জন্ম তারিখ: ১৮ অক্টোবর, ১৯৮০
শহীদ হওয়ার তারিখ: ৪ আগস্ট, ২০২৪
বিভাগ: বরিশাল
পেশা : ছাতার দোকান, শাহাদাতের স্থান :ভোলা
গরিব পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন ভোলার ইসলাম প্রিয় ও আল্লাহ ভীরু শহীদ মো: জসিম। আর্থিক অবস্থার দু-টানার মধ্যে পিতৃহীন জসিম ছাতা তৈরির কাজ করে অসুস্থ মা ও তিন ছেলে মেয়ে নিয়ে কোনমতে জীবিকা নির্বাহ করে সংসার চালিয়েছিলেন। বাবার স্বপ্ন ছিল অল্প আয়ের মধ্যে দিয়ে হলেও সন্তানের ভবিষ্যত নিশ্চিত করা। অসহায় শহীদ জসিম নৈতিক ভাবে ছিল খুবই উঁচু মানের লোক। তাই ছাতা কারিগর হয়েও সন্তানাদির ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষায় গড়ে তোলা ছিল তার কাঙ্ক্ষিত স্বপ্ন। ভাগ্যের নির্মম পরিহাস দেশব্যাপী কোটা আন্দোলনের জোয়ার দেখে একজন দিনমজুর যখন স্বপ্ন বুনতে থাকে তখনই দীর্ঘ দেড়যুগ ধরে স্বৈরাচার সরকারের পেটুয়া বাহিনী কতৃক ছোঁড়া গুলিতে প্রাণ হারিয়ে এই ধরার মায়া ছেড়ে চলে যান শহীদ মো জসিম। কতোই না বেদনাদায়ক ও নির্মম গণহত্যা ছিল ৪ আগস্ট ২০২৪ তার বিররণ অনুমেয়। শহীদ মো: জসিমের ঘর কান্নার শব্দে কাঁপছে এখন। ঘরে ১৫ বছরের শিশু সিয়াম ছাড়া উর্পাজন করে সংসারের হাল ধরার আর কোন উপায় দৃশ্যমান না। তাই ছোট্ট শিশু সিয়াম পড়াশোনা বাদ দিয়ে বাবার পথে হাঁটছে। শহীদ পরিচিত দিনমজুর শহীদ মো: জসিম ১৪ অক্টোবর ১৯৮০ সালে ভোলায় এক হত দরিদ্র পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। পেশাগত জীবনে খুব বেশি উপকৃত না হলেও ধর্মীয় বিশ্বাস ও নৈতিক অবস্থান মজবুতের সাথে এতিম জসিমের সংসার চলছিল। প্রতিদিনের মতো জসিম সাহেব ছাতা মেরামতের কাজ করতে দোকানে যান। সেই দিন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা আন্দোলনের অন্যতম কর্মসূচী অসহযোগ আন্দোলন শুরু হয়। ঠিক দুপুর ২টার সময় হঠাৎ করে ঘাতক পুলিশ মুক্তিকামী ছাত্র-জনতার উপর নির্বিচারে গুলি চালায়। স্বৈরাচারী হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে গড়ে ওঠে সরকার পতনের তীব্র আন্দোলন। আহত হওয়ার ঘটনা ৪ আগস্ট ২০২৪ দুপুর ২. ০০ টায় মো. জসিম নিজ কর্মস্থল ছাতা মেরামতের দোকানের উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়ে নবীনপুর ৩ নং ওয়ার্ড মোড়ে যান। একটি রিকশাতে করে গিয়ে মার্কেটের সামনে পৌঁছানোর পর রিকশা থেকে নেমে মার্কেটের ভিতরে ঢুকবেন এমন সময় কোনো রকম ঘোষণা, মাইকিং বা সংকেত ছাড়াই স্বৈরাচারী হাসিনা সরকারের সন্ত্রাসী বিজিবি বাহিনী মানুষকে ভীত করার উদ্দেশ্যে সাধারণ জনতাকে লক্ষ্য করে অনবরত গুলি ছুঁড়তে ছুঁড়তে চলে আসে মার্কেটের সামনে। এখানে এসে এলোপাতাড়ি গুলি ছুঁড়ে স্বৈরাচারের পদলেহনকারী বিজিবি বাহিনী। এগুলোর মধ্যে হঠাৎ একটি গুলি জনাব মোঃ জসিমের পিঠ দিয়ে ঢুকে পেট দিয়ে বের হয়ে যায়। সাথে সাথে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, কিছু বুঝে ওঠার আগেই এসব ঘটে যায়। জসিমের শরীরে গুলি