জন্ম তারিখ: ১ জানুয়ারি, ১৯৮১
শহীদ হওয়ার তারিখ: ১৯ জুলাই, ২০২৪
বিভাগ: ঢাকা
পেশা : অফিস স্টাফ, শাহাদাতের স্থান : মিরপুর ১০ নাম্বার গোল চত্বর।
টাঙ্গাইল জেলার ভূঞাপুর উপজেলার ঘাটান্দি গ্রামে ১৯৮১ সালের ১ জানুয়ারি অতি নিম্নবিত্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন শহীদ মোহাম্মদ ফিরোজ তালুকদার। দুই ভাই, এক বোনের মধ্যে শহীদ ফিরোজ সবার বড়। দারিদ্রের কষাঘাতে পড়াশোনা খুব বেশি দূর করতে পারেননি। অষ্টম শ্রেণি পাশ করা শহীদ ফিরোজ তালুকদার জীবন জীবিকার তাগিদে রাজধানী ঢাকায় একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে অফিস সহায়ক পদে চাকরি করতেন। চাকরি থেকে প্রতি মাসে মাত্র ১২ হাজার টাকা বেতন পেতেন, যা দিয়েই বৃদ্ধা মা, স্ত্রী এবং এক কন্যাসন্তানসহ চারজন সদস্যের পরিবারের ভরণপোষণের ব্যয় নির্বাহ করতেন। একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তিকে হারিয়ে সহায় হয়ে পড়েছেন শহীদের পরিবারের সদস্যরা। শহীদ ফিরোজের শাহাদাতের মাত্র এক মাস পূর্বেই তার বৃদ্ধ পিতা মৃত্যুবরণ করেন। শাহাদাতের প্রেক্ষাপট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকার দমন নিপীড়ন চালানো শুরু করলে, জুলাই মাসের ১৮ তারিখ ছাত্র আন্দোলন সারাদেশে "কমপ্লিট ডাউন" কর্মসূচির ঘোষণা করে। ছাত্রদের "কমপ্লিট শাটডাউন" কর্মসূচির ফলে সারা দেশ কার্যত অচল হয়ে পড়ে। ছাত্রদের আন্দোলনের সাথে সংহতি জানিয়ে সারা দেশের আপামর জনতা রাস্তায় নেমে আসে। ব্যতিক্রম ছিল না রাজধানী ঢাকার মিরপুর ১০ নাম্বার চত্বরও। ১৯ জুলাই মিরপুর ১০ নাম্বার চত্বর ছাত্র-জনতার সমাবেশস্থলে পরিণত হয়। বিকাল সাড়ে চারটায় নিরস্ত্র, নিরীহ সাধারণ ছাত্র-জনতার এই সমাবেশের ওপর হেলিকপ্টার থেকে গুলি চালায় স্বৈরাচারের দোসর র্যাব ও পুলিশ বাহিনী। গুলি এসে আঘাত করে শহীদ ফিরোজ তালুকদারের পেটে। আহত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে ঘটনাস্থলেই শাহাদাতবরণ করেন শহীদ ফিরোজ। সংক্ষিপ্ত শহীদ প্রোফাইল নাম : মোহাম্মদ ফিরোজ তালুকদার জন্ম তারিখ : ০১-০১-১৯৮১ পিতা : মৃত মো: সোহরাব আলী মাতা : ভানু বেগম ভাই-বোন : দুই ভাই, এক বোন শহীদের অবস্থান : বড় স্ত্রী : রেশমা সুলতানা কন্যা : রাইকা তাসলিম, বয়স: ৮ বছর শাহাদাতের স্থান : মিরপুর ১০ নাম্বার গোল চত্বর শাহাদাতের তারিখ : ১৯ জুলাই ২০২৪, বিকাল সাড়ে চারটা আঘাতের ধরন : পুলিশ-র্যাবের ছোড়া বুলেট পেটে আঘাত করে প্রস্তাবনা : ১. শহীদের কন্যার পড়াশোনার দায়িত্ব গ্রহণ করা : ২. শহীদের বৃদ্ধা মায়ের জীবনযাপনের যাবতীয় খরচ নির্বাহের ব্যবস্থা করা : ৩. শহীদের স্ত্রীর কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা