Image of মো: মিজানুর রহমান

নাম: মো: মিজানুর রহমান

জন্ম তারিখ: ২৫ আগস্ট, ১৯৮৭

শহীদ হওয়ার তারিখ: ৫ আগস্ট, ২০২৪

বিভাগ: ময়মনসিংহ

ব্যক্তিগত তথ্য:

পেশা: ব্যবসা, শাহাদাতের স্থান : বাইপাইল বাসার ছাদে, আশুলিয়া

শহীদের জীবনী

শহীদ মো: মিজানুর রহমান জামালপুর জেলার মাদারগঞ্জ থানার মিলন বাজার ইউনিয়নের ভেলামারি গ্রামে ২৫ আগস্ট ১৯৮৭ সালে জন্মগ্রহণ করেন। বাবা ওসমান গনি সবজি ব্যবসায়ী এবং মা জায়েদা বেগম একজন গৃহিণী। শহীদ মিজানুর রহমানরা তিন ভাই ও দুই বোন। বিবাহিত মিজানুর রহমান এক ছেলে ও এক মেয়ের সন্তানের জনক। ছেলেমেয়েরা লেখাপড়া করে। পেশায় জুতা ব্যবসায়ী। স্ত্রী একজন গার্মেন্টস শ্রমিক। ৫ আগস্ট ২০২৪ খ্রিস্টাব্দে বিজয় মিছিল দেখার জন্য ছাদে উঠলে পুলিশের এলোপাতাড়ি গুলিতে তিনি ছাদে গুলি বিদ্ধ হন। ৬ আগস্ট ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন। শাহাদাতের প্রেক্ষাপট শহীদ মোঃ মিজানুর রহমান বিজয়মিছিল দেখার জন্য ছাদে ওঠেন। ছাদে থাকা অবস্থায় পুলিশের এলোপাথাড়ি গুলি তার পেটের নিচে লাগে। তখন মিজানকে নিয়ে তার পরিবার বিভিন্ন হাসপাতালে ছোটাছুটি করতে থাকেন। পরে শ্যামলী ডক্টরস পয়েন্টে ডাক্তার দেখানো হয়। একদিন আইসিইউতে রাখার পর ডাক্তাররা তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করে। ৬ আগস্ট ২০২৪ তার পরিবারের সদস্যরা তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। অপারেশন করার পর মিজানুর রহমানের রক্তশূন্যতা দেখা দেয় এবং পরে বিকাল সাড়ে তিনটায় তিনি মারা যান। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মৃত্যুজনিত ছাড়পত্র দিতে দেরি করায় মিজানের পরিবার রাত সাড়ে দশটার দিকে শহীদ মিজানের লাশ নিয়ে গ্রামের বাড়িতে রওনা দেন এবং রাত সাড়ে তিনটায় বাড়িতে পৌঁছান। পরের দিন ৭ আগস্ট ২০২৪ তারিখ সকাল ১০ টায় শহীদের জানাজা সম্পন্ন হয়। শাহাদাতের পর আত্মীয়-স্বজনদের অনুভূতি শহীদ মিজানুর রহমান ছিলেন পরিবারের প্রতি অত্যন্ত দায়িত্বশীল এবং সে তার সন্তানদের পাশাপাশি বাবা-মা ও ভাইদের আর্থিক সহায়তা করতেন। শহীদের ছোট ভাই মো: রাশিদুল ইসলাম বলেন, ৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট সরকারের লেলিয়ে দেয়া ঘাতক পুলিশের গুলিতে শহীদ মিজানুর রহমান গুরুতর আহত হয়। