জন্ম তারিখ: ২৭ মার্চ, ২০০৫
শহীদ হওয়ার তারিখ: ৬ আগস্ট, ২০২৪
বিভাগ: রংপুর
পেশা : রিকশা চালক শাহাদাতের স্থান: ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল
মো: শাহিনুর আলম (১৯) পরিবারের সর্ব কনিষ্ট ছেলে। জনাব আব্দুল জব্বার ও মাছিরন বেগমের পাঁচ সন্তানের মধ্যে শাহিনুর ছিল ৪র্থ তম। শাহিনুরের জন্ম ২৭ মার্চ ২০০৫। তার ঠিকানা গ্রাম: বড়বাসুরিয়া, ইউনিয়ন: বড় বাড়ি, ডাকঘর: খেদাবাগ, থানা+ জেলা: লালমনিরহাট। কৃষক পিতা দারিদ্রের কারনে সন্তানদের তেমন লেখাপড়া করাতে পারেননি। শৈশব গ্রামে কাটলেও দারিদ্রতার কারনে লেখা-পড়া বন্ধ হয়ে যাওয়ায় জীবিকার তাগিদে ঢাকায় পারি জমান শাহিনুর। ঢাকাতে এসে রিকশা চালাতেন। তার ভাই বোনরা হলেন- মোঃ মাজেদুল ইসলাম (২৬) ও মোঃ সাইদুল ইসলাম (২১) নামে দুজন বড় ভাই এবং মোছাঃ মাজেদা বেগম (২৩) ও মোছাঃ মারুফা খাতুন (১২) নামে তার আরো দুজন বোন রয়েছে। শাহাদাতের প্রেক্ষাপট ২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নির্বাচিত হওয়ার পর, তারা তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে। এরপর রাজনৈতিক সরকার ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় আওয়ামী লীগ পরপর আরও তিনটি জাতীয় নির্বাচনে জয় লাভ করে। ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালে অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচনগুলোতে ব্যপক কারচুপির অভিযোগ উঠে। এরমাঝে ২০১৮ সালের নির্বাচন ব্যতীত বাকি দুটো নির্বাচন বাংলাদেশের অধিকাংশ রাজনৈতিক দল বয়কট করেছিলো। এইসময় সরকার তাদের বিরোধীদের উপর ব্যাপক নির্যাতন ও ধর-পাকড় চালায়, বিরোধী দলের শীর্ষ নেতাদের বিভিন্ন মামলায় সাজা দেওয়ার মাধ্যমে তাদের নেতৃত্বশূন্য করে ফেলা হয়। এইসময়ে বাংলাদেশের সব গণমাধ্যমে তথ্য প্রচার কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হয় এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, ২০১৮-এর মতো আইনের মাধ্যমে কঠোরভাবে জনসাধারণের মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে নিয়ন্ত্রণ করা হয়। এইসময়ে অরাজনৈতিক আন্দোলন সহ অধিকাংশ আন্দোলন নিয়ন্ত্রণে সরকার পুলিশ বাহিনীর পাশাপাশি আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠন বিশেষত ক্যাম্পাসগুলোতে ছাত্রলীগকে ব্যবহার করতো। ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ক্যাম্পাসে সহিংসতামূলক কর্মকাণ্ড ও দমন-নিপড়নের অভিযোগ ছিলো। গত তিন মেয়াদে আওয়ামী লীগের ছোট থেকে কেন্দ্রের বেশিরভাগ নেতা ও সরকারি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অর্থপাচারের অভিযোগ উঠেছিলো, বাংলাদেশ থেকে পাচার করা অর্থে কানাডায় বাংলাদেশিদের পরিবারে সদস্যদের নিয়ে বেগমপাড়া তৈরি করা হয়েছে, গত দুই বছর ধরে বাংলাদেশের মূল্যস্ফীতি রেকর্ড ছুঁয়েছে, পাশাপাশি রিজার্ভের ঘাটতি, দুর্নীতির ব্যাপক বিস্তার, দেশ থেকে বিপুল পরিমাণে অর্থ পাচার, ব্যাংকিংখাতে হাজার হাজার কোটি টাকার ঋণ অনিয়মের জন্য সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রায় ব্যয় বৃদ্ধি পেয়ে দিনে দিনে জীবন-যাপন কঠিন হয়ে উঠেছিলো, যার কারণে তারা সরকারের উপর ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছিল। ২০১৮ সালে বাংলাদেশে সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে ব্যাপক আন্দোলন শুরু হয়, যা ছাত্রদের মধ্যে সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের নেতৃত্বে পরিচালিত হয়। এই আন্দোলনের প্রধান লক্ষ্য ছিল প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে চলমান কোটা ব্যবস্থা সংস্কার করা। আন্দোলনের ধারাবাহিকতা এবং শিক্ষার্থীদের চাপে, সরকার ৪৬ বছর ধরে চলা এই কোটাব্যবস্থা বাতিলের ঘোষণা দেয়। তবে, ২০২১ সালে এই সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে সাতজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, অহিদুল ইসলামসহ, হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন। অবশেষে, ২০২৪ সালের ৫ জুন, হাইকোর্টের বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের বেঞ্চ কোটাব্যবস্থা বাতিলের সিদ্ধান্তকে অবৈধ ঘোষণা করে। রায় প্রকাশের পরপরই দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা এই রায়ের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করে। জুলাই মাসে আন্দোলন আরও তীব্র রূপ নেয়, যেখানে শিক্ষার্থীরা "বাংলা ব্লকেড" সহ অবরোধ কর্মসূচি চালায়। এই সময়ে আন্দোলন দমাতে পুলিশের অতিরিক্ত শক্তি প্রয়োগের ফলে সংঘর্ষ ঘটে, এবং রংপুরে আবু সাঈদ নামে একজন শিক্ষার্থী পুলিশের গুলিতে নিহত হন। এই ঘটনাটি আন্দোলনকে আরও জোরালো করে এবং দেশজুড়ে উত্তেজনা বৃদ্ধি পায়। এরপর ঢাকাসহ সারাদেশে আন্দোলন সহিংহ হয়ে উঠে ও বিভিন্ন জায়গায় আইন শৃঙ্খলা বাহিনী, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের মতো সংগঠনের হামলায় অনেক হতাহত হয়। এইসময় সারাদেশে কারফিউ জারি ও ইন্টারনেট বন্ধ করে দেওয়া হয়। স্বৈরাচারী খুনি হাসিনার বিরুদ্ধে ছাত্র জনতা কোটাবিরোধী আন্দোলন শুরু করেছিল ২০২৪ সালের জুলাই মাসে। আন্দোলনের নামকরণ করা হয়েছিল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। যার যাত্রা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শুরু হয়ে অর্থাৎ সমগ্র বাংলাদেশে ছড়িয়ে পড়েছিল। ৪ আগষ্টে সরকার ৩ দিনের কারফিউ জারি করার পর ৫ আগষ্টে চলছিল প্রথম দিনের কারফিউ। এদিন সকালের পরিবেশ বেশ থমথমে, সতর্ক অবস্থানে ছিল ঢাকার পুলিশ। তবে কারফিউ অমান্য করে বেলা ১১ টার পর থেকে সারা দেশের শিক্ষার্থী ও সাধারণ জনগণ শাহবাগে জড়ো হতে থাকে। তারপর শাহবাগ থেকে আন্দোলনকারীরা গণভবনের দিকে পদযাত্রা শুরু করেন। এ সময় শেখ হাসিনা বেলা দুইটার দিকে পদত্যাগ করেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নতুন কর্মসূচি লং মার্চ টু ঢাকা ঘোষণা করে। প্রথমে ৬ আগস্ট পালন করার কথা থাকলেও পরে তা ৫ আগস্ট করা হয়। ৫ আগস্ট খুনি