লাগলে পেট ছিদ্র হয়ে ভূরি বের হয়ে আসে। তিনি পেটে হাত দিয়ে মাটিতে পড়ে যান। শহীদ জসিমকে উদ্ধারের জন্য প্রচেষ্টা ঘটনাস্থলে উপস্থিত জনতা প্রথমবার চেষ্টা করেও তাঁকে ঘাতক পুলিশের হাত থেকে উদ্ধার করতে পারেনি। পুলিশ তখন অনবরত গুলি ছুঁড়ছিল। সেখানে আরো অনেকে শাহাদাত বরণ করেন। শহীদ জসিমের পরিচিত একজন তার বাড়ীতে খবর জানান। খবর পেয়ে শহীদের ছেলে আর ভাতিজা বাড়ি থেকে ছুটে চলেন সংগঠিত ঘটনাস্থলে দিকে। তারা গ্রামের রাস্তা দিয়ে দৌড়ে মার্কেটে যাবার সময় সেই রাস্তায়ও বিভিন্ন জায়গায় বেশ কয়েকটি লাশ পড়ে থাকতে দেখে। ফলে মূহুর্তের মধ্যে এখানে কি হয়ে গেছে তা তারা অনুমান করতে পেরেছিল। স্বৈরাচার পুলিশ সাধারণ একটা গ্রামের ছোট রাস্তায় ঢুকেও মানুষ হত্যা করতে কুন্ঠাবোধ করেনি। একটার পর একটা লাশ পার হয়ে সম্মুখে এগিয়ে যায়। শহীদের ছেলে সিয়াম ও চাচাতো ভাই। একটা সময় তারা পৌঁছে যায় মার্কেটের সামনে। একটু দূর থেকেই দেখতে পায় শহীদ মো: জসিম মাটিতে পড়ে আছেন। আর মাত্র কয়েক কদম গেলেই পৌঁছা যাবে তাঁর কাছ। এমন সময় আবার রক্ত পিপাসু পুলিশের গুলি। একটু দূরেই যে পেটুয়া বাহিনী পুলিশের গাড়ি ছিলো তারা তা লক্ষ্য করেনি। সাথে সাথে তারা পিছনের দিকে সরে যায়। পুলিশের মুহুর্মুহু গুলিতে কোনোভাবেই আর সামনে আগানো যাচ্ছে না। দুই চাচাতো ভাই বুদ্ধি করে আরও একটু পিছনে গিয়ে রাস্তা থেকে বিলের মধ্যে নেমে যায়। তারপর ফসলের ক্ষেত পেরিয়ে বনের ভিতর দিয়ে গিয়ে বাজারের পিছন দিক দিয়ে ঢুকে। তারপর পুলিশের গুলির শব্দ কিছুটা কমে আসলে তারা দৌড়ে যায় শহীদ মো: জসিমের দিকে। দুই ভাই মিলে শহীদকে রাস্তা থেকে তুলতে যাবে এমন সময় তাদের পিছন দিক থেকে কয়েকজন পুলিশ চিৎকার করে উঠে। অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে তাদের দুজনকে। একজন রেগে গিয়ে কিছু একটা ছুঁড়ে মারে তাদের দিকে। আরএকজন পুলিশ সদস্য তাদেরকেও গুলি করে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে গুলি করার প্রস্তুতি নিতে গেলে অন্য একজন পুলিশ সদস্য তাকে বাঁধা দেয়। আর দুই চাচাতো ভাইকে ইশারা করে তাড়াতাড়ি লাশ নিয়ে চলে যেতে। শহীদের লাশের পাশে নিজেরাই যখন মনে মনে মৃত্যুর জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিল ঠিক তখন পুলিশের মধ্য থেকেই একজন সদস্যের এমন সংকেত পেয়ে যেন তাদের সাহস বেড়ে গেলো। কাল বিলম্ব না করে দুইজন মিলে শহীদ জসিমকে নিয়ে নিরাপদ দূরত্বে প্রস্থান করে। উদ্ধার ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া শহীদ মো জসিমের ছেলে সিয়াম আর ভাতিজা তাঁকে মার্কেটের ভিতরের দিকে নিয়ে আসে। তারপর তারা কয়েকটি এম্বুলেন্সকে কল করে। কিন্তু এখানকার উত্তপ্ত পরিস্থিতির কথা শুনে কোনো এম্বুলেন্স আসতে রাজি হয়নি। অবশেষ উপস্থিত জনতার মধ্য থেকে কয়েকজনের সহযোগিতায় একটা ভ্যান গাড়ি করে ভোলা জেলার সদর হাসপাতালে নিয়ে যায় শহীদ মো জসিমকে। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান যে জনাব মো জসিম এখনো মৃত্যু বরণ করেননি। তিনি এখনো বেঁচে আছেন! কিন্তু তার অবস্থা খুবই আশঙ্কাজনক। তাকে বাচাতে হলে যত দ্রুত সম্ভব ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে। বাবা বেঁচে আছেন! চাচা বেচে আছেন! ডাক্তারের মুখে এমন সংবাদ শুনে জীবনের শ্রেষ্ঠতম খুশি হয় যেন শহীদের ছেলে আর ভাতিজা। সাথে সাথে তারা এই সুসংবাদ তাদের পরিবারকে জানায়। কেননা এর আগে ভ্যানে করে তাকে নিয়ে আসার সময় বাড়িতে কল করে তার শাহাদাতের খবর জানানো হয়। জনাব মো: জসিমের মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে তার পরিবারের সদস্যরা তখনই রওনা দিয়েছিল জেলা হাসপাতালের দিকে। পথিমধ্যে আবার তার বেঁচে থাকার সংবাদে যারপরনাই খুশি হয়ে যায় তারা। ডাক্তারের পরামর্শ মতো সকলে মিলে একটা এম্বুলেন্স ভাড়া করে এবার আহত জসিমকে নিয়ে তার পরিবার রওনা দিলো ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উদ্দেশ্যে। পথিমধ্যে পুলিশ বাধা আহত মো: জসিমকে বহনকারী অ্যাম্বুলেন্স ঢাকার শাহবাগ মোড় দিয়ে যাবার সময় সেখানে টহলরত পুলিশ আর বিজিবি এম্বুল্যান্সের গতিরোধ করে। আটকে দেয় তাদের গাড়ি। খুনি পুলিশ আর নিষ্ঠুর বিজিবি গুলিবিদ্ধ আহত মো: জসিমকে হাসপাতালে ভর্তি হতে দিবে না। আহত জসিমের ছেলে সিয়াম ও ভাতিজারা বিভিন্নভাবে তাদেরকে বুঝাতে থাকেন। কিন্তু তারা কোনোভাবেই এই রোগীকে হাসপাতালে নিতে দিবে না। তাহলে নাকি তাদের চাকরি থাকবে না। স্বৈরাচারের পা-চাটা এই বাহিনী দুটোকে নানাভাবে বুঝাতে বুঝাতে অনেক সময় চলে যায়। স্বৈরাচার পুলিশ আর বিজিবি এরকম সরকারি আক্রমণে আহত রোগীকে কোনো হাসপাতালে কিছুতেই ভর্তি হতে দিবে না। ওইদিকে গুরুতর আহত জসিমের অবস্থা খুবই খারাপ। প্রতিনিয়ত রক্তক্ষরণ হচ্ছে তার শরীর থেকে। এমন সময় তাকে বাঁচানোর জন্য তার সন্তান সিয়ামের মাথায় আসলো নতুন কৌশল। তার মনে পড়ে গেলো বাংলাদেশের পুলিশের চিরায়ত চরিত্রের কথা। সাথে সাথে তিনি পুলিশের একজন অফিসারকে একপাশে ডেকে নিয়ে তার হাতে বেশ কিছু টাকা ধরিয়ে দিয়ে উর্ধ্বতন কর্মকতাকে ম্যানেজ করতে অনুরোধ করে। হারামখোর সেই পুলিশের চেষ্টায় অবশেষে কাজ হলো। তারপর আবার ঢাকা মেডিকেলের দিকে ছুটে চলে আহত মো: জসিমকে বহন করা এম্বুলেন্স। দুপুর পৌনে ২টার দিকে তাকে নিয়ে এম্বুলেন্স পৌঁছালো ঢাকা মেডিকেলের জরুরী বিভাগে। হাসপাতালে ভর্তিতে বাধা হাসপাতালে পৌঁছে গুরুতর আহত জসিমকে ভর্তি করতে গেলে সেখানেও বাঁধা। স্বৈরাচার সরকারের বাহিনী দ্বারা আহতদেরকে ভর্তি নিতে তারা প্রচণ্ড রকম নারাজ। মনে হয় যেন পুরো দেশটাকে তারা ইজারা নিয়েছে। এইসব ন্যাক্কারজনক দৃশ্য দেখে গুরুতর আহত জসিমের ছেলে আর ভাতিজা কর্তব্যরতদের উপর রেগে যেতে নিলে তার শ্যালক তাদেরকে শান্ত করেন। অমানবিক শর্ত মেনে ভর্তি অনেক অনুনয় বিনয় করেও যখন স্বৈরাচার কর্মকর্তা কর্মচারীদের মন গলানো গেলো না তখন শাহবাগে পুলিশ আর বিজিবিকে যেভাবে ম্যানেজ করে