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিনি মারা যান। কেন তারে মারা হইল? পুলিশ কেন তারে মারলো? সে তো নিরপরাধ ছিল। সে তো কোন অপরাধ করেনি। কেন তাকে পুলিশ মারল? এখন আমাদের বয়স্ক বাবা এবং অসুস্থ মাকে কে দেখবে? তার ছোট সন্তানদের কে দেখবে? আমরা সরকারের কাছে এই হত্যার বিচার চাই। শহীদদের মামাতো ভাই মোর্শেদ আহমেদ বলেন,” মিজানুর রহমান মারা যাওয়ার কারণে তার পরিবার আর্থিক সংকটে আছে। আমরা তার হত্যাকাণ্ডের সঠিক তদন্ত ও বিচার চাই। সরকার যেন তার পরিবারের পাশে দাঁড়ায়, তাতে করে মিজানের পরিবার স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারবে।” শহীদ পরিবারের বিশেষ তথ্য শহীদ মো: মিজানুর রহমান ছিলেন জুতার ব্যবসায়ী। তার স্ত্রী গার্মেন্টস কর্মী। অসুস্থ বাবা মাঝে মাঝে সবজির ব্যবসা করেন। দুই ভাই জাহিদুল ইসলাম (৩২) বেকার এবং রাশিদুল ইসলাম (২৬) মোবাইল মেকানিক। ছেলে শুভ (১৪) হাজী সৈয়দ খান স্কুল এন্ড কলেজের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী এবং মেয়ে মিনি আক্তার (৭) জান্নাতুল নিসা বালিকা মাদ্রাসার ছাত্রী। শহীদ মিজানুর রহমান স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে আশুলিয়ায় ভাড়া থাকতেন। গ্রামে তাদের কোন বাড়ি নাই। বর্তমানে স্ত্রীর আয় দিয়ে তাদের সংসার চলছে। এক নজরে শহীদের ব্যক্তিগত তথ্যাবলি নাম : মো: মিজানুর রহমান পিতা : মো: ওসমান গনি মাতা : জাহানারা বেগম জন্ম তারিখ : ২৫ আগস্ট ১৯৮৭ স্থায়ী ঠিকানা : গ্রাম: ভেলামারি, ইউনিয়ন: মিলন বাজার, থানা: মাদারগঞ্জ, জেলা: জামালপুর বর্তমান ঠিকানা : উত্তর গাজীর চট, মুন্সিবাড়ি, বাইপাইল আশুলিয়া, ঢাকা আহত হওয়ার স্থান : বাইপাইল বাসার ছাদে, আশুলিয়া আহত হওয়ার সময় কাল : ৫ আগস্ট বিকাল তিনটা শহীদ হওয়ার সময় ও স্থান : ৬ আগস্ট, বিকাল সাড়ে তিনটা, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল যাদের আঘাতে শহীদ : ঘাতক পুলিশ শহীদের কবরস্থান : ভেলামারি, মিলনবাজার, মাদারগঞ্জ, জামালপুর শহীদ পরিবারের জন্য করণীয় ১. শহীদের পরিবারের জন্য বাসস্থান দরকার ২. শহীদের ছেলে মেয়ের জন্য বৃত্তির ব্যবস্থা করা ৩. শহীদের বৃদ্ধ ও অসুস্থ পিতা-মাতাকে আর্থিক সহায়তা করা যেতে পারে

শহীদের তথ্য সম্বলিত ছবি

Image of মো: মিজানুর রহমান
Image of মো: মিজানুর রহমান
Image of মো: মিজানুর রহমান
Image of মো: মিজানুর রহমান
Image of মো: মিজানুর রহমান

একই বিভাগ অন্যান্য শহীদদের তথ্য

মো: নাজিম উদ্দিন

মো: কামরুজ্জামান

 মোহাম্মদ কবির হোসাইন

মো: আহাদুন

মোঃ শহিদ হোসেন

মো: রিদওয়ান হোসেন (সাগর)

মো: নূরে আলম সিদ্দিকী

শহীদ জাকির হোসেন

মো: মাহবুব আলম

রাজু

মো: হাফিজুল ইসলাম

রহমত মিয়া

শেয়ার করুন Facebook Logo Twitter Logo WhatsApp Logo