জন্ম তারিখ: ১ জানুয়ারি, ০০০১
শহীদ হওয়ার তারিখ: ৫ আগস্ট, ২০২৪
বিভাগ: ময়মনসিংহ
পেশা: গার্মেন্টস শ্রমিক, শাহাদাতের স্থান : উত্তরা, জসিমউদ্দীন, ঢাকা
বাংলাদেশের দ্বিতীয় স্বাধীনতা এসেছে আপামর জনতার প্রাণের বিনিময়ে। তন্মধ্যে ফজল মিয়াও একজন। পেশায় তিনি একজন গার্মেন্টস শ্রমিক ছিলেন। জামালপুরের বকশীগঞ্জের টাংগারীপাড়া গ্রামে বীর বাহাদুর ফজল এক দরিদ্র পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। আর্থিক সংকুলান না থাকায় কৈশোরেই পরিবারের দায়িত্ব বর্তায় তার উপর। পরবর্তীতে সংসার জীবনে প্রবেশ করলে পাড়ি জমান যান্ত্রিক ঢাকা শহরে। ফজলের স্ত্রী রাণী বেগম আশায় বুক বেঁধেছিলেন। স্বামীর উপার্জনে ধীরে ধীরে সংসারের চাকা সচল হতে শুরু করে। হঠাৎ একদিন আওয়ামী হায়েনারা পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী ফজল মিয়ার সংসারে লাগাম টেনে ধরে। বর্তমানে পাঁচ সদস্যের পরিবারটি ভীষণ অভাব-অনটনে দিনাতিপাত করছে। শহীদের প্রেক্ষাপট ৫ আগস্ট ২০২৪ স্বৈরাচারী সরকার প্রধান খুনি হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর তার রেখে যাওয়া সন্ত্রাসী আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী মরণ কামড় দিতে প্রতিজ্ঞাবব্ধ ছিলেন। বিভিন্ন থানা, পুলিশ ফাঁড়ি, এপিবিএন-আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন, বিজিবি, র্যাব, ও আনসারসহ অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা এইদিন দেশের মানুষের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করে। তাদের রোষাণলের শিকার হয়ে শতশত মানুষ এই দিন প্রাণ হারান। তাদের মধ্যে অন্যতম শহীদ ফজলুল করিম ওরফে ফজল মিয়া। তিনি উত্তরার জসিমউদ্দীনে কতক পুলিশের গুলিতে ঘটনাস্থলে শাহাদাত বরণ করেন। মৃত্যুকালে স্ত্রী, সন্তান, বাবা-মা ও ছোট ভাইসহ পাঁচজন সদস্য রেখে গিয়েছেন। শহীদকে নিয়ে লেখা পত্রিকার নিউজ লিংক একনজরে শহীদের ব্যক্তিগত তথ্যাবলি নাম : ফজলুল করিম (ফজল মিয়া) পেশা : গার্মেন্টস শ্রমিক স্ত্রী : রাণী বেগম, পেশা: গৃহিণী বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা : জেলা: জামালপুর, উপজেলা: বকশীগঞ্জ, গ্রাম: টাংগারীপাড়া শাহাদতের তারিখ : ৫ আগস্ট’ ২০২৪, সময়: বিকাল, স্থান: উত্তরা, জসিমউদ্দীন, ঢাকা দাফন : নিজগ্রাম, পারিবারিক কবরস্থান প্রস্তাবনা ১. শহীদের স্ত্রীকে কর্মসংস্থান করে দেওয়া যেতে পারে ২. পরিবারে মাসিক বা এককালীন অনুদান দেওয়া যেতে পারে ৩. শহীদের ছোট ভাইকে লেখাপড়ায় সহযোগিতা করা প্রয়োজন ৪. শহীদের পিতা-মাতাকে চিকিৎসা ভাতা প্রদান করা যেতে পারে