জন্ম তারিখ: ৮ মে, ২০০৯
শহীদ হওয়ার তারিখ: ১৮ জুলাই, ২০২৪
বিভাগ: ঢাকা
পেশা : ছাত্র, শাহাদাতের স্থান : জেলখানা মোড়, নরসিংদী
নরসিংদী জেলার সদর থানার চিনিশপুরে ২০০৯ সালের ৮ মে পিতা-মাতার কোল আলোকিত করে জন্ম নেয় এক শিশু। কে জানত এই শিশুটি যৌবনে পদার্পণের পূর্বেই উজ্জ্বল নক্ষত্র হয়ে যাবে! পরিবার থেকে শিশুটির নাম দেওয়া হয়েছিলো তাহামিদ ভূঁইয়া।অসাধারণ প্রতিভা ও তীক্ষ্ণ মেধার অধিকারী তাহমিদ ভূঁইয়া। পরিবারের তিন সন্তানের মধ্যে তাহমিদই বড় ছেলে ও একমাত্র ছেলেসন্তান।ত াহমিদের জন্মের মাধ্যমে প্রথমবারের মতো মা হয়েছিলেন মোসাঃ তাইয়্যেবা বেগম এবং বাবা হয়েছিলেন মোঃ রফিকুল ইসলাম।সেদিন তাহমিদের জন্মের মাধ্যমে রফিকুল ও তাইয়্যেবা দম্পতি নিজেদের পরিচয় পেয়েছিলেন বাবা মা হিসেবে। পরিবার, আত্মীয়, প্রতিবেশী ও বন্ধুদের কাছে তাহমিদ পরিচিতো ছিল একজন ঈমানদার, সৎ, সত্যবাদী, বিনয়ী, পরিশ্রমী ও মেধাবী বালক হিসেবে। ছোটবেলা থেকেই তাহমিদ পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়তো। এন. কে. এম. স্কুল এন্ড হোমস এর নবম শ্রেণীর একজন মেধাবী শিক্ষার্থী ছিলো শহীদ তাহমিদ। ইংরেজী কবিতা লেখা তাহমিদের শখ ছিলো। পাশাপাশি ক্রিকেট খেলতে তাহমিদ খুব ভালবাসতো। স্বপ্ন ছিল বড় হয়ে একজন ভালো ক্রিকেটার হবে।ক্রিকেট খেলার সকল সরঞ্জামই তাহমিদের ছিলো। ক্রিকেট খেলার জার্সি, মাথার হ্যাট, ব্যাট, বল সবকিছুই পড়ে আছে ঘরে। শুধু তাহমিদ নেই। খেলার এই সরঞ্জাম গুলোও যেন তাহমিদকে খুঁজছে বার বার। বাবা মায়ের কি জানা ছিলো বাবা মায়ের স্বপ্নপূরণকারী সেই ছোট্ট তাহমিদ পিতা-মাতা কে রেখে একাই চলে যাবে অনন্তকালের পথে। একমাত্র পুত্র সন্তান তাহমিদকে বড় করতে করতে পিতা-মাতা হয়তো এই স্বপ্ন বুনছিলেন যে একদিন ছেলে বড় হয়ে অনেক ভালো কিছু করবে, পরিবারের ও দেশের মুখ উজ্জ্বল করবে। যেদিন হয়তো তাহমিদের পিতাকে আর গ্রামে গ্রামে ঘুরে পল্লী চিকিৎসা করতে হবে না হয়তো ঘুচে যাবে মায়ের দুঃখ গুলো। এভাবেই হাজারো মায়ের বুক খালি করে দিয়েছে এই স্বৈরাচার ফ্যাসিস্ট সরকার। এমন কোন ঘৃণ্য কাজ নেই যা এই স্বৈরাচার সরকার করেনি। পরিবারের অর্থনৈতিক অবস্থা বাবা, মা ও ছোটো দুটি বোন সহ চারজনের গোছানো একটি পরিবার। এই নিম্নমধ্যবৃত্ত পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি তাহমিদের বাবা মো: রফিকুল ইসলাম। পেশায় তিনি একজন পল্লী চিকিৎসক। তাহমিদই ছিল পরিবারের একমাত্র ছেলে সন্তান। তাহমিদের ছোট দুটি বোন আছে ১৩ বছর বয়সী ও দেড় বছর বয়সী। তার পরিবার নিজস্ব বাড়িতে বসবাস করে। নিজেদের ধান উৎপাদনযোগ্য কোন জমি নেই। মাত্র চার শতাংশ জমির উপর ছোট একটা ঘর। ঘটনার প্রেক্ষাপট সময়টা ছিল ১৮ জুলাই ২০২৪। দেশে একটা অস্বাভাবিক পরিস্থিতি চলছে। এক দিকে ছাত্রদের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন অন্যদিকে স্বৈরশাসক ও তার পদলেহনকারী প্রশাসন (পুলিশ, বিজিবি, আর্মি)। এ যেন এক নতুন মুক্তিযুদ্ধ চলছিলো। শিক্ষার্থীরা সারা দেশে কমপ্লিট শাটডাউন ঘোষণা করেছে। পুরো দেশব্যাপী থমথমে অবস্থা ছিলো। অধিকার আদায়ে উত্তাল শিক্ষার্থীদেরকে কোনভাবেই যেন দমানো যাচ্ছে না। একের পর এক গুম, খুন, গ্রেফতার চলছে। অধিকার আদায়ে একতাবদ্ধ শিক্ষার্থীদেরকে দমানো যখন দুষ্কর ঠিক সেই মুহূর্তে ফ্যাসিস্ট সরকার সম্পূর্ণ পরিকল্পিতভাবে সারাদেশে ইন্টারনেট ব্যবস্থা বন্ধ করে দেয়। যাতে করে শিক্ষার্থীরা যোগাযোগ করে একতাবদ্ধ হয়ে আন্দোলনে নামতে না পারে। ১৮ জুলাই বাঙালির ইতিহাসের এমন এক কলুষিত দিন যখন সারাদেশে থমথমে পরিবেশ। সবার মধ্যে আতঙ্ক। এর মধ্যে দুটি বড় গুজব ছড়িয়ে পড়ে, কেউ কেউ বলে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়েছে, আবার কেউ কেউ বলে বিএনপি'র চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া মৃত্যুবরণ করেছেন। অপরদিকে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন কোন দিকে রূপ নিয়েছিলো সারা দেশের সাধারণ জনগণের তা জানার কোন উপায় ছিল না। পিতা মাতা সন্তানদেরকে মাঠে নামিয়ে দিয়ে সময় গণনা করছিলেন সন্তান আদৌ জীবিত বাসায় ফিরবে নাকি লাশ হয়ে ফিরবে। এমনই এক থমথমে পরিস্থিতিতে সকলের প্রিয় ছোট্ট তাহমিদ দুপুরে গোসল সেরে পাঞ্জাবি পায়জামা পড়ে জোহরের নামাজ পড়তে মসজিদে যায়। মসজিদ থেকে নামাজ শেষে বাসায় ফিরে আসে। এরপর প্রতিদিনের মতো পরিবারের সকলের সাথে দুপুরের খাবার শেষ করে। তাহমিদের মন পড়েছিলো আন্দোলনের মাঠে। তাইতো প্রতিদিনের থেকে একটু তাড়াহুড়ো করে খাবার শেষ করলো। খাবার শেষে তাহমিদ পরিবারের কাউকে না বলে বাসা থেকে বের হয়ে যায়। ছাত্র আন্দোলনে যোগ দেওয়ার জন্য জেলখানার মোড়ে যায়। জেলখানার মোড়ে যাওয়ার