জন্ম তারিখ: ৪ মার্চ, ২০০১
শহীদ হওয়ার তারিখ: ১৯ জুলাই, ২০২৪
বিভাগ: ঢাকা
পেশা : ছাত্র, শাহাদাতের স্থান : আব্দুল্লাহপুর, উত্তরা, ঢাকা
টাঙ্গাইল জেলার ধলাপাড়া ইউনিয়নের ঘাটাইল থানার ফুলমালির চালা গ্রামে ২০০৩ সালের ৪ঠা মার্চ জন্মগ্রহণ করেন। কুয়েত প্রবাসী পিতা জনাব লুৎফুর রহমান এবং মা শাহনাজ বেগমের তিন পুত্র সন্তানের মধ্যে শহীদ হাফেজ সাদিক দ্বিতীয়। বড় ভাই শামীম উপার্জনের তাগিদে এক বছর আগে পাড়ি জমান সিঙ্গাপুরে। পিতার স্বপ্ন ছিল শহীদ সাদিককে বড় আলেম বানানোর। সেই উদ্দেশ্যে ছোটবেলা থেকেই মাদ্রাসা শিক্ষায় শিক্ষিত করে তোলেন শহীদ সাদিককে। হেফজ শেষ করার পরে বড় আলেম বানানোর উদ্দেশ্যে শহীদ সাদিককে ভর্তি করানো হয় আব্দুল্লাহপুরের জামিয়া দ্বীনি ইসলামিয়া মাদ্রাসার কিতাব বিভাগে। কিন্তু সেই স্বপ্ন পূরণের আগেই স্বৈরাচার সরকারের পেটুয়াবাহিনীর বুলেটের আঘাতে ঝরে যায় এই তরুণ প্রাণ। শহীদ হওয়ার প্রেক্ষাপট জুলাই মাস জুড়ে চলতে থাকা বিপ্লবের ধারাবাহিকতায় ১৮ জুলাই ২০২৪ তারিখে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সারাদেশব্যাপী "কমপ্লিট শাট ডাউন" কর্মসূচির ঘোষণা দেয়। উক্ত কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য শহীদ হাফেজ সাদিক অন্যান্য ছাত্রদের সাথে ১৯ জুলাই ২০২৪ তারিখে দুপুর ১২:০০ টায় আব্দুল্লাহপুরে একত্রিত হন। কিছুক্ষণ অবস্থান করার পরে জুমার নামাজ পড়ে বিকেল তিনটার সময় পুনরায় সবাই একত্রিত হন। বিকেল চারটার দিকে পুলিশ ও বিজিবি এলোপাথাড়ি গুলি চালায়। হঠাৎ একটি গুলি শহীদ সাদিকের মাথায় আঘাত করলে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। স্থানীয় জনতা তাকে আধুনিক মেডিকেল কলেজে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। যে মাথায় সংরক্ষিত ছিল পবিত্র কুরআন, হায়েনার বুলেটের আঘাতে সেই মাথা ক্ষতবিক্ষত হয়। শহীদের মায়ের মন্তব্য "আইজক্যা দেড় মাস অইলো আমার বাবা শহীদ অইছে। পুলিশের করা গুলি পেটে লইয়া (নিয়ে) আমার বাবা কবরে শুইয়া রইছে। আমার মুনে কয়, পেটে গুলি থাকায় আমার বাবা কষ্ট পাইতাছে।" সংক্ষেপে শহীদ প্রোফাইল নাম : মোহাম্মদ সাদিকুর রহমান পিতা : লুৎফর রহমান মাতা : শাহনাজ বেগম ভাই-বোন : তিন ভাই অবস্থান : দ্বিতীয় শহীদ হওয়ার স্থান : আব্দুল্লাহপুর, উত্তরা, ঢাকা শাহাদাতের তারিখ : ১৯ জুলাই ২০২৪ বিকাল ৪:০০ টা আঘাতের ধরন : পুলিশের ছড়া বুলেট মাথায় আঘাত করে প্রস্তাবনা : পরিবারের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা এবং মাসিক ও এককালীন সহযোগিতা প্রদান করা।