেয় জনাব সিরাজুল ইসলামের। বাবাকে নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করেন তিনি। চিকিৎসা চলে ঢাকা মেডিকেলে। পরীক্ষা নিরীক্ষা চলার পর জানা যায় যে, তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত। পরিবারে নেমে আসে চরম দুশ্চিন্তা। কদিনেই জমানো টাকা ফুরিয়ে যায়। চিকিৎসার খরচ চালাতে না পেরে বাসায় ফিরে আসেন শহীদের পিতা। অভাবের তাড়নায় না খেয়ে চলে দিনের অগ্রভাগ ও শেষভাগ। কোনো ফিরিস্তির অবকাশ নেই। -নিশ্চয়ই কষ্টের সাথেই রয়েছে স্বস্তি’’ শুরু হয় নতুন যুদ্ধ পরিবারের হাল ধরতে চাকরি খোঁজে শুভ। দোকানে-দোকানে কাজের জন্য অনুরোধ জানায়। কোনো কাজ না পেয়ে বিভিন্ন অফিসের দারস্ত হন তিনি। সেখানেও মেলেনা কোনো কাজ। একপর্যায়ে নিরাশ হয়ে পড়েন। মনে পড়ে সে আয়াতের কথা- নিশ্চয়ই কষ্টের সাথেই রয়েছে স্বস্তি-সুরা ইনশিরাহ। এমতাবস্থায় সিদ্ধান্ত নেন রাজমিস্ত্রীর কাজ করবেন। স্থানীয় এক প্রতিবেশী চাচার সাহায্যে ডেমরা থেকে টঙ্গী গাজিপুর আসেন। সেখানে রাজমিস্ত্রির সাহায্যকারী (যোগালি) হিসেবে কাজ শুরু করেন। বাড়তি উপার্জনের আশায় সংসারের হাল ধরতে প্রয়োজনের চেয়ে বেশি সময় কাজ করেন শুভ। উপার্জনের টাকা নিয়মিত বাসায় পাঠালে বাবার চিকিৎসা শুরু হয়। ছেলের টাকা হাতে পেয়ে কয়েক মাসের বাকি থাকা বাড়ি ভাড়া পরিশোধ করেন নাজমা বেগম। ছুটির দিনও যেন ক্ষান্ত হন না শহীদ জহিরুল ইসলাম শুভ। হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রম করে পরিবারের মুখে ফেরান অনাবিল হাসি। নিজের একমাত্র বোনকে সুপাত্র পেয়ে বিয়ে দিতে দেরী করেন না শুভ। বিবাহের পুরো আয়োজন সম্পন্ন হয় শহীদের উপার্জন থেকে। পরিবারের সুখ দেখে মহান আল্লাহ তা’য়ালার কাছে সন্তুষ্টি অর্জন করেন শুভ। নিয়মিত তাহাজ্জদ নামাজ আদায় করে মহান রবের দরবারে সেজদায় লুটিয়ে পড়তেন তিনি। বৈবাহিক জীবনে পদার্পণ বোনের বিয়ে সম্পন্ন হলে যেন স্বস্তির শ্বাস ফেলেন শহীদ জহিরুল ইসলাম শুভ। মায়ের পিড়াপিড়িতে নিজের বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন। প্রতিবেশীদের সাহায্যে দিনাজপুর জেলায় মোছা: আম্বিয়া আক্তারের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন তিনি। সংসার জীবন শুরু হয় টঙ্গী শহরের দোচালা একটি ভাড়া বাড়িতে। কিছুদিন পর সংসার আলোকিত করে জন্ম নেয় একমাত্র ছেলে আরিয়ান ইসলাম আয়াত (৬)। সংসারের খরচ স্বাভাবিকভাবেই বেড়ে যায়। ফলে শুভ’র মা নাজমা বেগম এখন টেলিভিশন কোম্পানিতে আয়া পদে ৯০০০ টাকা বেতনে নিযুক্ত হন। এদিকে ক্রমেই ক্যান্সার ব্যাধি বাড়তে থাকে জনাব সিরাজুল ইসলামের। ঔষধ খরচও বেড়ে যায়। কিছুটা দুশ্চিন্তায় পড়ে যায় শহীদ জহিরুল ইসলাম শুভ। আন্দোলনের হাঁকডাক ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট মাস