Image of মো: ফারুক

নাম: মো: ফারুক

জন্ম তারিখ: ৩০ এপ্রিল, ১৯৮৯

শহীদ হওয়ার তারিখ: ১৬ জুলাই, ২০২৪

বিভাগ: চট্টগ্রাম

ব্যক্তিগত তথ্য:

পেশা: ফার্নিচার, শাহাদাতের স্থান: মুরাদপুর, চট্টগ্রাম

শহীদের জীবনী

মো: ফারুক, যিনি ৩০ এপ্রিল ১৯৮৯ সালে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তাঁর জীবন ছিল ভীষণ পরিশ্রমী ও আন্দোলনমুখী। পেশায় ফার্নিচার দোকানের কর্মচারী পদে চাকরি করতেন। চট্টগ্রামের মুরাদপুর এলাকার বাসিন্দা ছিলেন শহীদ ফারুক। বাংলাদেশ পুলিশের বর্বর আচরণে গত ১৬ জুলাই ২০২৪ একটি শোকাবহ অধ্যায়ের সূচনা হয়। গুলি করে হত্যা করা হয় দেশ প্রেমিক এই মহাবীরকে। শহীদের মৃত্যু শুধুমাত্র একটি ব্যক্তিগত ক্ষতি নয়, বরং একটি বৃহত্তর সামাজিক এবং রাজনৈতিক প্রশ্নের জন্ম দেয়। যেভাবে শহীদ হলেন শহীদ ফারুকের মৃত্যুর ঘটনা দেশের সাধারণ মানুষের হৃদয়ে একটি গভীর শোকের সঞ্চার করেছে। ১৬ জুলাই ২০২৪ তারিখে দুপুরে কাজ শেষে ফারুক একটি স্থানীয় হোটেলে ভাত খেতে যান। খাবার শেষ করে যখন তিনি ফেরার পথে ছিলেন, তখন একটি অপ্রত্যাশিত ও নির্মম ঘটনার শিকার হতে হয় তাঁকে। পুলিশি বর্বরতায়, শহীদকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। তাঁর বুকে এবং পিঠে গুলি লাগে। গুরুতর আহত অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু হাসপাতালের চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ফারুকের মৃত্যু দেশে মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং পুলিশি আচরণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের একটি বড় উদাহরণ হয়ে দাঁড়ায়। পরিবারের অচলাবস্থা মো: ফারুকের মৃত্যুতে তাঁর পরিবারে গভীর শোকের মাতম চলছে। তাঁর স্ত্রী সীমা আকতার (২৮) গৃহিণী। তাদের সংসারে দুটি সন্তান রয়েছে। শহীদ পিতা দুলালের বয়স ৭০ বছর। তিনি বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত। মাতা শাহনেদো বেগম গৃহিণী। ফারুকের মৃত্যু তার পরিবারে একটি অপূরণীয় ক্ষতি ও গভীর শোকের সৃষ্টি করেছে। তাদের জীবন এখন একটি কঠিন দুঃখ এবং আঘাতের মধ্যে ডুবে আছে। মো: ফারুকের পরিবারের আর্থিক অবস্থা অত্যন্ত সংকটপূর্ণ। পরিবারের কোনো নিজস্ব জমি বা সম্পত্তি নেই। শহীদ স্ত্রী বর্তমানে একটি হাসপাতালের আয়া পদে স্বল্প বেতনে চাকরি করছেন। আয়ের পরিমাণ সামান্য হওয়ায় পরিবারের দৈনন্দিন খরচ পূরণে যথেষ্ট নয়। ফারুকের মৃত্যু তাদের জীবনের আর্থিক স্থিতিশীলতা সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করেছে। ফলে, তাদের