Image of মো:  রিটন উদ্দীন

নাম: মো: রিটন উদ্দীন

জন্ম তারিখ: ১২ মার্চ, ১৯৯১

শহীদ হওয়ার তারিখ: ৫ আগস্ট, ২০২৪

বিভাগ: চট্টগ্রাম

ব্যক্তিগত তথ্য:

পেশা : বিকাশের দোকানে কাজ করতেন, শাহাদাতের স্থান :যাত্রবাড়ী থানার সামনে

শহীদের জীবনী

নোয়াখালী জেলার হাতিয়া উপজেলার নলচিরা ইউনিয়নের রামচরন গ্রামে। এই সবুজ শ্যামল গ্রামে ১৯৯১ সালের ১২ মার্চ জন্মগ্রহণ করেন শহীদ রিটন উদ্দিন। তিনি এই গ্রামে বেড়ে ওঠেন। এই গ্রামে প্রাথমিক শিক্ষার পাঠ নেন। পরিবারের হাল ধরার জন্য তিনি পড়াশোনায় বেশিদূর আগাতে পারেননি। পরিবারের বড় ছেলে হিসেবে সমস্ত দায়ভার নেয়ার চ্যালেঞ্জ নিয়েই বড় হয়েছেন তিনি। যেভাবে শহীদ হলেন ৫ আগস্ট ২০২৪। বাংলাদেশের ঐতিহাসিক বিজয় দিবস। দীর্ঘ ১৫ বছরের স্বৈরশাসনের ও অবসান হয় এই দিনে। শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার প্রাক্কালে সরকারের পেটুয়া পুলিশ বাহিনী মার্চ টু ঢাকা কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করতে গেলে শত শত জনতাকে গুলি চালিয়ে হত্যা করে।শহীদ রিটন উদ্দিন এই দিন সকাল দশটায় বাসা থেকে বের হয়ে ছাত্র-জনতার সাথে মার্চ টু ঢাকা কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করে। ছাত্র-জনতা মিছিল নিয়ে যাত্রাবাড়ী থানা পার হওয়ার সময় ঘাতক পুলিশ এতে সরাসরি গুলি চালায়। গুলিতে অসংখ্য সাধারণ মানুষের সাথে সাথে প্রাণ হারায় রিটন। রিটন উদ্দিনের গায়ে ও গুলি লাগে। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে বন্ধুরা তাকে ধরাধরি করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হসপিটালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করেন। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হওয়ায় রক্ত দেওয়া হয় দুই ব্যাগ। পরবর্তীতে অবস্থার অবনতি ঘটলে তাকে আর বাঁচানো সম্ভব হয়নি। চিকিৎসক রিটনকে মৃত ঘোষণা করেন। কেমন আছেন শহীদ পরিবার শহীদ রিটন উদ্দিনকে হারিয়ে তার পরিবার খুবই অসহায় হয়ে পড়েছে। পরিবারের একমাত্র আয়ের ক্ষমতা সম্পন্ন ব্যক্তিটি শাহাদাত বরণ করাতে পরিবারটি সম্পূর্ণ পরনির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। ছোট ছোট বাচ্চারা তার বাবার জন্য কান্না করছে। পাঁচ মাস বয়সী তার একটা ছোট মেয়েও রয়েছে। সে এখনো বুঝে উঠতে পারেনি যে,তার বাবা আর দুনিয়াতে নাই। হয়তোবা একটু একটু বড় হতে লোকমুখে শুনবে যে,তার বাবা পুলিশের গুলিতে শাহাদাত বরণ করেছেন। ২৬ বছর বয়সী তার স্ত্রী আফসানা বেগম বলেন, আমার স্বামী কি দোষ করেছে? কেন তাকে মারা হল? আমি এই তিনজন সন্তান নিয়ে