জন্ম তারিখ: ১৬ এপ্রিল, ১৯৯৯
শহীদ হওয়ার তারিখ: ২১ জুলাই, ২০২৪
বিভাগ: ঢাকা
পেশা :ছাত্র, শাহাদাতের স্থান: সিকদার পাম্প ভূইগর, নারায়নগঞ্জ।
শহীদ মাবরুর হুসাইন ছিলেন ২৪ বছর বয়সি তরুণ আলেম। দেশ ও মানুষের জন্য নিবেদিতপ্রাণ এই তরুণ সুস্থ সাংস্কৃতিক অঙ্গনেও বিচরণ করতেন। ছিলেন ইসলামী সংগীত শিল্পী। ইউটিউবে এখনো আছে তাঁর হৃদয়গ্রাহী সংগীত। শহীদের পিতা একজন ব্যবসায়ী। মা গৃহিণী। নারায়ণগঞ্জে একটি বাড়িও আছে। অর্থনৈতিক অবস্থা মোটামুটি স্বচ্ছল। একমাত্র সন্তানকে ঘিরে ছিল স্বপ্নের প্রাসাদ। ছেলেকে বানিয়েছিলেন আলেমে দ্বীন। পৃথিবীর অনেক স্বপ্নই অধরা থেকে গেল তাদের। তবে তারা এখন শহীদের গর্বিত পিতা-মাতা। ঘটনার বিবরণ বিগত ২০ জুলাই ২০২৪ তারিখে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দমনে কারফিউ জারি করেছিল ফ্যাসিস্ট সরকার। ছাত্র-জনতা এ কারফিউ উপেক্ষা করে রাস্তায় নেমে এসেছিল। প্রতিদিনই চলছিল আন্দোলন। দীর্ঘ হচ্ছিল শহীদের মিছিল। ২১ জুলাই ২০২৪ তারিখ দুপুর ১২টায় শহীদ মাবরুর হুসাইন ভূইগর এলাকার সিকদার পাম্পের সামনে অন্যান্য ছাত্র জনতার সাথে সমবেত হলেন। মাথার ওপর ছিল রাষ্ট্রীয় বাহিনীর হেলিকপ্টার। হেলিকপ্টার থেকে ছোড়া একটি গুলি শহীদ মাবরুর হুসাইনের ডান পাজর ভেদ করে বেরিয়ে গেলে ঘটনাস্থলেই তিনি শাহাদাত বরণ করেন। শহীদের মা শাহনাজ বেগম বলেন, “আমার ছেলে দেশের জন্য প্রাণ দিয়েছে। সন্তান হারানোর ব্যথা কী, সেটা মা-বাবা ছাড়া কেউ বুঝবে না। আমার বাবা পুলিশের গুলিতে মারা গেছে। এখন পুলিশ দেখলেই ভয় লাগে।” শহীদের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি নাম : মো: মাবরুর হুসাইন জন্ম তারিখ : ১৬-০৪-১৯৯৯ জন্মস্থান : নারায়ণগঞ্জ পেশা : ছাত্র শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান : জামিয়া আরাবিয়া দারুল উলুম বাগে জান্নাত মাদ্রাসা, চাষাড়া, নারায়ণগঞ্জ আহত হবার স্থান : সিকদার পাম্প পাড়া ভূইগর, নারায়নগঞ্জ শহীদ হবার স্থান : ২১ জুলাই ২০২৪ দুপুর ১২:০০ টা, সিকদার পাম্প ভূইগর, নারায়নগঞ্জ আঘাতের ধরণ : গুলি বিদ্ধ আক্রমণকারী : পুলিশ/ র্যাব আহত হবার সময় ও তারিখ : ২১ জুলাই ২০২৪, দুপুর ১২:০০ টা শহীদ হবার সময় ও তারিখ : ২১ জুলাই ২০২৪, দুপুর ১২:০০ টা বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা : গ্রাম: পূর্ব শিয়াচর, ইউনিয়ন: কুতুবপুর, থানা: নারায়নগঞ্জ সদর, জেলা: নারায়নগঞ্জ পরিবার সংক্রান্ত তথ্য পিতা: মো: আব্দুল হাই পিতার পেশা: ব্যবসা মাতা: শাহনাজ বেগম মাতার পেশা: গৃহিণী প্রস্তাবনা ১. সন্তান হারা শহীদ পরিবারে মাসিক সহযোগিতা প্রয়োজন