জন্ম তারিখ: ১ মার্চ, ২০০৯
শহীদ হওয়ার তারিখ: ৫ আগস্ট, ২০২৪
বিভাগ: ঢাকা
পেশা :শিক্ষার্থী, শাহাদাতের স্থান:টাঙ্গাইল সদর হাসপাতাল।
শহীদ মারুফ মিয়া। পিতা মজনু মিয়া ও মাতা মোরশেদা বেগম। টাঙ্গাইল জেলার সদর উপজেলার সাবালিয়া মহল্লায় জন্মগ্রহণ করেন শহীদ মারুফ মিয়া। প্রবাসী বাবার একমাত্র পুত্র সন্তান। বাবা সৌদি প্রবাসী হওয়ায় টাঙ্গাইলের নিজ বাড়িতে মা এবং ছোট বোন সানজিদাকে নিয়ে বসবাস করতেন দশম শ্রেণির দুরন্ত কিশোর শহীদ মারুফ। শাহাদাতের ঘটনা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জুলাই মাস জুড়ে চলা বিভিন্ন কর্মসূচির প্রতি সংহতি জানিয়ে দেশের আপামর ছাত্র জনতা বিক্ষোভ এবং প্রতিবাদের মাধ্যমে স্বৈরাচারী সরকারের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পুলিশ-র্যাব-বিজিবির নির্বিচার গুলিবর্ষণের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায়। এমন পরিস্থিতিতে আগস্ট মাসের ৫ তারিখে মার্চ টু ঢাকা কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। এই কর্মসূচিকে পেশিশক্তি দ্বারা প্রতিহত করতে চাইলে ছাত্র-জনতার স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিরোধের মুখে স্বৈরাচারী খুনি হাসিনা দেশ থেকে পালাতে বাধ্য হয়। সারাদেশের মানুষ আনন্দে ফেটে পড়ে এবং বিভিন্ন জায়গায় মিষ্টি বিতরণ ও আনন্দ মিছিল হয়। এমনই একটি আনন্দ মিছিলে টাঙ্গাইলের সাবালিয়া মদের মোড় এলাকায় যোগ দেন শহীদ মারুফ মিয়া। বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে মদের মোড় এলাকার আয়শা খানম ক্লিনিকের সামনে পৌঁছালে স্বৈরাচারের সহযোগী পুলিশ এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ শুরু করে। একটি গুলি এসে আঘাত করে কিশোর শহীদ মারুফের ডান কানে। সঙ্গে সঙ্গে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন মারুফ। গুলিবিদ্ধ শহীদ মারুফকে টাঙ্গাইল সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। শহীদের সংক্ষিপ্ত পরিচয় নাম : মারুফ মিয়া পেশা: দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী, শাহিন স্কুল টাঙ্গাইল পিতা : মজনু মিয়া পেশা : সৌদিপ্রবাসী মাতা : মোরশেদা বেগম ভাই-বোন : এক ভাই, এক বোন অবস্থান : বড় স্থায়ী ঠিকানা : সাবালিয়া, টাঙ্গাইল সদর, টাঙ্গাইল শহীদ হওয়ার স্থান : সাবালিয়া মদের মোড়, আয়শা খানম ক্লিনিকের সামনে শহীদ হওয়ার সময় : ৫ আগস্ট ২০২৪ বিকেল সাড়ে পাঁচটা আঘাতের ধরন : পুলিশের বুলেট ডান কানে আঘাত করে প্রস্তাবনা আর্থিক সহযোগিতার প্রয়োজন নেই, তবে পরিবারের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা দরকার।