জন্ম তারিখ: ২৩ অক্টোবর, ১৯৬৯
শহীদ হওয়ার তারিখ: ২০ জুলাই, ২০২৪
বিভাগ: ঢাকা_সিটি
পেশা: সিএনজি চালক শাহাদাতের স্থান: ঘটনার স্থান: ছনটেক স্কুল রোড, কাজলা, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা
"আমার ভাতিজি জামাই খুব ভাল চরিত্রবান আর পরোপকারী মানুষ ছিল" শহীদ পরিচিতি শহীদ মো: জাহাঙ্গীর ১৯৬৯ সালের ২৩ অক্টোবর পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা উপজেলাধীন আমখলা ইউনিয়নের বাউরিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মরহুম রতন খা এবং মাতা মরহুমা জরিনা খাতুন। জনাব জাহাঙ্গীর পেশায় একজন সিএনজি চালক ছিলেন। স্থায়ী ঠিকানা পটুয়াখালী হলেও পরিবার নিয়ে রাজধানী ঢাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতেন তিনি। জুলাই বিপ্লব তথা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যোগদান করে তিনি নিজের জীবন বিলিয়ে দেওয়ার মাধ্যমে শাহাদাত বরণ করেন। একজন সিএনজি চালক যে কারণে শহীদ হলেন কথায় আছে এদেশের রিকশাচালক, সিএনজি চালক গণমানুষের সুখ-দুঃখের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সাক্ষী। রাজপথের বহু ঘটনা-দুর্ঘটনার সাক্ষীও তারা। এই কথারই স্বার্থক দৃষ্টান্ত হলেন শহীদ মো: জাহাঙ্গীর। দেশ যখন রসাতলের অতল গহ্বরের দিকে ধাবমান; রাষ্ট্র যখন অদক্ষ, অসৎ, দুর্নীতিবাজ, লুটেরাদের মাধ্যমে ন্যাক্কারজনকভাবে পরিচালিত; বাজার যখন দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির অত্যাচারে জর্জরিত; জাতি যখন অভিশপ্ত স্বৈরাচারের নির্মম নৈরাজ্যে আক্রান্ত; ক্ষতবিক্ষত এদেশের আপামর জনতা তখন নিজ নিজ জায়গায় প্রকাশ্যে-অপ্রকাশ্যে মর্মান্তিকভাবে দুঃখিত, ব্যথিত এবং প্রচন্ডভাবে হতাশায় নিমজ্জিত। আর এই হতাশা থেকে আশার আলো নিয়ে; পরাধীনতা থেকে মুক্তির ডাক নিয়ে; বৈষম্যতা থেকে অধিকারের বার্তা নিয়ে জাতির সামনে এসে প্রথমেই শান্তিপূর্ণভাবে সরকারের কাছে নিজেদের দাবি তুলে ধরলো বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু সাধারণ শিক্ষার্থী। তাদের দাবি, মেধার ভিত্তিতে মূল্যায়ন করা হোক। সরকার ও রাষ্ট্রীয় সকল কাজে মেধা ও যোগ্যতার মাপকাঠিতে বিবেচনা করা হোক। ছাত্রদের এই হক কথা; ন্যায্য দাবিকেও হেয় প্রতিপন্ন করলো নাটকবাজ আওয়ামী সরকার। ২০১৮ সালেও এই দাবি নিয়ে রাজপথে নেমেছিল সাধারণ শিক্ষার্থীরা। তখনও চোর-ডাকাতের এই সরকার থামিয়ে দিয়েছিলো শিক্ষার্থীদের। এক সাগর কষ্ট বুকে নিয়ে তারা ফিরে গিয়েছিল রাজপথ থেকে। আসলেই কি তাই? না। সেটা ছিলো মূলত উদ্যোম গতিতে ফেরার জন্য কিছুটা পিছু হটা। তাইতো ২০১৮ সালের কোটা বিরোধী ছাত্র আন্দোলনই নাম পরিবর্তন করে ২০২৪ সালে ফিরে আসে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন হয়ে। এবারো তারা স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় নিজেদের দাবি পেশ করে। অথচ স্বৈরাচার সরকারের নানাবিধ টিটকারি, হঠকারিতা আর নির্লজ্জ হাস্যরসিকতা এই স্বাভাবিক দাবীকে এক বিপ্লবী আন্দোলনের রূপ নিতে বাধ্য করছে যেন। দেশের সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা সম্মিলিতভাবে তাদের দাবি আদায়ের লক্ষ্যে নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন, শান্তিপূর্ণ সমাবেশ, মিডিয়ায় বিবৃতি, সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখনী এবং সরকারের সাথে আলোচনার জন্য বিভিন্নভাবে চেষ্টা চালিয়ে যায়। কিন্তু খুনি সরকার শিক্ষার্থীদের এমন প্রচেষ্টাকেও কোনরকম গায়ে-ই মাখলো না। তুচ্ছতাচ্ছিল্য করলো তাদের। তারা শিক্ষার্থীদের সুশৃংখল মানববন্ধনে করলো লাঠিচার্জ! শান্তিপূর্ণ সমাবেশে মারলো টিয়ারসেল, রাবার বুলেট! শোকের মিছিলে করলো গুলি! কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে-হোস্টেলে, বাসা-বাড়িতে গিয়ে শুরু করলো তল্লাশির নামে নৈরাজ্য! মধ্যরাতে তুলে নিয়ে গিয়ে ঘুম, খুন, হত্যা! পথে-ঘাটে হামলা-মামলা গণগ্রেপ্তার! শিক্ষার্থীদের হাতে পরানো হলো হাতকড়া! কোমরে রশি! পায়ে পরালো ডান্ডাবেড়ি! প্রকাশ্যে ঘোষণা দিয়ে পুলিশ, র্যাব, বিজিবি, আনসার বাহিনীর পাশাপাশি রাজপথে নামানো হলো চরিত্রহীন ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামীলীগের গুন্ডাদের। এই দেশ আমার বাবার দেশ। এটা আমাদের ফিরে পাওয়া জমিদারি। তোরা সব রাজাকারের নাতিপুতি। এমনই ছিল যেন খুনি সরকারের মনোভাব। যার কারণেই কোটা বিরোধী বা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন হয়ে যায় দেশের সকল স্তরের সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলন। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সাথে একত্বতা ঘোষণা করে স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা রাজপথে নেমে আসে । তাদের সোজা কথা, দাবি আদায় না করে তারা ঘরে ফিরবে না। শুরু হলো পরীক্ষা বয়কট, ক্লাস বয়কট আর অবৈধ সরকারের সাথে অসহযোগিতা। একনায়কতন্ত্রে বিশ্বাসী, গণতন্ত্রের হত্যাকারী সরকার দেশব্যাপী সাধারণ শিক্ষার্থীদের এরকম গণজাগরণ দেখেও কেবলমাত্র নিজেদের অহমিকা, একঘেয়েমিতা আর ক্ষমতার বাহাদুরী প্রদর্শনের জন্যই আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর অত্যাচারের স্টিম রোলার চালিয়ে দিল। যেভাবে পারছে সেভাবেই তারা ছাত্র হত্যা করতে লাগলো। পিটিয়ে, কুপিয়ে, জখম করে, গুলি করে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের নৃশংসভাবে হত্যা করতে লাগলো ছাত্রত্বের আজীবন কলঙ্ক গুন্ডা ছাত্রলীগ। বাংলাদেশ নামক গাড়িটা যখন এমনভাবে ব্রেক ফেইল করলো আর বাংলাদেশী নামক যাত্রীরা যখন আতঙ্কিত; চারদিকে যখন কষ্ট, বেদনা, চিৎকার, আহাজারি আর নিশ্চিত ধ্বংসের সুস্পষ্ট লক্ষণ, তখন শহীদ জাহাঙ্গীরের মত দক্ষ সিএনজি চালকও কি বসে থাকতে পারে? তার হৃদয়ে কি দাগ না কেটে পারে? না, পেশায় সিএনজি চালক হলেও রাষ্ট্রযন্ত্রের এমন বর্বরতা দেখে সমাজ সচেতন একজন জাহাঙ্গীর আর বসে থাকতে পারে না। কেননা সবকিছু তো তার সামনেই ঘটছে। তিনি নিজের কানেই প্রতিদিন শুনছেন মানুষের নিদারুণ আর্তনাদ; ব্যথিত মনের হাহাকার। নিজের চোখে দেখছেন কিভাবে নির্বিচারে মানুষ হত্যা করছে শাসক নামধারী শোষক গোষ্ঠী। নিজের সন্তানতুল্য আহত, নিহত শিক্ষার্থীদের নিজের সিএনজিতে করে নিয়ে যখন ছুটছেন হাসপাতালে হাসপাতালে। এরপর তিনি নিষ্ক্রিয় থাকেন কী করে? তিনিও তো রক্তে মাংসে গড়া একজন মানুষ। তার মনেও নানা ধরনের প্রশ্ন জেগেছিল। তিনি ভাবতেন, এই দেশ কি আমার? এখানে