ছিল বর্বরতার মাস। আওয়ামী সন্ত্রাসী ও তাদের পেটুয়া বাহিনী একযোগে সারাদেশে গণহত্যা চালায়। ঘটনার শুরু হয় কোটা আন্দোলন দিয়ে। এরপর তৎকালীন স্বৈরাচার শাসক শেখ হাসিনার উস্কানি মূলক বক্তব্যে সারা দেশের জনতা এক হয়ে বৈষম্যবিরোধী গণঅভ্যুত্থান গড়ে তোলে। ছাত্র-জনতার রোষানলে পড়ে পদত্যাগ করে পলায়ন করে খুনি হাসিনা। শাহাদাতের সবুজ ফুল শাহাদাতের তামান্না নিয়ে কাজ করে প্রতিটি মুমিন মুসলমান। কিন্তু আল্লাহ তাআলা সবাইকে শহীদ হিসেবে কবুল করেন না। একটি সাজানো বাগান থেকে প্রস্ফুটিত ফুলগুলোর মধ্যে সবচেয়ে সুন্দর ফুলটি অত্যন্ত যত্নের সাথে ছিঁড়ে নেন বাগানের মালিক। ঠিক তেমনি আল্লাহ তাআলাও তাঁর অসংখ্য বান্দাদের মধ্য থেকে প্রিয়তম বান্দাটিকে শহীদের মর্যাদা দিয়ে তাঁর নিকট তুলে নেন। আল্লাহ এ ব্যাপারে বলেন, “তিনি তোমাদের মধ্য থেকে কিছু লোককে শহীদ হিসেবে গ্রহণ করেন।” যারাই আল্লাহর পথে শহীদ হন, এর পূর্বে তাদের কর্মতৎপরতা, চাল-চলন, বাচনভঙ্গি ও উন্নত আমল আখলাকই থাকে অন্যরকম। শহীদ মো: জহিরুল ইসলাম শুভ’র জীবন শাহাদাতের পূর্বে ঠিক তেমনটিই ছিল। শাহাদতের তৃষিত অন্তর যেন তৃষ্ণা নিবারণ করে নেয়। শহীদি প্রেক্ষাপট ইসলামের বিরুদ্ধে কথা বলায় তৎকালীন স্বৈরাচারী শাসক খুনি শেখ হাসিনাকে আগে থেকেই অপছন্দ করতেন শহীদ মো: জহিরুল ইসলাম শুভ। শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে পালিয়েছে। মুহূর্তে এই খবর সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ে। দেশ জুড়ে বিজয় মিছিলে করে হাজার-হাজার জনতা। খবর পেয়ে রাজমিস্ত্রীর কাজকে বিরতি দিয়ে আন্দোলনে শামিল হন শহীদি তামান্নার টগবগে এই যুবক। “আল্লাহু আকবর ধনীতে মুখরিত করে তোলেন উত্তরার ০৩ নং সেক্টর।” চারিদিকে তখনও অবিরত গুলি বর্ষণ চলছিল। উত্তরার বিএনএস সেন্টার সহ সারাদেশে একযোগে পাখির মতো গুলি করে মানুষ হত্যায় মেতেছিল খুনি হাসিনার পালিত পুলিশ বাহিনী। সেদিন ৫ আগস্ট ২০২৪, বিকেল ৪.৩০। সরকার পতনের বিজয় মিছিল চলে পুরো উত্তরা জুড়ে। হঠাৎ ঘাতক পুলিশের ছোড়া একটি গুলি শুভর মাথায় এসে বিদ্ধ হয়। মুহূর্তে অন্ধকার হয়ে যায় তার চোখ। ঝাপসা চোখে ক্ষতস্থান চেপে ধরেন। শরীরের ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন তিনি। মাটিতে লুটিয়ে পড়লে দ্রুত ক্রিসেন্ট হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। প্রচুর পরিমাণে রক্তক্ষরণ হয়। হাসপাতালের বেডে শুয়ে মহান রবকে ডাকতে থাকেন তার প্রিয় বান্দা। বিকাল ৪.