Image of হাফেজ মো: নাসির ইসলাম

নাম: হাফেজ মো: নাসির ইসলাম

জন্ম তারিখ: ৪ সেপ্টেম্বর, ২০০৩

শহীদ হওয়ার তারিখ: ২০ জুলাই, ২০২৪

বিভাগ: রংপুর

ব্যক্তিগত তথ্য:

পেশা: শিক্ষার্থী, শাহাদাত স্থান: কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল

শহীদের জীবনী

২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম একজন শহীদ হাফেজ মো: নাসির ইসলাম (০৪ সেপ্টেম্বর ২০০৩- ২০ জুলাই ২০২৪)। রংপুরের কাওনিয়া থানার প্রান্নাথপুর গ্রামে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। গার্মেন্টস ব্যবসায়ী পিতা মো: আশরাফুল ইসলাম (৪৬) ও গৃহিণী মাতা মোসা: নাজমা আক্তারের (৩৬) একমাত্র পুত্র সন্তান ছিলেন নাসির ইসলাম। এছাড়াও দম্পতির ঘরে আরও দুজন কন্যা সন্তান রয়েছে। তারা হলেন আমেনা খাতুন (১৬) এবং আছিয়া মনি (১২)। তারা দুজনেই মেট্রো স্কুল এন্ড কলেজের যথাক্রমে অষ্টম ও ষষ্ঠ শ্রেণীর শিক্ষার্থী। শহীদ নাসির তা’মীরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসা টঙ্গী শাখার আলিম প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। ২০ জুলাই বিকেলে গাজীপুরা এশিয়া পাম্পের সামনে তিনি গুলিবিদ্ধ হন। সহযোদ্ধা তাকে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান এবং সেখানেই তিনি মৃত্যুবরণ করেন। শহীদ মো: নাসির ইসলাম ২০১৯ সালে তানযীমুল উম্মাহ মাদ্রাসা, উত্তরা শাখা থেকে হেফজ সম্পূর্ণ করেন। এছাড়া আশরাফুল ইসলামের ঘরে আরো দুজন কন্যা সন্তান রয়েছে। তারা হলেন আমেনা খাতুন (১৬) এবং আছিয়া মনি (১২)। তারা দুজনেই মেট্রো স্কুল এন্ড কলেজের যথাক্রমে অষ্টম ও ষষ্ঠ শ্রেণীর শিক্ষার্থী। পরিবারের অর্থনৈতিক অবস্থা: শহীদের পিতা মো. আশরাফুল ইসলাম একজন গার্মেন্টস ব্যবসায়ী। এছাড়াও তাদের দুই একর ফসলী জমি রয়েছে। যেভাবে শহীদ হন ২০ জুলাই তা’মীরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসার টঙ্গী ক্যাম্পাসের পাশেই গাজীপুরা এশিয়া পাম্পের কাছে মাদ্রাসার সকল ছাত্ররা সমবেত হন। তারা নানা শ্লোগান দিতে থাকে। মিছিল শুরু হয়। এ মিছিলে হঠাৎ গুলি চালায় পুলিশ বাহিনী। বিকেল সাড়ে ৩ টার দিকে একটি গুলি এসে বিদ্ধ হয় নাসির ইসলামের বুক। সহযোদ্ধা তাকে দ্রুত ঢাকা সেনানিবাসের কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। চিকিৎসা চলাকালীন বিকেল ৫.৫০ মিনিটে মৃত্যুকে বরণ করে শাহাদতের অমিয় পান করেন হাফেজ মো: নাসির ইসলাম। শহীদ সম্পর্কে তার পিতার প্রতিক্রিয়া শহীদের পিতা মো: আশরাফুল ইসলাম বলেন, “এমন ছেলে কয়জনের ভাগ্যে জোটে জানিনা। কখনও তার দুইশত টাকার প্রয়োজন হলে সমপরিমাণ টাকাই চাইত। আবার ৫/১০টাকা বাঁচলে সাথেসাথে আমাকে ফেরত দিত। চেষ্টা করতাম কিছু টাকা তার কাছে বেশি দিয়ে রাখতে। ঐদিন (২০ জুলাই) বিকেল ৫টায় ছেলের মোবাইল থেকে হাসপাতালের ডাক্তার আমাকে ফোন করে বলে যে,‘ আপনার ছেলে এক্সিডেন্ট করেছে। আপনি দ্রুত কুর্মিটোলা হাসপাতালে আসেন। আমি গেলাম কিন্তু ছেলের তাজা মুখটা আর দেখতে পেলাম না। আমার ছেলেটার কী দোষ ছিল ” এক নজরে শহীদ হাফেজ মো: নাসির ইসলাম নাম : হাফেজ মো: নাসির ইসলাম পিতা : মো: আশরাফুল ইসলাম মাতা : মোসা: নাজমা আক্তার পেশা : শিক্ষার্থী জন্ম তারিখ ও বয়স : ০৪ সেপ্টেম্বর ২০০৩, ২১ বছর আহত ও শহীদ হওয়ার তারিখ : ২০ জুলাই ২০২৪ শাহাদাত বরণের স্থান : কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল দাফনের স্থান : নিজ গ্রামে পারিবারিক কবরস্থানে স্থায়ী ঠিকানা : প্রান্নাথপুর, শহিদবাগ, কাওনিয়া থানা, রংপুর ঘরবাড়ি ও সম্পদের অবস্থা : ভিটাবাড়িসহ দুই একর ফসলী জমি ভাইবোন ও সন্তানের বিবরণ : শহীদ ছাড়া দুই বোন প্রস্তাবনা ১. শহীদ পরিবারে মাসিক সহযোগিতা করা যেতে পারে ২. শহীদের বোনদ্বয়ের লেখাপড়ার দায়িত্ব নেয়া যেতে পারে

শহীদ সম্পকির্ত কুরআনের আয়াত

তারা তাদের রবের কাছে যা দিয়েছেন তাতে খুশি, এবং যারা তাদের পিছনে আসবে তাদের জন্যও তারা আনন্দিত। (সুরা আলে ইমরান ৩:১৭০)

শহীদ সম্পকির্ত হাদিস

হজরত আবু হুরাইরা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, “যে ব্যক্তি আল্লাহর পথে শহীদ হতে চায়, আল্লাহ তাকে শহীদের সাওয়াব দেন।” (সহীহ মুসলিম ১৮৮৮)

শহীদের তথ্য সম্বলিত ছবি

Image
Image
Image
Image
শেয়ার করুন Facebook Logo Twitter Logo WhatsApp Logo