আমার আর আমার পরিবারের ভবিষ্যৎ কি? আমার সন্তানদের নিরাপত্তা কোথায়? আমরা কি আসলেই বেঁচে আছি? নাকি জীবন্ত লাশ? আমরাও কি আহত, নিহত শিক্ষার্থীদের পরিবারের সদস্যদের মতো বিমুর্ত হয়ে বেঁচে আছি? এরকম শত সহস্র প্রশ্ন জেগে উঠতো জনাব জাহাঙ্গীরের হৃদয়ে। কোনো উত্তরই তিনি খুঁজে পেতেন না। আর যখন খুঁজে পেলেন,তখন নিজেকে তিনি আবিষ্কার করলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের পাশেই। আসলেই তো! এই যে শিক্ষার্থীদের জন্য তার মন কাঁদে; কম ভাড়ায় বা বিনা ভাড়ায় আহত, নিহত শিক্ষার্থীদের নিয়ে ছুটোছুটি করেন; নিহত শিক্ষার্থীদের পরিবারের আর্তনাদে যে তার খুব কষ্ট হয়, এটা কেন? আস্তে আস্তে তিনি বুঝতে পারেন নিজের অজান্তেই এতোদিন শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে সমর্থন করে এসেছেন। কৃতজ্ঞতায় মাথা নত করে দিলেন মহান সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের কাছে। সিদ্ধান্ত নিলেন, এখন থেকে প্রকাশ্যে এবং পুরোপুরিভাবেই যোগদান করবেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে। যেই ভাবনা সেই কাজ। আপনজনদের কারও কারও সাথে মতবিনিময়ও করেন শহীদ জাহাঙ্গীর। কারো কারো সমর্থনও পেয়ে যান তিনি। প্রতিদিন সিএনজি চালিয়ে যা উপার্জন হত তা থেকেই একটা অংশ ব্যয় করতেন আন্দোলনের জন্য। এভাবেই আন্দোলনের সাথে নিজেকে সম্পূর্ণভাবে জড়িয়ে ফেলেন তিনি। যেভাবে শহীদ হলেন ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের দাবির পক্ষে সমর্থন জানিয়ে তাদের যাবতীয় সহযোগিতা করতে থাকেন শহীদ মো: জাহাঙ্গীর। ২০ জুলাই ২০২৪ শনিবার দুপুর ১২ টা ১৫ মিনিটে ঢাকার যাত্রাবাড়ীর কাজলায় ছনটেক স্কুল রোডে তিনি শান্তিপূর্ণ আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের মাঝে রুটি বিস্কুট এবং পানি বিনামূল্যে সরবরাহ করছিলেন। এমন সময় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করে ঘাতক পুলিশ গুলি করলে শিক্ষার্থীদের মাঝে থাকা জনাব জাহাঙ্গীর গুলিবিদ্ধ হন। সাথে সাথেই তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে ঝুঁকি নিয়ে সাহসী কিছু ছাত্র তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে। গুরুতর আহত জাহাঙ্গীর চিকিৎসাধীন অবস্থাতেই বিকাল ৬টা ৩০ মিনিটে জান্নাতের মেহমান হওয়ার বাসনা নিয়ে মহান রবের দাওয়াত কবুল করে শাহাদাতের অমৃত পেয়ালা পান করেন। দেশবাসী হারায় এক সহজ সরল চরিত্রবান সাহসী বীরকে। পরের দিন ২১ জুলাই ২০২৪ রবিবার, পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা উপজেলাধীন আমখলা ইউনিয়নের বাউরিয়া গ্রামে জানাজা শেষে শহীদ মোহাম্মদ জাহাঙ্গীরকে দাফন করা হয়। পরিচিতজনদের মন্তব্য শহীদ জাহাঙ্গীর সম্পর্কে তার প্রতিবেশীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, তিনি একজন শান্ত স্বভাবের মানুষ ছিলেন। কোনো অন্যায় কাজে তিনি জড়িত ছিলেন না। তিনি নিয়মিত নামাজ আদায় করতেন। মানুষের বিপদে নিজের কষ্টকে উপেক্ষা করেও তিনি তাদের পাশে থাকতেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনেও সেই ধারাবাহিকতা রাখতে গিয়ে নিজের জীবন উৎসর্গ করেন। প্রতিবেশীরা মনে করেন, দেশের বিপদে এগিয়ে আসা এই