হাসিনার দেশ থেকে পালানোর খবর সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ে এই খবর শুনার পরে সারা দেশের মানুষ আনন্দ মিছিল এ বের হয়। লালমনিরহাট জেলা সদরের বড়বাড়ি ইউনিয়নের বড় বাসুরিয়া গ্রামের মোঃ শাহিনুর আলমের কথা। ভাই -বোনের মধ্যে উনি হলেন তৃতীয় জন। তার স্বপ্ন ছিল নিজের উপার্জন দিয়ে বসত ভিটা কিনে বাবা-মাকে একটা বাড়ি করে দেওয়ার। আর এই চিন্তা ভাবনা নিয়েই সীমান্তবর্তী জেলা লালমনিরহাট থেকে দেশের রাজধানী ঢাকায় ছুটে যাওয়া। জীবিকার তাগিদে ঢাকায় এসে রিকশা চালান তিনি। কিন্তু বাড়ি করার সেই ইচ্ছে মাটিতে বিলীন হয়ে গেছে শাহিনুরের। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পরদিন ৬ আগস্ট মঙ্গলবার সকালে ৮.৩০ মিনিটে ঢাকার কামরাঙ্গীরচর এলাকার লালবাগ থানার সামনে দাঁড়িয়েছিলেন শাহিনুর আলম। এ সময়ে থানার সামনে চলছিল বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিজয় মিছিল। খুনি হাসিনা পালানোর পরে রাস্তায় আনন্দ ও বিজয় এ মিছিল দেখে শাহিনুর মিছিলে যোগ দেন। ঠিক সেই সময় থানার ভেতর থেকে পুলিশ অতর্কিত গুলি চালাতে শুরু করে। শাহিনুরের গায়ে গুলি লাগে। তিনি রাস্তায় পড়ে যান। পরে তাকে স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন স্বপ্নবাজ এই ছেলেটি। পরে ৬ ই আগস্ট রাতে তার লাশ নিজ বাড়িতে নিয়ে এসে বড়বাড়ি ইউনিয়নের খেদাবাগের কেন্দ্রীয় কবরস্থানে দাফন করা হয়। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পরদিন ৬ আগস্ট মঙ্গলবার সকালে ৮.০০ মিনিটে ঢাকার কামরাঙ্গীরচর এলাকার লালবাগ থানার সামনে দাঁড়িয়েছিলেন শাহিনুর আলম (১৯)। এ সময়ে থানার সামনে চলছিল বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিজয় মিছিল। শাহিনুর মিছিলে যোগ দেন। ঠিক সেই সময় থানার ভেতর থেকে পুলিশ অতর্কিত গুলি চালাতে শুরু করে। শাহিনুরের গায়ে গুলি লাগে। তিনি রাস্তায় পড়ে যান। পরে তাকে স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন স্বপ্নবাজ এই ছেলেটি। পরে ৬ আগস্ট রাতে তার লাশ নিজ বাড়িতে নিয়ে এসে বড়বাড়ি ইউনিয়নের খেদাবাগের কেন্দ্রীয় কবরস্থানে দাফন করা হয়। অর্থনৈতিক অবস্থা শাহিনুর আলমের বাবা ছিলেন কৃষক। এবং শাহিনুর মা ছিলেন গৃহিনী। কৃষকের কাজ করে তার বাবা সংসার চালতেন খুবই কস্ট করে।দারিদ্রের কারনে তিনি তার সন্তানদের তেমন বেশি লেখাপড়া করাতে পারেননি। শাহিনুর আলম ভাইবোনদের মধ্যে ৩য়। ভাই মাজেদুল ইসলাম ও সাইদুল ইসলাম দুজনেই অটো রিকশা চালক। বোন মাজেদা বেগমের বিয়ে হয়েছে। তিনি একজন গৃহিণী। ছোট বোন মারুফা খাতুন মোহাম্মদবাগ আদর্শ নুরানী হাফিজিয়া মাদ্রাসায় পড়াশোনা করেন। শাহিনুর আলম দারুস সুন্নাহ হাফিজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষার্থী ছিলেন। পারিবারিক অস্বচ্ছলতার কারণে পড়াশোনা বাদ দিয়ে ঢাকার কামরাঙ্গীরচর এলাকায় একটি ছাত্রাবাসে থেকে অটো রিকশা চালাতেন তিনি। অটো রিকশা চালিয়ে যে টাকা উপার্জন করতেন তার বড় একটি