পথে ফ্যাসিস্ট সরকারের পা-চাটা পুলিশের রোষানলে পড়ে। পুলিশ তাহমিদকে লক্ষ্য করে অটবি ফার্নিচারের বিল্ডিং এর উপর থেকে অতর্কিত গুলি চালায়। ১টা/২টা নয় একজন বালকের উপর অসংখ্য গুলিবর্ষণ করে। গুলির তীব্রতা বেশি হওয়ার কারণে তাহমিদ আর দাড়িয়ে থাকতে পারে না। মুহূর্তের মধ্যে রাস্তার উপর পড়ে যায়। সাথে সাথে ঢলে পড়ে মৃত্যুর কোলে। সময়টা ছিল বিকাল সাড়ে চারটা। এতটুকু ছোটো এক বালক কতোগুলো গুলির ভার বহন করতে পারে! লাশ নিয়ে পরপর ৩ বার পুলিশের রোষানলে পড়তে হয় তাহমিদের বন্ধু ও সহযোদ্ধাদের। ১ম বার: ছাত্র জনতা তাহমিদকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিতে চাইলে ফ্যাসিস্ট পুলিশের বাধার সম্মুখীন হন। বাধা কাটিয়ে কোনরকমে তাহমিদকে নিয়ে হাসপাতালে পৌঁছালে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাহমিদকে মৃত ঘোষণা করে। ২য় বার: তাহমিদের লাশ নিয়ে হাসপাতালে অবস্থান করা কালীন ছাত্র-জনতা পুলিশের রোষানলের শিকার হন। হাসপাতালে থাকাকালীন তাহমিদের অনেক সহপাঠী আহত হন। একটা দেশের পুলিশ কিভাবে এত নির্মম হতে পারে! যে লাশ নিতে আসা স্বজন বা সহপাঠীদের গুলি করে আহত করে দেয়। ৩য় বার: তাহমিদের অনেক সহপাঠী গুলি খেয়ে আহত হওয়ার পরেও কোনরকমে তাহমিদের লাশ নিয়ে স্কুল মাঠে পৌঁছায়। সেখানেও ছাত্র-জনতা ও তাহমিদের সহপাঠীদের উপর পৈশাচিক পুলিশ নির্বিচারে গুলি চালায়। তাহমিদের অনেক সহপাঠী আহত হয়। ফ্যাসিস্ট সরকারের সহযোগী পুলিশের পশু সুলভ আচরণের নজির পৃথিবীতে খুবই বিরল। পরিবার, প্রতিবেশী, সহপাঠী ও আত্মীয়দের কাঁদিয়ে এভাবেই তাহমিদ চলে যায় না ফেরার দেশে। চিনিশপুর সামাজিক কবরস্থানে দাফন করা হয় সকলের প্রিয় তাহমিদকে। শহীদের নিকটআত্মীয়ের স্মৃতিচারণ মা : একমাত্র ছেলে সন্তানকে হারিয়ে মা মূর্ছা প্রায়। যেন কথা বলার ভাষা হারিয়ে ফেলেছেন। মাঝে মাঝে একমাত্র পুত্র সন্তানের জন্য পাগলের মত আচরণ করছেন। যার হারিয়েছে তিনিই বুঝতে পারেন বিচ্ছেদের ঃ কি যন্ত্রনা। মা বারবার বলেন, তাহমিদের মুখেই প্রথম মা ডাক শুনেছিলাম। আনন্দের ছিল সেই দিন। এত অল্পতেই বিষাদে পরিণত হলো। বিজ্ঞান বিভাগের অত্যন্ত মেধাবী ছাত্র তাহমিদ। আমার ছেলে ক্রিকেট খেলতে খুব ভালবাসত। ক্রিকেট খেলার সব সরঞ্জাম তার বাবা তাকে কিনে দিয়েছিল। তাহমিদের স্কুলের পোশাক,তার ক্রিকেটের ব্যাট ক্রিকেটের হ্যাট,স্টাম্প বারবার ধরে দেখছেন ও কাঁদছেন। কাঁদতে কাঁদতে মায়ের চোখের পানি যেন শুকিয়ে গেছে কিন্তু কমে যায়নি হৃদয়ের হাহাকার।