মহান শহীদের নিঃস্ব পরিবারটির জন্য জরুরীভাবে নিয়মিত সহায়তা অব্যাহত রাখা প্রয়োজন। এ ব্যাপারে শহীদ জাহাঙ্গীরের চাচাশশুর মোহাম্মদ আব্দুল আলিম সাহেব বলেন, “আমার ভাতিজি জামাই খুব ভালো, চরিত্রবান আর পরোপকারী মানুষ ছিল”। তার এমন করুন মৃত্যুতে তিনি ভারাক্রান্ত হৃদয়ে দুঃখ প্রকাশ করে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন এবং সরকার ও দাতা সংস্থাকে অসহায় পরিবারটির সহায়তায় এগিয়ে আসতে অনুরোধ করেন। পারিবারিক অবস্থা শহীদ মো: জাহাঙ্গীর এর জন্মস্থান এবং স্থায়ী ঠিকানা পটুয়াখালী হলেও পরিবার নিয়ে তিনি ঢাকাতেই থাকতেন। পিতা-মাতা হারা শহীদ জাহাঙ্গীরের গ্রামে ৩ শতাংশ জমি থাকলেও সেখানে কোনো বাসা বাড়ি নেই। শহীদের পরিবার এখনো ঢাকার যাত্রাবাড়ী থানার ৬২ নং ওয়ার্ডের কাজলা প্রধান সড়ক ছনটেক আবাসিকে ভাড়া বাসায় থাকে। শহীদ জাহাঙ্গীর পারিবারিক জীবনে ৫ সন্তানের জনক। তার বড় ছেলে মো: রবিউল ইসলাম (১৭) বঙ্গমার্কেটে একটি কাপড়ের দোকানের কর্মচারী। বড় মেয়ে রিয়া আক্তার (১৬) লাইসিয়াম আইডিয়াল হাই স্কুলের দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী। অপর তিন সন্তান যথাক্রমে নাবিউল ইসলাম (০৬), সামিউল ইসলাম (০৪) এবং মিনহা আক্তার (০২) এখনও অবুঝ শিশু। স্ত্রীসহ সাত সদস্যের পরিবারে শহীদ জাহাঙ্গীর ছিলেন একমাত্র অভিভাবক। বড় ছেলে রবিউল ইসলামের সামান্য বেতনেই এখন কোনরকমে টেনেটুনে দিনাতিপাত করছে নিঃস্ব শহীদ পরিবারটি। অন্যান্য সন্তানেরা অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় তাদের পক্ষে পরিবার পরিচালনায় আর্থিকভাবে অংশগ্রহণ করা সম্ভব নয়। চরম এক দুর্দশায় প্রতিটি দিন পার করছে তারা। ইতোমধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে শহীদ সন্তানদের লেখাপড়াসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় মৌলিক অনেক কিছুই। এমতাবস্থায় যদি এই পরিবার পরিচালনার জন্য মাসে অন্তত ৩০ হাজার টাকা প্রদান করা যেত; কিংবা বড় ছেলেকে ব্যবসা করার জন্য ফান্ড করে দেয়া যেত; অথবা চারজন সন্তানের লেখাপড়ার খরচ পরিচালনার ব্যবস্থা করা যেত, তাহলে হয়তো অসহায় ও মানবেতর জীবন যাপন করা থেকে বেঁচে যেতে পারতো চব্বিশের বিপ্লবের শহীদ, পরোপকারী মানুষটার রেখে যাওয়া পরিবারটি। শহীদ মো: জাহাঙ্গীর এর সংক্ষিপ্ত তথ্য পূর্ণ নাম : মো: জাহাঙ্গীর জন্ম : ২৩ অক্টোবর ১৯৬৯ জন্মস্থান : পটুয়াখালী পিতার নাম : রতন খা (মৃত) মাতার নাম : জরিনা খাতুন (মৃত) স্থায়ী ঠিকানা : গ্রাম- বাউরিয়া, ইউনিয়ন- আমখলা, থানা- গলাচিপা, জেলা- পটুয়াখালী বর্তমান ঠিকানা : ছনটেক আবাসিক, প্রধান সড়ক, কাজলা, ৬২ নং ওয়ার্ড, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা পেশাগত পরিচয় : সিএনজি চালক মাসিক আয় ছিল : ৩০ হাজার টাকা পরিবারের বর্তমান সদস্য : ০৬ ঘটনার স্থান : ৬২ নং ওয়ার্ড, ছনটেক স্কুল রোড, কাজলা, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা আঘাতকারী : ঘাতক পুলিশ বাহিনী আহত হওয়ার সময় কাল : ২০ জুলাই ২০২৪, দুপুর ১২.০৫ মৃত্যুর তারিখ সময় ও স্থান : ২০ জুলাই ২০২৪, বিকাল ৬.৩০, ঢাকা মেডিকেল কলেজ কবরের বর্তমান অবস্থান : বাউরিয়া, আমখলা, গলাচিপা, পটুয়াখালী