৪৫ এর দিকে ধীরে ধীরে চোখ বন্ধ হয়ে যায়। মুখে উচ্চারিত হতে থাকে “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ।” শাহাদতের তৃষিত অন্তর যেন তৃষ্ণা নিবারণ করে নেয়। মহান সৃষ্টিকর্তার দরবারে পাড়ি জমান তিনি। লাশ বাড়িতে এসে পোঁছায়। সন্তানের লাশ দেখে অথর্ব হয়ে পড়ে নাজমা বেগম ও সিরাজুল ইসলাম। শহীদের স্ত্রী আম্বিয়া বারবার জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। তার মাথায় পানি ঢালা হয়। প্রিয় বান্দাকে মহান আল্লাহর সান্নিধ্যে পোঁছাতে জনাজা দেয়া হয়। জানাজা শেষে মাতুয়াইল কবরস্থানে দাফন করা হয় শহীদ জহিরুল ইসলাম শুভকে। নিশ্চয় শহীদরা জীবিত। আর তাদের জন্য রয়েছে চির জান্নাত। জান্নাতের পরিচয় ‘জান্নাত বলতে এমন স্থানকে বোঝায়, যা আল্লাহ তায়ালা তার অনুগত বান্দাদের জন্য নির্দিষ্ট করে রেখেছেন, যা দিগন্ত বিস্তৃত নানা রকম ফুলে-ফলে সুশোভিত সুরম্য অট্টালিকা সংবলিত মনোমুগ্ধকর বাগান; যার পাশ দিয়ে প্রবহমান বিভিন্ন ধরনের নদী-নালা ও ঝরনাধারা। যেখানে চির বসন্ত বিরাজমান। রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, মহান আল্লাহ বলেন, ‘আমি আমার সৎকর্মশীল বান্দাদের জন্য (এমন নিয়ামত) প্রস্তুত করে রেখেছি, যা কোনো চোখ দেখেনি, কোনো কান শোনেনি, এমনকি কোনো মানুষ তা কল্পনাও করতে পারে না।’ (সহিহ বুখারি)” নিকটাত্মীয়’র অভিমত শহীদের খালাত ভাই সোয়াদ বলেন-“ভাইয়া সবসময় নামজের কথা বলতেন। বাবা-মায়ের সাথে ভালো ব্যবহার করতে বলতেন। সবসময় আমাকে বন্ধুর মতো সাহায্য করতেন। ভাইয়ার চলে যাওয়া আমার জন্য অনেক বেদনার। আমি আমার ভাইয়া হত্যার বিচার চাই।” এক নজরে শহীদ পরিচিতি নাম : মো: জহিরুল ইসলাম শুভ পেশা : দিনমজুর, (রাজমিস্ত্রির যোগালি) জন্ম তারিখ ও বয়স : ০৭ আগস্ট ১৯৯৬, ২৮ বছর আহত ও শহীদ হওয়ার তারিখ : ০৫ আগস্ট ২০২৪, সোমবার, আনুমানিক বিকাল ০৪.৩০ মিনিট শাহাদাত বরণের স্থান : উত্তরা ক্রিসেন্ট হাসপাতাল, ঢাকা দাফন করা হয় : মাতুয়াইল কবরস্থান, ঢাকা স্থায়ী ঠিকানা : গ্রাম: মাতুয়াইল উত্তর পাড়া জেলা: ঢাকা পিতা : সিরাজুল ইসলাম মাতা : নাজমা বেগম ঘরবাড়ি ও সম্পদের অবস্থা : কোনো সম্পদ নেই ভাইবোনে ও সন্তানের বিবরণ : একমাত্র বোন মর্জিনা আক্তার বীথি (বিবাহিতা) ও একমাত্র সন্তান : আরিয়ান ইসলাম আয়াত (ছেলে) স্ত্রী : আম্বিয়া আক্তার প্রস্তাবনা : ১. শহীদ সন্তানের লেখাপড়ার দায়িত্ব নেয়া যেতে পারে : ২. শহীদের বাবা ক্যন্সারে আক্রান্ত। তার চিকিৎসা বাবদ সহোযগিতা করা যেতে পারে : ৩. শহীদ পত্নীকে মাসিক বা এককালীন সহোযগিতা করা যেতে পারে

শহীদের তথ্য সম্বলিত ছবি

Image of জহিরুল ইসলাম শুভ
Image of জহিরুল ইসলাম শুভ
Image of জহিরুল ইসলাম শুভ
Image of জহিরুল ইসলাম শুভ
Image of জহিরুল ইসলাম শুভ

একই বিভাগ অন্যান্য শহীদদের তথ্য

মো: নাইমুর রহমান

মো: রানা তালুকদার

মো: লেবু শেখ

মো: সোহেল রানা

ইমন হোসেন আকাশ

আক্তার হোসেন

মো: সাকিল

রিদোয়ান শরীফ রিয়াদ (জয়)

মো: রেজাউল করিম

মোঃ ইয়াকুব

আব্দুল জব্বার

মো: সোহাগ

শেয়ার করুন Facebook Logo Twitter Logo WhatsApp Logo