মৌলিক চাহিদা পূরণের জন্য সমর্থন ও সহায়তার প্রয়োজন। প্রেরণায় শহীদ ফারুক মো: ফারুকের জীবন এবং মৃত্যুর মাধ্যমে আমরা একটি গুরুত্বপূর্ণ পাঠ শিখতে পারি—ন্যায়বিচার ও মানবাধিকার রক্ষার জন্য আমাদের সদা সচেতন ও সংগ্রামী হতে হবে। তার পরিশ্রম, সততা এবং শান্তিপূর্ণ জীবন সমাজে একটি অনুপ্রেরণা হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। ফারুকের আত্মত্যাগ আমাদেরকে প্রেরণা দেয় যে, সামাজিক ন্যায়বিচার এবং মানবাধিকারের জন্য আমাদের সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হবে। শহীদ সম্পর্কে পরিবারের সদস্যের ও বন্ধুর বক্তব্য স্ত্রী (সীমা অকতার): ফারুক ছিল আমার জীবনসঙ্গী, এবং তার মৃত্যু আমাদের জীবনে একটি বিশাল শূন্যতা তৈরি করেছে। তার অভাব আমার প্রতিদিনের জীবনে গভীরভাবে অনুভূত হচ্ছে। সে অত্যন্ত ভাল, সদা হাস্যোজ্জ্বল এবং পরিশ্রমী মানুষ ছিল। পিতা (দুলাল): ফারুক ছিল আমার গর্ব। সে পরিশ্রমী এবং সত্যিকারের সৎ ছিল। তার চলে যাওয়ায় আমি অত্যন্ত দুঃখিত এবং পরিবারের জন্য এটি এক বিরাট ক্ষতি। শহীদের বন্ধু : ফারুক ছিল একজন অত্যন্ত ভালো মানুষ। সে সবসময় হাস্যোজ্জ্বল এবং বন্ধুদের প্রতি আন্তরিক ছিল। তার মৃত্যু আমাদের সবার জন্য একটি গভীর শোকের বিষয়।“হোটেল থেকে দুপুরের খাবার শেষ করে আর বাড়ি ফেরা হলো না ফারুকের।” এক নজরে শহীদ মো: ফারুক নাম : মো: ফারুক জন্ম তারিখ : ৩০ এপ্রিল ১৯৮৯ পেশা : ফার্নিচার কর্মচারী বর্তমান ঠিকানা : আকবরের বাড়ি, লালখাঁন বাহার, জাম মসজিদ, লালখাঁন থানার অধীন, চট্টগ্রাম মৃত্যুর তারিখ : ১৬ জুলাই ২০২৪ মৃত্যুর স্থান : মুরাদপুর, চট্টগ্রাম মৃত্যুর কারণ : পুলিশের গুলিতে শহীদ স্ত্রী : সীমা অকতার (২৮ বছর, গৃহিণী) সন্তান : ১ ছেলে, ১ মেয়ে সন্তান : ফাহিমুল ইসলাম (১২ বছর), ফারিয়া আক্তার (৬ বছর) পিতা : দুলাল (৭০ বছর, অবসরপ্রাপ্ত) মাতা : শানুফা বেগম (গৃহিণী) প্রস্তাবনা ১. শহীদ সন্তানদের লেখাপড়ার দায়িত্ব নেয়া যেতে পারে ২. শহীদ স্ত্রীকে মাসিক সহযোগিতা করা যেতে পারে

শহীদের তথ্য সম্বলিত ছবি

Image of মো: ফারুক
Image of মো: ফারুক
Image of মো: ফারুক

একই বিভাগ অন্যান্য শহীদদের তথ্য

মো: সাইফুল ইসলাম আরিফ

আমির হোসেন

মো: রফিকুল ইসলাম

মো: নাজমুল কাজী

মো: ইউসুফ

মো: ইমন গাজী

মো: মামুন হোসেন

রবিন মিয়া মিঠু

মাজহারুল ইসলাম

মো: হাছান হোসেন

মো: আরাফাত হোসেন আকাশ

কাওসার মাহমুদ

শেয়ার করুন Facebook Logo Twitter Logo WhatsApp Logo