কোথায় যাব এখন? আমার স্বামীকে যারা মেরেছে আমি তাদের ফাঁসি চাই। চাচাতো ভাই এর বক্তব্য শহীদ রিটন উদ্দিন এর চাচাতো ভাই ইসমাইল হোসেন রাজিব জানায়, শহীদ রিটন উদ্দিন খুবই সৎ ব্যক্তি ছিলেন। উনি একজন দেশ প্রেমিক ছিলেন। তিনি স্বৈরাচার সরকারের পতনের আন্দোলনে খুবই সক্রিয় ছিলেন। দেশ সম্পর্কে খুবই সৎ আগ্রহ ছিল রিটনের। তিনি সবসময় সৎ ভাবে থাকতেন এবং সকলকে সততার সাথে থাকার পরামর্শ দিতেন। তিনি সবসময় নামাজ পড়তেন। প্রেরণায় শহীদ রিটন উদ্দিন শহীদ রিটন উদ্দিন আমাদের প্রেরণার উৎস। নিজের জীবনকে বাজি রেখে জীবনের শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে এদেশের জালিম কে হটানোর আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেছেন। এ জাতিকে মুক্ত করার কঠিন যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছেন তিনি। তাই এই জাতি শহীদ রিটন উদ্দীনদের কাছে চিরঋণী হয়ে রইবে। পারিবারিক অবস্থা রিটন উদ্দিনের পরিবারের অর্থনৈতিক অবস্থা খুবই খারাপ। বিকাশের দোকানে কাজ করতেন তিনি। মাসিক আয় ছিল মাত্র ৮০০০ টাকা। বর্তমানে পরিবারের কোন আয় নেই। শহীদের ছোট ভাই টিউশনি করে নিজে চলে। এক নজরে শহীদ মো: রিটন উদ্দীন নাম : মো: রিটন উদ্দীন জন্ম তারিখ : ১২ মার্চ ১৯৯১ সাল, ৩৫ বছর আহত হওয়ার তারিখ : ৫ আগস্ট ২০২৪ , যাত্রবাড়ী থানার সামনে শাহাদাত বরণের তারিখ, সময় ও স্থান : ৫ আগস্ট ২০২৪ , আনুমানিক বিকাল ৪ টা দাফন করা হয় : নিজ গ্রামে বাবা : মো: আবুল কালাম মা : নাছিমা বেগম বাড়িঘর ও সম্পদের বিবরণ : একটি টিনের বাড়ি ও অল্প ভিটাজমি আছে সন্তানাদির বিবরণ : ২ ছেলে ১ মেয়ে। বড় ছেলের বয়স দশ বছর। সবাই এখন পড়াশোনা করে প্রস্তাবনা ১. পরিবারকে নিয়মিত আর্থিক সহায়তা প্রদান করা জরুরী কারণ দুই ছেলে এক মেয়ে ছোট এবং কর্মক্ষম কেউ নেই ২. তার সন্তানদের লেখা-পড়ার খরচ বহন করা যেতে পারে ৩. শহীদ রিটন উদ্দিন এর ভাই মাস্টার্স পাস তাই তার চাকুরীর ব্যবস্থা করা দরকার

শহীদের তথ্য সম্বলিত ছবি

Image of মো:  রিটন উদ্দীন
Image of মো:  রিটন উদ্দীন
Image of মো:  রিটন উদ্দীন
Image of মো:  রিটন উদ্দীন
Image of মো:  রিটন উদ্দীন
Image of মো:  রিটন উদ্দীন
Image of মো:  রিটন উদ্দীন
Image of মো:  রিটন উদ্দীন

একই বিভাগ অন্যান্য শহীদদের তথ্য

মো: ওয়াকিল আহমদ শিহাব

মো: মাহমুদুল হাসান

শাব্বির হোসেন

মো: আব্দুর রহমান (পারভেজ)

নাছিমা আক্তার

শাহাদাত হোসেন শামীম

মহিন উদ্দিন

সাদ আল আফনান

মো: জহিরুল ইসলাম

আওয়াল মিয়া

মো: মিজানুর রহমান

মো: সাহাদাত হোসেন

শেয়ার করুন Facebook Logo Twitter Logo WhatsApp Logo