জন্ম তারিখ: ১৫ ডিসেম্বর, ১৯৭৯
শহীদ হওয়ার তারিখ: ২০ জুলাই, ২০২৪
বিভাগ: ঢাকা_সিটি
পেশা : মোবাইল টেকনিশিয়ান শাহাদাতের স্থান : দনিয়া পোষ্ট অফিস সংলগ্ন, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা
'ছেলের জন্মদিনে স্ত্রীকে নিয়ে ঘুরতে যাওয়া হলো না সোহেলের' সুরুজ মিয়া ও হোসনে আরা বেগম সংসার শুরু করেন ময়মনসিংহ জেলার ত্রিশাল থানার দুর্গাপুর গ্রামে। সেখানেই জন্ম হয় অকুতোভয় বীর মুক্তিকামী সন্তান মো: সোহেলের। পরিচয়পত্র অনুযায়ী এই মহান ব্যক্তির জন্ম ১৫ ডিসেম্বর ১৯৭৯ সালে। সহোদরদের মধ্যে তিনি ছিলেন সবার বড়। ছোট ভাই জুয়েলকে প্রতিষ্ঠিত করতে সর্বাত্মক ত্যাগ শিকার করেছেন তিনি। দুই বোন আমেনা ও কুলসুমের বিয়ে আয়োজন করেছেন। দায়িত্বের অবকাঠামো থেকে তিনি ছিলেন সর্বোচ্চ নিষ্ঠাবান ও সৎ গুণের ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন একজন মানুষ। নৈতিকতায় তিনি ছিলেন সকলের চেয়ে অনন্য! তবে শৈশব থেকে পরিবারের অর্থাভাবে বড় হয়েছেন শহীদ সোহেল। যে কারণে লেখাপড়ায় পটু হলেও থামতে হয়েছে মাধ্যমিকেই। সংসারের দায়িত্ব নিজের কাঁধে বর্তানোর পর পেশা হিসেবে বিকল মুঠোফোনকে মেরামত করার দীক্ষা অর্জন করেন তিনি। শুরু হয় উদ্যমী এক তরুণের নতুন জীবন নির্বাহ । সততা এবং কর্মদক্ষতা দিয়ে দ্রুত সুখ্যাতি লাভ করেন। শহীদের পিতা সুরুজ মিয়া পেশায় দিনমজুর ছিলেন। নতুন জীবনের আশায় স্ব-পরিবারে ময়মনসিংহ ছেড়ে রাজধানীর কদমতলী এলাকায় আগমন করেন। অতঃপর শুরু হয় সোহেলের বিরামহীন জীবন। শনির আখড়া আরএস শপিংমল সেন্টারের ৪র্থ তলায় ৪১ নম্বর দোকানটি ভাড়া নেন। ইলেকট্রিক ডিভাইস এবং মোবাইল সার্ভিসিং সেবা শুরু করেন। শহীদের জীবন ছিল খুবই সাধারণ। যে কোনো মানুষের সাথে খুব সহজেই বন্ধুত্ব হয়ে যেত তার। অত্যন্ত আন্তরিক ও মিশুক হওয়ার কারণে কাস্টমারদের সাথে দ্রুত সু-সম্পর্ক গড়ে ওঠে সোহেলের। তার কাজের সুনামের কারণে দোকানে যেন ভিড় লেগেই থাকত। ছোট ভাইয়ের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে নিজ হাতে মোবাইল টেকনিশিয়ান বানিয়েছিলেন তাকে। সংসারের সকল দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে নিজের বৈবাহিক জীবন বিলম্বে শুরু করেন মো: সোহেল। ২০১৮ সালে আয়েশা আক্তার কুহেলির সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন তিনি। কিছুদিন পর তাদের ঘর আলোকিত করে জন্ম নেয় একমাত্র পুত্র হযরত বিল্লাল আনাস। সন্তানের আগমনে প্রস্ফুটিত হয় যাবতীয় সুখ। পরিবার জুড়ে উৎসব বিরাজ করে। এ যেন মহা খুশীর ধুম! পিশাচ দেখেছেন? দেখেননি? দেখেছেন বোধহয়, লক্ষ করেননি। হঠাৎ দেশে আন্দোলন সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে গত ১ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যাত্রা শুরু হয়। এক মাসের মাথায় তারা ১৫ বছরের বেশি সময় ধরে ক্ষমতায় থাকা শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটায়। তৎকালীন সরকার প্রধান খুনি হাসিনার নেতৃত্বে ব্যাপক সহিংসতা চালায় ঘাতক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। অগণিত ছাত্র-জনতার মৃত্যু এবং