মায়ের হাহাকার কি দিয়ে থামাবো তা আমাদের জানা নেই। তাহমিদের মা বলেন, "ঘরের প্রতিটি কোণে আমি তাহমিদকে খুঁজে বেড়াই এই যেন শুনতে পাই মা বলে ডাকছে"। বাবা : আমি খুব বেশি মিস করি আমার সন্তানকে। ছোটবেলা থেকেই আমার সন্তান আমার সাথে পাঁচ ওয়াক্ত সালাত আদায় করত এমনকি ফজরের সালাতও জামায়াতে পড়তো। যেদিন আমার ছেলেটাকে সম্পূর্ণ অন্যায় ও নৃশংস ভাবে মেরে ফেলে সেদিনও তাহমিদ আমার সাথে জামায়াতে ফজরের সালাত আদায় করেছিল। কি করে ভুলবো আমার প্রথম সন্তানকে। নামাজে দাঁড়ালেই মনে হয় এই বুঝি তাহমিদ এসে আমার পাশে দাঁড়ালো। যেখানেই যাই বারবার যেন কানে ভাসে তাহমিদ বাবা বাবা বলে ডাকছে। আমি তাহমিদের ঠিক বাবা নয় ছিলাম অতি উত্তম বন্ধু। বন্ধুর মতোই আমার বাজান আমার সাথে সবকিছু শেয়ার করতো। একসাথে নামাজে যাওয়া, বাজারে যাওয়া, স্কুলের পথে হাঁটা, আরো কত শত স্মৃতি যা বলে শেষ করা যাবে না। শুধু একটাই কামনা প্রকৃত অন্যায়কারীর যেন সুষ্ঠু বিচার হয়। যেন আর কোন বাবাকে সন্তানের লাশ বহন করার মত ভারী কিছু বহন করতে না হয়। আর কোন মায়ের কোল যেন এভাবে খালি হয়ে না যায়। ছোট বোন : ভাইয়া ছিল আমার পড়ার সাথী, গল্প বলার সাথী দুষ্টুমির সাথী। ভাই বোন ছোট বড় ঠিক এমনটা না আমরা দুজন ছিলাম একেবারে সমবয়সী বন্ধুর মতো। যেদিন ভাইয়াকে ঘাতকরা শহীদ করে দেয় তার আগের রাতেও অনেক রাত করে আমরা একসাথে পড়াশোনা করেছি। আমার মন খারাপের গল্পগুলো সোনার আর কেউ নেই। যখন কথা বলতে শিখি তখন আমার মুখে ভাইয়া ডাক শোনার জন্য কত আগ্রহ ছিল আমার ভাইয়ের। আমার ভাইটি আর অধীর আগ্রহে থাকবে না আমার ভাইয়া ডাক শোনার জন্য। আমার এইটুকু ছোট জীবনে ভাইয়ার মত এতটা নামাজী, সৎ, মেধাবী, পরিশ্রমী বিনয়ী ও বন্ধু ভাবাপন্ন দ্বিতীয় কাউকে দেখিনি। ফ্যাসিস্ট সরকারের পদলেহনকারী দোসররা এভাবে করে আমার বন্ধুভাবাপন্ন অভিভাবককে শেষ করে দিল তা ভাবতেই পারছিনা। শহীদ হওয়ার দুই মাস পেরিয়ে গেলেও ভাইয়ার স্মৃতিগুলো কোনভাবেই ভুলতে পারছি না। ভাইয়াকে ছাড়া পড়ার টেবিলে মন বসছে না। পড়াশোনায় কোন ভাবে মনোযোগ ফিরিয়ে আনতে পারছি না। চিৎকার করে খুব বলতে ইচ্ছে করে," আমার সবকিছু নিয়ে