Image of মো: মাজিদুল

নাম: মো: মাজিদুল

জন্ম তারিখ: ১০ জানুয়ারি, ২০০৪

শহীদ হওয়ার তারিখ: ১০ আগস্ট, ২০২৪

বিভাগ: ময়মনসিংহ

ব্যক্তিগত তথ্য:

পেশা: ছাত্র, শাহাদাতের স্থান : ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল

শহীদের জীবনী

শহীদ মাজিদুল ২০০৪ সালের ১০ জানুয়ারি ময়মনসিংহের ধোবাউড়া পূর্ব গামারিতলা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা আব্দুল মান্নান খান (৫৩) এবং মা রোজিয়া খাতুন। পাঁচ ভাই বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন সবার ছোট। অধ্যবসায়ী শহীদ মাজিদুল ১৫ বছর বয়সে ২০১৯ সালে পবিত্র কোরআন হিফজ করেন। বড় মানের আলেম হওয়ার লক্ষ্যে মাওনার জামিয়া ফোরকানিয়া মাদ্রাসায় ইসলামী শিক্ষা গ্রহণ করেন। সারাদেশে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন শুরু হলে তিনি আন্দোলনে নিজেকে সম্পৃক্ত করেন। চূড়ান্ত বিজয়ের দিন অর্থাৎ ৫ আগস্টেও তিনি আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেন। আন্দোলনের একপর্যায়ে ছাত্র-জনতা বিজিবিকে ঘিরে ফেলে। ছাত্র-জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে বিজিবি গুলি ছুঁড়ে। ঘটনাস্থলেই গুলিবিদ্ধ হন শহীদ মাজিদুল ইসলাম খান। তার তলপেটে গুলি লাগে। মাওনার কোন হাসপাতাল তাকে গ্রহণ না করলে ময়মনসিংহ স্বদেশ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানে চিকিৎসারত অবস্থায় ১০ আগস্ট মৃত্যুবরণ করেন। শাহাদতের প্রেক্ষাপট ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা খুনি হাসিনার নিরাপদ আশ্রয়স্থল গণভবন ঘেরাওয়ের কর্মসূচি ঘোষণা করে। দেশের কোন মানুষই জানতে পারছিলেন না কি হতে যাচ্ছে আজকে? সবার মধ্যেই চরম আতঙ্ক আর উৎকণ্ঠা। মার্চ টু ঢাকা কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য দেশের বিভিন্ন অঞ্চল হতে জনগণ ঢাকায় সমবেত হয়েছিল কিন্তু কেউই রাস্তায় নামতে পারছিলেন না। অবশ্য প্রশাসনের অন্দরমহলে ঘটছিল ভিন্ন কিছু ঘটনা। খুনি হাসিনা পদত্যাগের প্রস্তুতি নিচ্ছিল কিন্তু তার পেটোয়া বাহিনী তখনও রাজপথ দখল করে রেখেছিল। রাজপথে মিছিল দেখলেই গুলি চালাচ্ছিল। বিকাল তিনটার দিকে আন্দোলনে উত্তাল মুহূর্তে ছাত্র-জনতা বিজিবিকে চারিদিক থেকে ঘিরে ফেলে। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে বিজিবি আন্দোলন ছত্রভঙ্গ করতে সরাসরি গুলি চালায়। সেই গুলির আঘাতে অনেক তাজা প্রাণ হারায়। শহীদ মাজিদুল ইসলাম খানের তলপেটে দুটি গুলিতে গুরুতর আহত হন। আহত মাজিদুলকে বিভিন্ন হাসপাতালে নেয়া হলেও তাকে ভর্তি করাতে রাজি হচ্ছিল না। অনেক চেষ্টার পর অবশেষে ময়মনসিংহের স্বদেশ হাসপাতালে তাকে ভর্তি করানো হয়। তবে দুর্ভাগ্যবশত সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৭ আগস্ট তিনি মৃত্যুবরণ করেন। শহীদের মৃত্যুর পর বন্ধু ও আত্মীয়-স্বজনের প্রতিক্রিয়া শহীদ মাজিদুলের মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। আদরের ছোট সন্তানের মৃত্যুতে বাবা-মা বাকরুদ্ধ হয়ে যান। তার চাচা বলেন, "সে অত্যন্ত বিনয়ী ছিল।" শহীদের চাচতো ভাই মুফতি জালাল উদ্দিন বলেন," আখলাক (মাজিদুল) অত্যন্ত বিনয়ী ছিলেন। মসজিদ-মাদ্রাসার কাজ করার আগ্রহ ছিল। " পরিবার ও এলাকাবাসী শহীদ হাফেজ মো: মজিদুল ইসলাম খানের হত্যার বিচার চান। শহীদ পরিবারের বিশেষ তথ্য শহীদ মাজিদুল ছিলেন পাঁচ ভাই বোন। বোন মোসা: মানসুরা আক্তার বিবাহিতা। বড় তিন ভাই মো: জারিফ খান, মো: জাহাঙ্গীর আলম এবং মো: মানিক হাসান সবজি ব্যবসায়ী। শহীদের বাবা-মা এখনো জীবিত রয়েছেন। শহীদ পরিবারের জন্য করণীয় ১. শহীদের পিতা-মাতাকে এককালীন সহায়তা করা প্রয়োজন এক নজরে শহীদের ব্যক্তিগত তথ্য নাম : মাজিদুল জন্মতারিখ : ১০ জানুয়ারি ২০০৪ পিতা : আব্দুল মান্নান (৫৩) মাতা : রেজিয়া খাতুন স্থায়ী ঠিকানা : গ্রাম: পূর্ব গামারিতলা, ইউনিয়ন: ২ নং গামারিতলা, থানা: ধোপাউড়া, জেলা: ময়মনসিংহ আহত হওয়ার স্থান : মাওনা, গাজীপুর,ঢাকা আহত হওয়ার সময় কাল : ৫ আগস্ট, ২০২৪, বিকাল: ৩টা শহীদ হওয়ার সময় ও স্থান : ১০ আগস্ট, সন্ধ্যা ৭:৩০ মিনিট, ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল যাদের আঘাতে শহীদ : বিজিবির গুলি শহীদের কবরস্থান : পারিবারিক, পূর্ব গামারিতলা, ধোপাউড়া, ময়মনসিংহ

শহীদের তথ্য সম্বলিত ছবি

Image of মো: মাজিদুল
Image of মো: মাজিদুল
Image of মো: মাজিদুল
Image of মো: মাজিদুল

একই বিভাগ অন্যান্য শহীদদের তথ্য

রবিউল ইসলাম

জসিম উদ্দিন

মোঃ জামাল মিয়া

সাইফুল ইসলাম (সেকুল)

শহীদ জাকির হোসেন

মো: বিপ্লব হাসান

সারদুল আশিষ সৌরভ

রমজান আলী

মো: মাহিন মিয়া

মো: সুমন হাসান

মো: নাজিম উদ্দিন

মো: সাদিকুর রহমান

শেয়ার করুন Facebook Logo Twitter Logo WhatsApp Logo