প্রবল গণআন্দোলনের মুখে স্বৈরাচারী হাসিনা সোমবার ৫ আগস্ট ২০২৪ পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যায়। প্রথমত ছাত্রদের বিক্ষোভ শুরু হয় সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি নিয়ে, কিন্তু সরকার সহিংসতা দিয়ে ছাত্রদের দমন করার চেষ্টা করলে সর্বস্তরের মানুষ আন্দোলনে যোগ দেয়। শিক্ষার্থীরা জানায়, ‘কোটা বৈষম্য মেধাভিত্তিক নিয়োগের জন্য ক্ষতিকর। কোটাকে চিরতরে উচ্ছেদ করতে হবে।’ দাবী আদায়ের লক্ষ্যে রাজপথে আবস্থান কর্মসূচী ঘোষণা করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সংগঠন। যার প্রেক্ষিতে ১৪ জুলাই ২০২৪ এক সংবাদ সম্মেলনে স্বৈরাচারী প্রধানমন্ত্রী হাসিনা মন্তব্য করে, “মুক্তিযোদ্ধাদের ওপর তাদের এত ক্ষোভ কেন? মুক্তিযোদ্ধাদের নাতি-পুতিরা পাবে না তাহলে কি রাজাকারের নাতি-পুতিরা পাবে?” প্রধানমন্ত্রীর এই বিরূপ বক্তব্যের পর, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে এবং শেখ হাসিনার ওই মন্তব্যকে তারা তাদের উদ্দেশ্যে করা হয়েছে বলে মনে করে। শিক্ষার্থীরা গভীর রাতে মিছিল করে স্লোগান দিতে থাকে, “তুমি কে? আমি কে? রাজাকার, রাজাকার! কে বলেছে, কে বলেছে? স্বৈরাচার স্বৈরাচার!” এবং “চাইতে গেলাম অধিকার হয়ে গেলাম রাজাকার।” একপর্যায়ে বাংলা ব্লকেড, কমপ্লিট শাটডাউন বা সর্বাত্মক অবরোধ, অসহযোগ কর্মসূচি পালনের পর চুড়ান্ত পর্যায়ে হাসিনা সরকারের পদত্যাগে এক দফা দাবি ঘোষিত হয়। খুনি হাসিনার নির্দেশে দেশে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। ঢাকার একটি মেট্রোরেল স্টেশনে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় এবং গণপরিবহন কর্তৃপক্ষের ভবন ভাঙচুর করা হয়। ঘাতক পুলিশ ও ছাত্র-জনতার মধ্যে সংঘর্ষ চলতে থাকে । পিশাচ দেখেছেন? দেখেননি? দেখেছেন বোধহয়, লক্ষ করেননি। একজন জলজ্যান্ত মানুষকে কতগুলো মানুষরূপী দানব পিটিয়ে, গুলি করে মেরে ফেলছে, পৈশাচিক উল্লাস করছে। এমন দৃশ্য দেখেছেন? দেখেননি? সামান্য মতের অমিলের কারণে, ভিন্নমতাবলম্বী হলে, অভিযুক্ত মানুষটিকে সুযোগ পেলেই ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গসংগঠনের পিশাচগুলো পিটিয়ে মেরে ফেলা যেন নিজেদের অধিকার মনে করত । তেমনি গত ২০ জুলাই, শনিবার আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদেরকে নরপিশাচ ও ঘাতক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ধাওয়া-পালটা ধাওয়া, টিয়ারশেল, সাউন্ড গ্রেনেড, ছররা গুলি, হেলিকপ্টার থেকে গুলি বর্ষণ, গুম, খুন, নির্যাতন, মামলা দায়ের করে আন্দোলনকে প্রতিহত করার চেষ্টা চালায়। এদিন উত্তাল ছিল রাজধানী ঢাকা। ‘কতটা হিংস্র ওরা, মানুষ মানুষকে কিভাবে মারতে পারে।’ আন্দোলনে যোগদানের বহিঃপ্রকাশ ২৪ এর শহীদ মো: সোহেল আন্দোলনে যোগ দেওয়ার জন্য দ্রুত দোকান বন্ধ করে। রক্তাক্ত প্রান্তর দেখে ভয়ে জড়সড় হয় তার ভাই জুয়েল। ছোট ভাইকে বাড়ি পাঠিয়ে শ্বশুর বাড়ি যান তিনি। স্ত্রীকে জানান-“আন্দোলনে যেতে খুব ইচ্ছে করছে।” আয়েশা আক্তার নিষেধ করেন। হালকা ধমক দিয়ে বলে- “তোমার কিছু হয়ে গেলে আমি আর আনাস কি নিয়ে বাঁচব?” তবুও যেন মন মানে না সোহেলের। স্ত্রী-সন্তানকে নিয়ে বিক্ষোভ দেখতে বাসার ছাদে ওঠেন তিনি। চারিদিকে লাশের স্তুপ দেখে স্ত্রী কে বলে- “কতটা হিংস্র ওরা, মানুষ মানুষকে কিভাবে মারতে পারে।” ‘আপনার স্বামী আর নেই, তিনি ইহলোক ত্যাগ করে অনন্তের পথে পাড়ি জমিয়েছেন।’ শাহাদতের মাহেন্দ্রক্ষণ ২০ জুলাই, ২০২৪ বিকাল সাড়ে পাঁচটা। বাসার সামনে সংঘর্ষ হচ্ছে শুনে নিচে নেমে আসেন সোহেল ও বাড়ির মালিক। মুদি দোকানের কাছে গিয়ে পরিস্থিতি দেখার চেষ্টা করেন। হঠাৎ বর্ণমালা স্কুলের উপর থেকে ঘাতক পুলিশের একটি গুলি সোহেলের বুকে এসে বিদ্ধ হয়। মুহূর্তে অচেতন হয়ে পড়েন তিনি। বাড়ির মালিক সোহেলের স্ত্রীকে ডাক দিয়ে জানান- “তোমার স্বামীর বুকে গুলি লেগেছে”। শহীদ পত্নী দৌড়ে এসে স্থানীয় প্রতিবেশীদের সাহায্যে সোহেলকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করেন। দ্রুত কাজলা অনাবিল হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানকার চিকিৎসকেরা ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। ঘড়িতে তখন সাতটা ত্রিশ। ঢামেক অভিমুখী হন শহীদ স্ত্রী। কাজলা থেকে হাসপাতালের পথে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের ফলে নিরবে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন বীর সেনানী দেশ প্রেমিক মো: সোহেল। স্বামীকে বুকের সাথে আঁকড়ে ধরেন আয়েশা আক্তার কুহেলি। তবুও হাসপাতালের দিকে ছুটে যান তিনি। অতঃপর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক পালস পরিমাপ করে জানায়- “আপনার স্বামী আর নেই, তিনি ইহলোক ত্যাগ করে অনন্তের পথে পাড়ি জমিয়েছেন।” এ কথা শোনার সাথে সাথে কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়েন আয়েশা আক্তার। যেন অল্প শোকে কাতর, অধিক শোকে পাথর। অচেতন পুত্রবধূ ও শহীদ পুত্রকে বাসায় নিয়ে আসেন জনাব সুরুজ মিয়া। হোসনে আরা বেগম ছেলের শোকে বিলাপ করতে থাকেন। বারবার অজ্ঞান হওয়ার উপক্রম হন তিনি। বাবার গলা জরিয়ে ধরে আনাস। ছোট্ট হাতের পরশে রক্ত মুছতে চেষ্টা করে সে। বুঝতে পারে না যে তার বাবা চিরদিনের জন্য ধরাধাম থেকে বিদায় নিয়েছে। সন্তানের লাশ গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যায় শহীদ পিতা। সেখানেই গোসল দেওয়া হয় তাকে। মসজিদ প্রাঙ্গণে শতশত মানুষের উপস্থিতিতে জানাজা সম্পন্ন হয়। নিজ হাতে শহীদ পুত্রকে ময়মনসিংহের ত্রিশালস্থ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করেন সুরুজ মিয়া। মাটি দেয়ার সময় উচ্চারণ করেন-“বিসমিল্লাহি ওয়া আলা মিল্লাতি রাসূলিল্লাহি”। অর্থাৎ, আল্লাহর নামের সহিত এবং আল্লাহর রাস্তায় এবং রাসুলাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লামের নিয়মের উপর সন্তানকে দাফন করছি। কি মর্মান্তিক অনুভূতি! এ যেন বিষাদে মোড়ানো জীবন। ঘাতকের একটি বুলেট সকল স্বপ্নকে বিলীন করে দিল। মুহূর্তে বিধবা, এতিম, সন্তানহারা হয়ে গেল শহীদ সোহেলের প্রিয়জনেরা। যন্ত্রনাময় অনুভূতি ‘ভাইয়ার মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে বহু কাস্টমার বাসায় এসে কান্নাকাটি করেন।’ শহীদ পিতা বলেন,“সোহেল গুলিবিদ্ধ হওয়ার দেড় ঘণ্টা আগে এক বস্তা চাল, আম ও কাঁঠাল কিনে বাসায় দিয়ে যায়।” যাওয়ার সময় বলে যায়-“আব্বা চতুর্দিকে ঝামেলা হচ্ছে, বাইরে বের হয়েন না। আমাকে সতর্ক করে আমার ছেলে চলে গেল। আমি সন্তান হত্যার বিচার চাই”। শহীদের শ্বশুর মো: কাশেম বলেন- “আমাদের জামাই-শশুরের সম্পর্ক ছিল খুবই আন্তরিক ও বন্ধুত্বপূর্ণ। একে অপরকে খুব ভালো বুঝতাম। আমার পরিবারের জন্য অনেক কিছু করেছে সোহেল। এক কথায় সে আমার জামাই নয়, আমার ছেলে ছিল।” শহীদের সহোদর জুয়েল বলেন, “ভাইয়ার মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে বহু কাস্টমার বাসায় এসে কান্নাকাটি করেন।” বিয়োগান্ত ঘটনা শহীদ পুত্র হযরত বিল্লাল আনাসের জন্মদিন ছিল ২৯ জুলাই। শহীদ সোহেল তার স্ত্রীকে বলেছিলেন,“ছেলের জন্মদিনে আমরা একসাথে ঘুরতে যাব।” একমাত্র সন্তানের দুরন্তপনা দেখে আদর করে টাইগার ডাকতেন তার বাবা। একমাত্র ছেলের বিশেষ এই দিনটি উদযাপনের কতই না পরিকল্পনা ছিল সোহেলের। দীনতা এল ফিরে সোহেলের বাবা জনাব সুরুজ হাওলাদার (৬২) চোখের সমস্যায় ভুগছেন। মা হোসনে আরা বেগমের (৫৫) দুচোখে ছানি পড়েছে। অন্যের সাহায্য ছাড়া চলাচল করতে পারেন না। শহীদের পারিবারিক অবস্থা ভালো না থাকায়, তার স্ত্রী আয়েশা আক্তার কুহেলি (২৭) বর্তমানে বাবার বাড়িতে অবস্থান করছেন। শহীদের ১৩ লক্ষ টাকা ঋণ ছিল। ঋণ পরিশোধ করতে তার স্ত্রী দোকানটি বিক্রি করেছেন। তবুও ঋণ সম্পূর্ণ রূপে পরিশোধ করতে পারেননি। পরিবারের আর্থিক অবনতি দেখে ঋণ মউকুফ করেছেন দেনা দাতারা। “চেতনার পথে দ্বিধাহীন অভিযাত্রী বেশে বাঙালিকে সর্বদা চলার প্রেরণা জোগান ২৪ এর শহীদগণ” ‘আমি পুনরায় আকাশখানিরে চেয়ে দেখি নক্ষত্রপুঞ্জের মৌনমেলা, মনে হয় এঁকেবেঁকে উঠে যাবে আমাদের ছিন্নভিন্ন পরাস্ত জীবন, অবশেষে বহুদূরে দিগন্তের দিকচিহ্ন মুছে দিয়ে ডাক দেবে আমরাই জয়ী।’ এক নজরে শহীদের ব্যক্তিগত তথ্য নাম : শহীদ মো: সোহেল পেশা : মোবাইল টেকনিশিয়ান ও ব্যবসা জন্ম তারিখ ও বয়স : ১৫ ডিসেম্বর ১৯৭৯, ৪৫ বছর শহীদ হওয়ার তারিখ : ২০ জুলাই ২০২৪, শনিবার, আনুমানিক সন্ধ্যা ৭.৩০টা শাহাদাত বরণের স্থান : দনিয়া পোষ্ট অফিসের কাছে, যাত্রাবাড়ী দাফন করা হয় : পারিবারিক কবরস্থান স্থায়ী ঠিকানা : দুর্গাপুর, ত্রিশাল, ময়মনসিংহ পিতা : মো: সুরুজ মিয়া (৬২) মাতা : মোসা: হোসনে আরা বেগম ঘরবাড়ি ও সম্পদের অবস্থা : সামান্য পরিমাণে বসতি জমি রয়েছে ভাইবোন ও সন্তানের বিবরণ : ১. মো: হযরত বিল্লাল আনাস, সম্পর্ক: ছেলে, বয়স: ০৪ বছর : ২. কুলসুম, সম্পর্ক: বোন, বয়স: ২৫, (বিবাহিতা) : ৩. জুয়েল, সম্পর্ক: ছোট ভাই, বয়স: ২২, পেশা: পিকআপ চালক : ৪. আমেনা, সম্পর্ক: বোন, বয়স: ২০, (বিবাহিতা) স্ত্রী : আয়েশা আক্তার কুহেলি, পেশা: গৃহিণী, বয়স: ২৭, শিক্ষাগত যোগ্যতা: এইচ এস সি (পাশ) প্রস্তাবনা ১. শহীদের একমাত্র ছেলে ও বৃদ্ধ বাবা-মায়ের প্রতিপালন খরচ জোগানে সহযোগিতা করা যেতে পারে ২. শহীদের বাবাকে মুদি দোকান করে দেয়া যেতে পারে ৩. শহীদ পত্নীকে কোনো ব্যবসা বা চাকরির ব্যবস্থা করে দিলে উপকার হবে। তথ্য সংগ্রহের তারিখ: ২১-০৮-২০২৪