অংশ বাবার হাতে তুলে দিতেন। তার টাকায় ছোট বোন মারুফা খাতুনের পড়াশুনাসহ তার বাবার সংসার চলতো। শাহিনুরের টাকায় তার বাবা মা খেয়ে পরে চলতো। এখন তো শাহিনুর নেই। এখন তাদের খুব অর্থ সংকট। পারিবারিক বক্তব্য শাহিনুর আলম একজন নম্র, ভদ্র ছেলে হিসেবে পরিচিত ছিল গ্রামে সবার কাছে। তাই গ্রামবাসীরা তার জন্য একটি সড়কের নাম ‘শাহিনুর আলম সড়ক’ । শাহিনুরের মৃত্যুতে গ্রামের অনেক মানুষই নিজের চোখের পানি ধরে রাখতে পারেনি। বাবা আব্দুল জব্বার বলেন, আমার অনেক বয়স হয়ে গেছে। এখন তেমন কাজকর্ম করতে পারি না। আগে মানুষের জমিতে কাজ করে টাকা উপার্জন করতাম। আমার নিজের বলতে কিছুই নেই। সরকারি খাস জমিতে বাড়ি করে থাকি আমরা। নিজের কোন জায়গা-জমি নেই। আমার যেই ছেলে টাকা পয়সা দিয়ে আমাদের সাহায্য করত তাকেই তারা গুলি করে পৃথিবী থেকে বিদায় করে দিলো। তার মৃত্যুতে বন্ধ হয়ে গেছে আমার পুরো পরিবারের উপার্জনের চাকা। অন্যদিকে আমার স্ত্রী ছেলে হারানোর শোকে পাগল হয়ে গেছে। প্রতিনিয়ত এখন তার চিকিৎসা করতে হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, সরকার যদি আমাদের সংসারের খোঁজ খবর রাখে এবং সাহায্য করে তাহলে আমাদের অসচ্ছল পরিবারটি হয়তো আবারো আগের মতো করে ঘুরে দাঁড়াতে পারবে। শাহিনুর আলমের বাবা আব্দুল জব্বার বলেন, আমার ছেলেসহ দেশের এই আন্দোলনে যারা মায়েদের বুক খালি করেছে, যারা এই খুনের সঙ্গে জড়িত আমি তাদের প্রত্যেককে বিচারের আওতায় দেখতে চাই। বর্তমান সরকারের প্রতি আমার এটা দাবি। শাহিনুর আলমের মা মাছিরন বেগম চোখের পানি ছেড়ে দিয়ে বলেন, আমার ছেলেকে ওরা হত্যা করেছে। আমি এখন কার মুখ দেখে বেঁচে থাকব! কে আমারে ওষুধের টাকা দেবে? কে আমার জামাকাপড়ের দিবে? কে আমার ছোট মেয়ের পড়াশোনার খরচ চালাবে ? আর কেই বা আমারে মা বলে ডাকবে? আমি এই হত্যার বিচার চাই! নিউজ লিংক https://www.bssnews.net/bangla/stories-of-mass-upsurge/161071/print একনজরে শহীদ সম্পর্কিত তথ্যাবলি নাম : মো: শাহিনুর রহমান (১৯) জন্ম : ২৭-০৩-২০০৫ পেশা : শ্রমিক (রিকশা চালক) পিতা : আব্দুল জব্বার মাতা : মাছিরন বেগম বৈবাহিক অবস্থা : অবিবাহিত ভাই-বোন : দুই ভাই ও দুই বোন (মাজেদুল-২৬, সাহিদুল-২১, মাজেদা-২৩ ও মারুফা-১২) স্থায়ী ঠিকানা : গ্রাম: বড়বাসুরিয়া, ইউনিয়ন: বড় বাড়ি, ডাকঘর: খেদাবাগ, থানা+ জেলা: লালমনিরহাট বর্তমান ঠিকানা : গ্রাম: বড়বাসুরিয়া, ইউনিয়ন: বড় বাড়ি, ডাকঘর: খেদাবাগ, থানা+ জেলা: লালমনিরহাট ঘটনার স্থান : কামরাঙ্গীরচর এলাকার (লালবাগ থানার কাছে) আক্রমণকারী : পুলিশ আহত হওয়ার সময় : ০৬ আগস্ট ২০২৪, সকাল ৮ টা আঘাতের ধরন : কাঁধে গুলি লেগে পিছনে দিয়ে বেরিয়ে যায়। মৃত্যুর তারিখ, সময় ও স্থান : ৬ আগস্ট ২০২৪ ঢামেক, সকাল ১০:৩০ মিনিট শহীদের কবরের অবস্থান : বড়বাসুরিয়া, বড় বাড়ি, খেদাবাগ, লালমনিরহাট প্রস্তাবনা ১. ভাইদেরকে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে দেয়া ২. ছোট বোন মারুফার উচ্চ শিক্ষার ব্যবস্থা করা।