Image of তামিম শিকদার

নাম: তামিম শিকদার

জন্ম তারিখ: ১ জানুয়ারি, ২০১৪

শহীদ হওয়ার তারিখ: ১৯ জানুয়ারি, ২০২৪

বিভাগ: ঢাকা

ব্যক্তিগত তথ্য:

পেশা : ছাত্র, ৩য় শ্রেণি, শাহাদাতের স্থান : রামপুরায় পুলিশের গুলিতে।

শহীদের জীবনী

রিকশাচালক জুয়েল শিকদারের একমাত্র পুত্র তামিম শিকদার ঢাকার রামপুরা প্রাইমারি স্কুলের ৩য় শ্রেণিতে লেখাপড়া করত। শিশু শহীদ তামিম শিকদার ২০১৪ সালে ফরিদপুরে জন্মগ্রহণ করে। থাকত ঢাকার রামপুরায়। চার বছর বয়সে পিতা মাতার বিচ্ছেদের পর থেকে দাদীর কাছে লালিত পালিত হচ্ছিল। দাদী ফুটপাতে পিঠা বিক্রি করে মানুষ করার চেষ্টা করছিল নাতিকে। পটভূমি ২০১৮ সালে আন্দোলনের মুখে ফ্যাসিস্ট হাসিনা কোটা প্রথা বাতিল করলেও ২৪ সালের জুন মাসে তা পুনর্বহাল করে নিজের দ্বিচারিতার প্রমাণ দেয়। কোটা পূণর্বহালের প্রতিবাদে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা মাঠে নেমে আসে। শুরুতে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা আন্দোলন শুরু করলেও পরবর্তীতে তাদের সাথে সংহতি প্রকাশ প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়, স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরাও মাঠে নেমে আসে। শুরু হয় এক দুর্বার আন্দোলন। এই আন্দোলনে যোগ দেয় সকল শ্রেণি, পেশা, লিঙ্গ, ধর্ম, বর্ণের জনতা। গ্রাম মহল্লা পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে দ্রোহের আগুন। এই আন্দোলন দমাতে শুরুতে সরকার ব্যবহার করে তাদের ছাত্রলীগ নামক সন্ত্রাসী বাহিনীকে। এই সন্ত্রাসী বাহিনীর গেস্টরুম কালচার, চাঁদাবাজি, নির্যাতন, নিপীড়ন, ধর্ষণ, ইভটিজিং, যৌন হয়রানি, হত্যা, গুমের চর্চা দেখতে দেখতে আগে থেকেই ছাত্রছাত্রীরা তাদের প্রতি অতিষ্ট। তাই ছাত্রছাত্রীরা বীরদর্পে প্রতিহত করে এই সন্ত্রাসী বাহিনীকে। সন্ত্রাসী ছাত্রলীগ বাহিনী ছাত্রদের ঐক্যবদ্ধতার কাছে পরাজিত হওয়ার পর স্বৈরাচার সরকার ছাত্রদের বিরুদ্ধে লেলিয়ে দেয় পুলিশ বাহিনী। পুলিশের সাথে থাকা আনসার বাহিনীর হাতেও তুলে দেয় মারণাস্ত্র। র‌্যাব, বিজিবিসহ জনগণের সেবার জন্য তৈরি সকল বাহিনীকে নামিয়ে দেয় গণহত্যার আদেশ। যেভাবে শহীদ হলো তামিম ১৯ জুলাই বেলা ৩টার সময় তামিম সহপাঠীদের নিয়ে রামপুরা এলাকায় বল খেলতে যায়। তার পাশে রাস্তার ওপর কোটা সংস্কার আন্দোলনের ছাত্র-জনতা ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষ চলছিল। অন্য শিশুরা জানায়, হঠাৎ তামিম চিৎকার দিয়ে পড়ে যায়। সবাই দেখে তামিমের বুক থেকে রক্ত বের হচ্ছে। তামিমের বাবা ও দাদি দৌড়ে গিয়ে দেখে তামিমের বুকে গুলি লেগেছে। রিকশা করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করানো হয়। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তামিমের বাবা জুয়েল শিকদার কান্না বিজড়িত কন্ঠে সন্তান হত্যার বিচার দাবী করেন। শহীদ সম্পর্কে বক্তব্য/অনুভূতি তামিমের চাচি বলেন, শহীদ তামিম একজন অত্যন্ত বিনয়ী ও ভদ্র ছেলে ছিল। বাড়ির বড়দের সাথে কখনও খারাপ আচরণ করেনি। কারও সাথে মারামারি করত না। পারিবারিক অবস্থা তামিমের পরিবারের অর্থনৈতিক অবস্থা খুবই শোচনীয়। শহীদ তামিমের বাবা পেশায় রিকশাচালক। রিকশা চালিয়ে সামান্য যে আয় করেন তা দিয়ে পরিবারের ভরণপোষণ নির্বাহে হিমশিম খেতে হয় । এছাড়া শারীরিকভাবে তামিমের বাবা লিভারের সমস্যায় ভুগছেন। সংগত কারণে চাইলেও প্রতিদিন রিকশা চালাতে পারেন না। এমতাবস্থায় পরিবারে অর্থনৈতিক সহযোগিতার জন্য তামিমকে উপার্জনের পথ ধরতে হয় । এক নজরে শহীদের ব্যক্তিগত তথ্যাবলি নাম : তামিম শিকদার জন্ম : ০১/০১/২০১৪, ফরিদপুর শহীদের পেশা : ছাত্র, ৩য় শ্রেণি, রামপুরা প্রাথমিক বিদ্যালয় পিতা : জুয়েল শিকদার (৩৪), রিকশাচালক মাতা : তানিয়া আক্তার, গৃহিণী স্থায়ী ঠিকানা : মুনসরাবাদ খাপুরা, ভাঙা, ফরিদপুর বর্তমান ঠিকানা : রামপুরা, ঢাকা শাহাদাত : ১৯ জুলাই রামপুরায় পুলিশের গুলিতে সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তা : শহীদের দাদিকে এককালীন সহযোগিতা করা প্রয়োজন।

শহীদের তথ্য সম্বলিত ছবি

Image of তামিম শিকদার
Image of তামিম শিকদার
Image of তামিম শিকদার
Image of তামিম শিকদার

একই বিভাগ অন্যান্য শহীদদের তথ্য

বাবু মোল্লা

আব্দুর রহমান

মামুন সরদার

মো: গণি মিয়া

মো: আবদুল্লাহ ইবনে শহীদ

মোঃ ছায়াদ মাহমুদ খান (অন্তর)

তানজীর খান মুন্না

মো: জিয়াউর রহমান

জসিম ফকির

মো: মনির হোসেন

মো: রফিকুল ইসলাম চঞ্চল

মো: আব্দুল আহাদ

শেয়ার করুন Facebook Logo Twitter Logo WhatsApp Logo