জন্ম তারিখ: ২৩ অক্টোবর, ২০০৩
শহীদ হওয়ার তারিখ: ৫ আগস্ট, ২০২৪
বিভাগ: ঢাকা
পেশা: ছাত্র, সাভার সরকারী কলেজ (ডিগ্রি ২য় বর্ষ), শাহাদাতের স্থান: সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ
তানজীর খান মুন্না ২০০৩ সালে ২৩ অক্টোবর ঢাকা জেলার সাভারে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম মোঃ রাজা খান এবং মায়ের নাম আমেনা বেগম তিনি সাভার সরকারি কলেজের ডিগ্রি ২য় বর্ষের ছাত্র ছিলেন। শাহাদাতের প্রেক্ষাপট শেখ হাসিনার মতো হিংস্র ফেরাউনকে সরিয়ে দেয়ার মতো সাহস কারো ছিলোনা। যারাই এরকম কিছু করার চেষ্টা করেছে আওয়ামীলীগ তাদের স্বপরিবারে দেশ থেকে নির্মুল করেছে। জাতীয়তাবাদি দল বিএনপির নেতাদের হামলা, মামলা, ভয় কিংবা অর্থের লোভ দেখিয়ে নিশ্চিহ্ন করে ফেলা হয়েছিল। কোকো রহমান আওয়ামী নির্যাতনে স্ট্রোক করে মৃত্যুবরণ করেন। তারেক রহমান বিদেশে নির্বাসিত হন। এদেশের বাকি নেতারা গর্জালেও প্রয়োজনের সময়ে আওয়ামীলীগকে প্রতিহত করতে ব্যার্থ হন। জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্র শিবিরকে গুম, খুন, গ্রেফতার, ফাঁসিতে ঝোলানোসহ নির্মমতার সকল পদক্ষেপ নিলেও চরম্ভাবে ব্যার্থ হয় আওয়ামীলীগ। তারা ভেবেছিল ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা কোটার মাধ্যমে দলীয় অদক্ষ চাটুকারদের নিয়োগ দিয়ে ২০৪০ সাল পর্যন্ত এবং পরবর্তীতে বংশ পরম্পরায় ক্ষমতায় থেকে বাংলাদেশকে লুটেপুটে খাবে। কিন্তু শহীদ তানজীর খানের মতো কিছু সাহসী, উদ্যমী ও ত্যাগী ছাত্ররা স্বৈরাচার সরকারের সমস্ত পরিকল্পনা ভেস্তে দিল। শেখ হাসিনা ও তার এমপিরা সবসময় বড়াই করতো কোন শক্তিই তাদের পরাজিত করতে পারবেনা। আমিত্বে মত্ত শেখ হাসিনার অহংকার তাকে ডুবালো। জুলাই আন্দোলনে নিরস্ত্র ছাত্র-জনতাকে হত্যা করেও তার শেষ রক্ষা হলোনা। ছোটবোনসহ ভারতে পালাতে হলো। শেখ হাসিনা ও তার বামনেতারা উপলব্ধি করেছিল আন্দোলনের নেতৃত্বে রয়েছে জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবির। আর তাই ১ আগস্ট তাদের নিষিদ্ধ করে গণহত্যার পরিকল্পনা করে। সাধারণ ছাত্র-জনতা এতোদিনে বুঝে গিয়েছিল আওয়ামীলীগ প্রতিবাদী দেশপ্রেমিকদের সবসময় জামায়াত-শিবির ও রাজাকার আখ্যা দিয়ে নির্মম নির্যাতন, গুম, খুন করেছিল। এবারে এমন নির্যাতন তাদের উপরে চালানো হবে। ৪ আগস্ট ছাত্র-জনতা নিরস্ত্র হাতে প্রতিরোধ ঘটিয়ে বসে। এতে হাসিনা প্রশাসনের পীলে চমকে উঠে। পালাতে থাকে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা। ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা ও তার ছোটবোন গণহত্যার নির্দেশ দিয়ে পালিয়ে যায়। মুন্না জুলাই আন্দোলনে অত্যন্ত ঝুঁকি থাকা সত্বেও রাস্তায় ছিলেন বন্ধুদের নিয়ে। আন্দোলনে সবসময় সক্রিয় ছিলেন। মিছিলে সবসময় সামনের সারিতে থাকতেন। ৫ আগস্ট সন্ধ্যা ৬.৩০ মিনিটে স্বৈরাচার মুক্তির আনন্দ মিছিল থেকে ফেরার সময় সাভার মেডিকেল কলেজের সামনে পুলিশের গুলিতে আহত হন। পরিবর্তীতে সাভার এনাম মেডিকেল কলেজে ভর্তি করা হলে সেখানে ডাক্তার মৃত ঘোষনা করেন । অর্থনৈতিক অবস্থা শহীদের পরিবারের নিজস্ব কোন ঘর বাড়ি নেই তার ফুফুর বাসায় তাদের পরিবার থাকেন। তার বাবা বহুবছর যাবত অসুস্থ। তিনি মুন্নার চাচার বাসায় থাকেন। পরিবারে উপার্জনক্ষম শহীদের একমাত্র ভাই রাজিব খান। তিনি পেশায় একজন ফটোগ্রাফার। একটি স্টুডিওতে ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টে চাকুরী করেন। মা ডায়াবেটিকসের রোগী। প্রতি মাসে তার ৩৫০০ টাকার মেডিসিন লাগে নিউজ লিংক https://www.bssnews.net/bangla/stories-of-mass-upsurge/150721 https://www.facebook.com/share/p/15v2LJt4Lo/?mibextid=wwXIfr https://www.facebook.com/share/v/18PFvLL1mj/?mibextid=wwXIfr https://www.observerbd.com/news/505351 https://www.dhakatribune.com/bangladesh/357152/student-movement-martyr-munna-will-forever-live-in?fbclid=IwZXh0bgNhZW0CMTEAAR00vJheH9TLNpRFuu1WoFQwvPrc0V3_U21y2ELYiNiR-8HMY--f79H85l4_aem_SgPmXqQV-o71IeEvZUHTRw https://www.facebook.com/share/v/15cYEGpUzm/?mibextid=wwXIfr একনজরে শহীদ সম্পর্কিত তথ্যাবলি নাম : তানজীর খান মুন্না জন্ম : ২৩/১০/২০০৩ পেশা : ছাত্র সাভার সরকারী কলেজ (ডিগ্রি ২য় বর্ষ) পিতা : মো: রাজা খান মাতা : আমেনা বেগম ভাই-বোন : ১ ভাই মো: রাজিব খান স্থায়ী ঠিকানা : বাসা/হোল্ডিং: এ ১৫/২, গ্রাম/রাস্তা: আনন্দপুর, ডাকঘর : সাভার-১৩৪০, সাভার পৌরসভা, ঢাকা বর্তমান ঠিকানা : এ ১৫/২, গ্রাম/রাস্তা : আনন্দপুর, ডাকঘর: সাভার-১৩৪০, সাভার পৌরসভা, ঢাকা ঘটনার স্থান : সাভার মডেল থানার সামনে আক্রমণকারী : পুলিশ আহত হওয়ার সময় : ৫ আগস্ট, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬.৩০ আঘাতের ধরন : বাম পায়ের উরুর অংশে মৃত্যুর তারিখ ও সময়, স্থান : ৫ আগস্ট, ২০২৪ রাত ৯ টা, সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ শহীদের কবরের অবস্থান : সাভার তালবাগ কবরস্থান প্রস্তাবনা ১. শহীদের পরিবারের জন্য পূনর্বাসন করে দেওয়া ২. মাসিক ও এককালীন ভাতা প্রদানের ব্যবস্থা করা