যাও তবু আমার বন্ধু ভাইয়াকে ফিরিয়ে দাও"। যদিও তা কখনও সম্ভব না শুধু অবুঝ মনের আকুতি। দেড় বছরের ছোট বোন : বয়সে এতটাই ছোট যে ভাইকে যে হারিয়ে ফেলেছে/ভাই কোথায় গেছে তা ঠিক বুঝে উঠতে পারে না। প্রতিনিয়তই মাকে বাবাকে ভাই কোথায় এই প্রশ্ন করে। ঘরের আনাচে কানাচে সব জায়গায় ভাইকে খুঁজে ফেরে। চাচা : তাহমিদ ঠিক আমার ভাতিজা নয় ছিলো নিজ সন্তানের মতো।অসাধারণ প্রতিভার অধিকারী ছিলো আমার ভাতিজা। ঘাতকরা আমার আদুরে ভাতিজার প্রতিভাগুলোকে বিকশিত করার সুযোগটুকু দিলোনা। ফুপু : তাহমিদ ছিলো আমার কলিজার টুকরা ভাতিজা। কতো আদরমাখা ভালোবাসার কন্ঠে ফুপু বলে ডাকতো। বাজানকে হারানোর ব্যাথা আমরা সহ্য করতে পারছিনা। শিক্ষক : আমাদের প্রতিষ্ঠানের নবম শ্রেনীর বিজ্ঞান বিভাগের একজন অসাধারন প্রতিভা ও মেধার অধিকারী ছাত্র ছিলো। কতটা মায়াবী ছিলো ছেলেটা। শিক্ষকদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন ও কথায় বিনয়ীভাব ছিলো হৃদয়কাড়ার মতো। শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা সবাই ই তাহমিদকে খুব মিস করে পাশাপাশি তাহমিদের এই আত্মত্যাগে আমাদের প্রতিষ্ঠানের সবাই গর্বিত। বন্ধুদের স্মৃতিচারণ : আমরা বন্ধু হারাইনি হারিয়েছি আপন ভাইকে।কোনো বিষয়ে সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগলে তাহমিদ চট করেই একটা উত্তম পরামর্শ/বুদ্ধি বের করে দিতো। মসজিদ থেকে ক্লাসরুম, ক্লাসরুম থেকে খেলার মাঠ সবজায়গায়ই আমরা তাহমিদ কে মিস করছি। পাশাপাশি আমরা সবাই গর্বিত যে এমন একজন আত্মত্যাগী বন্ধু পেয়েছিলাম। এক নজরে শহীদের ব্যক্তিগত তথ্য সমূহ পুরো নাম : তাহমিদ ভূঁইয়া জন্ম তারিখ : ০৮/০৫/২০০৯ পেশা : ছাত্র ঠিকানা : গ্রাম: চিনিশপুর, ইউনিয়ন: চিনিশপুর, থানা: নরসিংদী সরদ, জেলা: নরসিংদী পিতার নাম : মো: রফিকুল ইসলাম বয়স : ৪৬, পেশা: পল্লী চিকিৎসক মাতার নাম : তায়্যিবা বেগম; বয়স: ৩৬; পেশা: গৃহিনী পরিবারের সদস্য সংখ্যা : ৪ ভাই বোনের সংখ্যা : ২ : ১। লিনাত ভূঁইয়া (১৩বছর), পড়াশোনা: ক্লাস সেভেন : ২। তাছফিয়া ইসলাম (১.৫ বছর) ঘটনাস্থান : জেলখানা মোড়, নরসিংদী আক্রমণকারী : স্বৈরাচারী হাসিনার ঘাতক পুলিশ আহত হওয়ার তারিখ : ১৮/০৭/২০২৪ মৃত্যুর সময় ও তারিখ : ১৮/০৭/২০২৪, বিকাল ৪.৩০টা শহীদের কবরের বর্তমান অবস্থান : চিনিশপুর সামাজিক কবরস্থান