Image of মো: সোহাগ মিয়া

নাম: মো: সোহাগ মিয়া

জন্ম তারিখ: ১ আগস্ট, ২০০৮

শহীদ হওয়ার তারিখ: ১৯ জুলাই, ২০২৪

বিভাগ: ময়মনসিংহ

ব্যক্তিগত তথ্য:

পেশা : রিকশা চালক , শাহাদাতের স্থান : নতুন বাজার ১০০ ফিট, ফরাজী হাসপাতালের সামনে

শহীদের জীবনী

মো: সোহাগ মিয়া ১ আগস্ট ২০০৮ সালে নেত্রকোনার কমলাকান্দা থানার বড়খাপন গ্রামে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। শহীদ মো: সোহাগ মিয়ার বাবা শাফায়েত হোসেন পেশায় একজন কৃষক। মা শমলা আক্তার গৃহিণী। সোহাগ বাবার সাথে ঢাকা শহরে রিকশা চালাতেন। চার ভাই বোনের মাঝে তিনি ছিলেন সবার বড়। বোন সুমা আক্তার ১২ মাদ্রাসা ছাত্রী, ছোট ভাই মাহাদি হাসান (৯) ও বোন সোহাগী আক্তার (৫)। ১৯ জুলাই ২০২৪,শুক্রবার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে তিনি যোগদান করেছিলেন। ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের অনুগত পুলিশ বাহিনীর ছেররাগুলির অনেকগুলা তার শরীরে বিদ্ধ হয় । একটি গুলি কান দিয়ে প্রবেশ করে তার মাথার পেছন দিক দিয়ে বেরিয়ে যায়। প্রচন্ড রক্তক্ষরণ এবং মগজ ছিন্নবিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার কারণে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। শাহাদাতের প্রেক্ষাপট দেশব্যাপী সর্বাত্মক আন্দোলন শুরু করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। বিক্ষোভ মিছিল, সমাবেশ, বাংলা ব্লকেড আর কমপ্লিট শাটডাউনের মুখে সরকার বেসামাল। এ আন্দোলনকে দমাতে জারি করে কারফিউ। কারফিউ এর মধ্যে ঘর হতে বেরুনো সম্ভব হয় না, কিন্তু পেট তো থেমে থাকে না। তাইতো শত বাস্তবতা উপেক্ষা করে শ্রমজীবি মানুষ বের হয়ে আসে রাস্তায় দু'মুঠো চাল কিনতে। দিন এনে দিন খাওয়া পরিবারের সন্তান মো: সোহাগ মিয়া। আন্দোলন সংগ্রামের মাঝেও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রিকশা নিয়ে বের হয়েছিলেন তিনি। ১৯ জুলাই শুক্রবার ২০২৪ । জুমার নামাজের পর বিকাল চারটায় পুলিশের অতর্কিত হামলার মধ্যে পড়েন তিনি। ঢাকার নতুন বাজার ফরাজী হাসপাতালের সামনে অসংখ্য ছররা গুলির মধ্যে একটি গুলি তার কানে আঘাত হোন কিছুক্ষণের মধ্যে তার মৃত্যু দেন। পরিবারকে দুঃখের সাগরে ভাসিয়ে শহীদ সোহাগ মিয়া পরপারে পাড়ি জমান। শহীদের স্বজনদের প্রতিক্রিয়া শহীদ মো: সোহাগ মিয়ার বয়স ১৫ বছর হলেও তিনি ছিলেন পরিবারের বড় সন্তান। তার মৃত্যু যেন কোনভাবেই পরিবার মেনে নিতে পারছে না। অভিমান করে রাজধানী ঢাকা ছেড়ে চলে গিয়েছিল আবার সেই গ্রামে। কোনক্রমে কৃষিকাজ করে বেঁচে আছেন। তারা ছেলের হত্যাকাণ্ডের বিচার চায়। তাদের দাবি, ছেলের হত্যাকারীদের দ্রুত বিচার এবং তার রাষ্ট্রীয় সম্মাননা। বাবার আর্থিক অবস্থা বিবেচনা করে সরকার যেন তাদের সহায়তা করে। শহীদ পরিবারের বিশেষ তথ্য মা-বাবা ও চার ভাই বোন এই নিয়ে ছয়জনের সংসার তাদের। সবার বড় ছিলেন মো: সোহাগ মিয়া। তার বয়স সবে ১৫ হয়েছিল। আর্থিক অস্বচ্ছলতার কারণে বাবার সাথে তিনি রিক্সা চালাতেন। ছোট ভাইবোনদের মধ্যে সুমা আক্তার (১২),মাহাদি হাসান(০৯), সোহাগী আক্তার (০৫) পড়াশোনা করে। জীবিকার তাগিদেই বাবা শাফায়েত হোসেন ঢাকা শহরে এসেছিলেন। যে শহর তার ছেলেকে ছিনিয়ে নিয়েছে সেই শহরে তিনি আর থাকতে চান না। তাই স্বপরিবারে আবার গ্রামে প্রত্যাবর্তন করেছেন। বেঁচে থাকার তাগিদে অসুস্থ হওয়া সত্ত্বেও বেছে নিয়েছেন কৃষিকাজ। শহীদ প্রোফাইল নাম : মো: সোহাগ মিয়া পিতা : মো: সাফায়েত মিয়া মাতা : মোসা: শমলা আক্তার জন্ম তারিখ : ১ আগস্ট, ২০০৮ স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানা : গ্রাম: বড়খাপন, ইউনিয়ন : বড়খাপন থানা: কমলাকান্দা, জেলা: নেত্রকোনা আহত হওয়ার স্থান : নতুন বাজার ১০০ ফিট, ফরাজী হাসপাতালের সামনে, ঢাকা আহত ও শহীদ হওয়ার সময় কাল : ১৯ জুলাই, ২০২৪, বিকাল: ৪:৩০ যাদের আঘাতে শহীদ : পুলিশ শহীদের কবরস্থান : নিজ গ্রাম, নেত্রকোনা শহীদ পরিবারের জন্য করণীয় ১. শহীদের পরিবারকে এককালীন অনুদান দেওয়া যেতে পারে ২. শহীদের ভাই-বোনদের জন্য বৃত্তির ব্যবস্থা করা যেতে পারে

শহীদের তথ্য সম্বলিত ছবি

Image of মো: সোহাগ মিয়া
Image of মো: সোহাগ মিয়া
Image of মো: সোহাগ মিয়া

একই বিভাগ অন্যান্য শহীদদের তথ্য

সারদুল আশিষ সৌরভ

রমজান আলী

তোফাজ্জল হোসেন খান

মো: মাছুম বিল্লাহ

মো: আশরাফুল ইসলাম

মো: হাফিজুল ইসলাম

মো: আমিরুল ইসলাম

মো:  উবায়দুল হক

মো: মোস্তফা

উমর ফারুক

তনয় চন্দ্র দাস

আব্দুল্লাহ আল মামুন

শেয়ার করুন Facebook Logo Twitter Logo WhatsApp Logo