জন্ম তারিখ: ২০ ফেব্রুয়ারি, ১৯৮১
শহীদ হওয়ার তারিখ: ৯ আগস্ট, ২০২৪
বিভাগ: ঢাকা
পেশা : ইন ফেব্রিক্স লিঃ কিউসি পদে চাকুরী করতেন। শাহাদাতের স্থান : ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।
শহীদ জিয়াউর রহমান ২০ ফেব্রুয়ারি ১৯৮১ সালে দিনাজপুরের বিড়াল থানায় জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম মো: আব্দুল কাফী মাতা খালেদা বেগম। পারিবারিক অসচ্ছলতার কারণে তিনি এসএসসি পর্যন্ত পড়াশোনা করতে পারেন। পরবর্তীতে তিনি কাজের জন্য ঢাকা শহরে আসেন। ইন ফেব্রিক্স লিঃ কিউসি পদে চাকুরী করতেন। মৃত্যুকালে তার এক ছেলে ও এক মেয়ে ছিল। ছেলে মোহাম্মদ তানজিলুর রহমান শারাফ নবম শ্রেণীতে পড়াশোনা করে। মেয়ে মোছাম্মৎ জাফনা আক্তার জুঁই পড়াশোনা করে। পা পরিবারের একমাত্র আয়ের উৎস ছিলেন গ্রামের বাড়িতে তেমন ঘর বাড়ি নেই। গাজীপুর একটি ভাড়া বাসাতে থাকতেন। আন্দোলনে যোগদান ও শাহাদাত বরণ একজন বীর শহীদ জিয়াউর রহমান। ৫ আগস্ট ২০২৪ সোমবার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনে অংশ নিতে ৮.৩০ মিনিটে বাসা থেকে বের হন শহীদ জিয়াউর রহমান ছাত্র জনতার মিছিলটি উত্তরার বিএনএস সেন্টারের সামনে আসলে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার সরকারের ঘাতক ঘাতক পুলিশ বাহিনী শান্তিরপির ও ছাত্র-জনতার উপর এলোপাথাড়ি গুলি ছুড়তে থাকে। শহীদ জিয়া রহমান তখন মিছিলের সামনে ছিলেন হঠাৎ একটি গুলি এসে তার পিঠে বৃদ্ধ হয় এবং পেট দিয়ে বের হয়ে যায়। ছাত্র জনতা তাকে উদ্ধার করে উত্তরার রেড ক্রিসেন্ট হসপিটালে নিয়ে যায়, অবস্থার অবনতি দেখে সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজে আনা হয়। এখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় অবশেষে ৯ আগস্ট আইসিইউ তে থাকা অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজে ৭.২০ মিনিটে মৃত্যুবরণ করেন। পারিবারিক অবস্থা দিনাজপুরের প্রত্যন্ত অঞ্চলের ছেলে শহীদ জিয়াউর রহমান, যিনি জুলাই বিপ্লবের গর্বিত শহীদ। তার জন্ম তারিখ ২০-০২-১৯৮১ সালে, পিতা মো: আব্দুল কাফী এবং মাতা খালেদা বেগম। তার স্থায়ী ঠিকানা মুন্সিপাড়া ইউনিয়নের এমনগর থানার বিরল, জেলা দিনাজপুর। বর্তমানে তিনি গাজীপুর জেলার টঙ্গী থানার। বিজয়ের দিনে তাকে ফ্যাসিস্ট হাসিনার খুনি পুলিশের গুলিতে শহীদ করা হয়, যা দেশের ইতিহাসে একটি কলঙ্কজনক অধ্যায়। শহীদ জিয়াউরের স্ত্রী শাহানাজ আক্তার, বর্তমানে শহীদ পরিবারের সঙ্গে গ্রামে ফিরে যাচ্ছেন। তাদের ভোটার আইডিতে উল্লেখিত ঠিকানা মিরপুর, ঢাকা হলেও, তারা সেখান থেকে বের হয়ে গ্রামের শান্তিতে ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। জিয়াউর রহমান ঊঘ ঋঅইজওঈ খঞউ এ ছঈ পদে কর্মরত ছিলেন, কিন্তু তার আত্মত্যাগ দেশমাতার জন্য একটি অমূল্য সম্পদ হয়ে থাকবে। শহীদ জিয়াউর রহমান দারিদ্রতার কষাঘাতে ছিলেন জর্জরিত। তিনি স্ত্রী, পুত্র,কন্যা নিয়ে ঢাকায় বসবাস করতেন। স্বল্প বেতনে কোন রকমে চলত সংসার। তার বেশকিছু ঋণ আছে। এক ছেলে মোহাম্মদ তানজিলুর রহমান শারাফ ৯ম শ্রেণীতে পাঠরত। মেয়ে মোছাঃ জাফনা আক্তার জুঁইও পড়াশোনা করতেন। বাবার মৃত্যুতে তাদের লেখাপড়া বন্ধ। তার মা ভাড়া বাসা ছেড়ে গ্রামে চলে যাচ্ছেন। তারা এখন প্রায় অভুক্ত, খেয়ে না খেয়ে যাচ্ছে দিন। সংসার খরচ, বাচ্চাদের পড়ালেখা বন্ধ সব মিলে দুর্বিষহ সময়। পরিবারটি চরম সংকটে সময় অতিক্রম করছে। প্রতিবেশীর প্রত্যয়ন প্রতিবেশী মাহবুবুর রহমানের মতে তিনি খুব ভালো মানুষ ছিলেন। তিনি নম্র,ভদ্র ও অমায়িক ছিলেন। দরিদ্র কিন্ত সততায় ছিলেম অনন্য। চাকরি করতেন, রাজনৈতিক সচেতনতা ছিল তার মাঝে। শহীদ জিয়াউর রহমান সামাজিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করতেন। তিনি ছিলেন পরোপকারী। প্রস্তাবনা ১ প্রথমেই তাদের ঋণ পরিশোধের ব্যবস্থা করা দরকার। পরিবারটিকে স্বস্তির পরিবেশে রাখতে এককালীন অনুদান দরকার। বাসা ভাড়ার ঋণ ৪০০০০ টাকা। এটিও পরিশোধের ব্যবস্থা করতে হবে। প্রস্তাবনা ২ তাদের থাকার মতো কোন ঘরবাড়ি নাই বাসস্থানের ব্যবস্থা করা আবশ্যক সংসার চালানোর মতো মাসিক ভাতার ব্যবস্থা করা প্রস্তাবনা ৩ ছেলে মেয়েদের উচ্চশিক্ষার পথ সুগম করা শহীদের স্ত্রীকে সেলাই মেশিন কিনে দেওয় এক নজরে শহীদের ব্যক্তিগত তথ্য নাম : মো: জিয়াউর রহমান জন্ম তারিখ : ২০-০২-১৯৮১ পিতা : মো: আব্দুল কাফী মাতা : খালেদা বেগম স্থায়ী ঠিকানা : গ্রাম: মুন্সিপাড়া, ইউনিয়ন: এমনগর, থানা: বিরল, জেলা: দিনাজপুর বর্তমান ঠিকানা : প্লট ৩০৮ বড় দেওয়া, এলাকা: আদর্শপাড়া, থানা: টঙ্গী, জেলা গাজীপুর পরিবারের সদস্য : ৩ জন ঘটনার স্থান : বিএনএস সেন্টার, বেস্ট বাই শোরুম এর সামনে আক্রমণকারী : স্বৈরাচারী হাসিনার ঘাতক পুলিশ মৃত্যুর তারিখ ও স্থান : ০৯-০৮-২০২৪, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কবর : নিজ এলাকা, দিনাজপুরে