এসেছে এখানেও সেভাবে ম্যানেজ করে আহত মো জসিমকে ভর্তি করানো হয়। তবে শর্ত থাকে যে হাসপাতালের চিকিৎসা,ঔষধ, খাবার এই ধরনের সরকারি কোনো সুবিধাই জসিমকে দেয়া হবে না। সবকিছুই তাকে কিনে নিতে হবে এবং যা কিছুই ঘটুক না কেনো এখানে কোনো কান্নাকাটি করা যাবে না। কোনো মিডিয়ার সাথে কথা বলা যাবে না। এসব কথার যদি কোনো হের ফের হয় তাহলে সাথে সাথে রোগীকে হাসপাতাল থেকে বের করে দেয়া হবে। নিরুপায় হয়ে স্বৈরাচারের সকল শর্ত মেনে নেয় আহত মো জসিমের পরিবার। ঢাকা মেডিকেলে দুর্বিষহ একটি দিন ভর্তি করানোর পরে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে আহত জসিমকে প্রথমে ঢালাও বিছানায় এবং কিছুদিন পরে বেডে দেয়া হয়। ওই সময়ে ঢাকা মেডিকেলে কেবল রোগী আর রোগী। বেশির ভাগই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা আন্দোলনে আহত। ১৬,১৭,১৮ জুলাইয়ের রোগী বেশি। তখন সরকারের সরাসরি নিষেধাজ্ঞা ছিলো না, তাই ভর্তি নিতো। ভর্তির প্রায় কিছুক্ষণ পরে আহত মো জসিমের অপারেশন শুরু হশ। ৮ ব্যাগ রক্ত লাগে তার। একে তো পরিবারের বেশিরভাগ আত্মীয়স্বজন গ্রামের বাড়িতে আছে তার উপর আবার দেশের এমন উত্তপ্ত অবস্থা। তাই রক্ত বা ডোনার সংগ্রহ করা সোনার হরিণ সংগ্রহ করার মতো অসাধ্য হয়ে দাঁড়িয়েছিল। অবশেষে অনেক চড়াই-উতরাই ডিঙ্গিয়ে ঐদিনের সবকিছুর সাপেক্ষে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেও আর বাঁচানো গেলো না শহীদ মো: জসিমকে। জানাজা ও দাফন শহীদ মো: জসিমের মৃতদেহ বাড়িতে আনার পর স্ত্রী সন্তানদের কান্নায় আকাশ বাতাস ভারী হয়ে উঠি; প্রকম্পিত হয় পুরো বাড়ি। উপস্থিত সকলের একাটাই দাবি এই হত্যার বিচার করতে হবে। পরবর্তীতে গোসল দিয়ে বাদ মাগরিব নবিপুর তালুকর মসজিদে হাজার হাজার জনতার উপস্থিতিতে জানাজা শেষে তাকে দাফন করা হয়। শহীদ সম্পর্কে নিকট আত্নীয়দের অনুভূতি শহীদের স্ত্রী নারগিস বলেন, আমি স্বামী হারিয়ে অনেক দুশ্চিন্তায় আছি যে, আমার সন্তানদের দেখাশুনার দায়িত্ব কিভাবে চালিয়ে যাবো? আপনারা যদি সহযোগীতা করেন তাহলে আমি আমার সন্তানের ভার বহন করতে পারবো। ভাই সবুজ বলেন, আমার ভাই মারা যাওয়ায় আমি অনেক কষ্টে আছি। আমার ভাতিজাদের দেখাশুনা কে করবে, আমি নিজেও তো অসহায়। এখন আপনারা যদি সহযোগিতা করেন তাহলে আমার জন্যও অনেক সহজ হবে তাদের কে দেখাশুনা করা। একনজরে শহীদ মো জসিমের ব্যক্তিগত তথ্যাবলি শহীদের নাম : মো: জসিম জন্ম : ১৪ অক্টোবর ১৯৮০ পেশা : ব্যবসা কর্মরত প্রতিষ্ঠান : ছাতার দোকান ঠিকানা : আবু খলিফা বাড়ি, ইউনিয়ন: পৌর নবীপুর ৩ নং ওয়ার্ড, থানা: ভোলা সদর, জেলা: ভোলা পিতা : মৃত আবু কালাম খলিফা মাতা : বিবি ফাতেমা ঘটনার স্থান : ভোলা আক্রমণকারী : পুলিশ আহত হওয়ার সময়কাল : ৪ আগস্ট ২০২৪, দুপুর ২টা মৃত্যুর তারিখ : ৪ আগস্ট ২০২৪ প্রস্তাবনা: শহীদের পরিবারকে এককালীন আর্থিক সাহায্য প্রদান সন্তানের লেখা পড়ার খরচ ব্হনের ব্যবস্থা করা নিয়মিত মাসিক ভাতার ব্যবস্থা করা