জন্ম তারিখ: ১৫ মার্চ, ১৯৯৯
শহীদ হওয়ার তারিখ: ৪ আগস্ট, ২০২৪
বিভাগ: চট্টগ্রাম
পেশা : প্রাইভেট টিউশন, শাহাদাতের স্থান : মহিপাল, ফেনী
“ছাত্রলীগের ছোঁড়া তিনটি গুলি এসে লাগে মাহবুবুলের মাথায়” শহীদ মো: মাহবুবুল হাসান ছিলেন এক সাহসী ও মেধাবী তরুণ, যিনি দেশের জন্য নিজেকে উৎসর্গ করেছেন। ফেনী জেলার সোনাগাজী উপজেলার চরচান্দিয়া গ্রামে ১৫ মার্চ ১৯৯৯ সালে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। সাত ভাইবোনের মধ্যে ৪র্থ ছিলেন তিনি। ছোটবেলা থেকেই মেধাবী ছাত্র হিসেবে পরিচিত মাসুম দাখিল ও আলিম পরীক্ষায় অসাধারণ ফলাফল অর্জন করেন। সোনাগাজী ইসলামিয়া কামিল মাদ্রাসা থেকে ২০১৪ সালে দাখিল এবং চট্টগ্রাম আলিয়া মাদ্রাসা থেকে ২০১৬ সালে আলিম পাশ করেন। পরে ছাগলনাইয়া আব্দুল হক ডিগ্রি কলেজ থেকে স্নাতক শেষ করেন এবং চট্টগ্রাম কলেজে মাস্টার্সে ভর্তি হন। মাসুম শুধু পড়াশোনায় নয়, ব্যক্তিগত জীবনেও ছিলেন অমায়িক ও বিনয়ী। জীবিকার তাগিদে তিনি প্রাইভেট টিউশনের পাশাপাশি ব্যবসায়িক উদ্যোগ নেওয়ার পরিকল্পনাও করেছিলেন, যেন পরিবারের হাল ধরতে পারেন। তাঁর পিতা নোমান হাসান (মৃত) ছিলেন একজন সমাজসেবক, যিনি ২০২৩ সালের ২৭ মে ইন্তেকাল করেন। মাতা ফেরদৌস আরা বেগম একজন গৃহিণী, যিনি ৫৫ বছর বয়সে সন্তানের শোক বয়ে বেড়াচ্ছেন। শহীদ মাসুমের চার ভাই ও তিন বোন রয়েছে। মাহমুদুল হাসান (২৮) একজন চাকরিজীবী, মাহফুজুল হাসান (২৬) মাস্টার্স শেষ করেছেন, আর ছোট ভাই একাদশ শ্রেণির ছাত্র। তিন বোনের মধ্যে আছিয়া খাতুন গৃহিণী, রাবেয়া বসরী এবং সালেহা খাতুনও গৃহিণী। পরিবারের আর্থিক অবস্থা ছিল অসচ্ছল, এবং মাসুম পরিবারের প্রধান ভরসা হয়ে উঠেছিলেন। ২০২৪ সালের ৪ আগস্ট দুপুর ২টা ১০ মিনিটে ফেনীর মহিপালে ছাত্রলীগ নেতা সাজ্জাদ হোসেন অন্তরের নেতৃত্বে এক আক্রমণের শিকার হন শহীদ মাসুম। ঐ হামলার পর গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে নেওয়া হয়, কিন্তু ৭ আগস্ট সন্ধ্যা ৬ টায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তাঁর শাহাদাত গোটা এলাকাকে শোকের সাগরে ডুবিয়ে দেয়। মাসুমের দাফন করা হয় ফেনীর সোনাগাজী উপজেলায়, যেখানে তাঁর কবরের অবস্থান চিরকাল দেশপ্রেমের উদাহরণ হয়ে থাকবে। তাঁর এই আত্মত্যাগ কেবল তাঁর পরিবার নয়, সমগ্র জাতির জন্য অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে। ঘটনা সংক্রান্ত বিবরণ মাহবুবুল হাসান মাসুম ছিলেন এক সাহসী ও দেশপ্রেমিক যুবক, যিনি দেশকে ভালোবেসে জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশ নেন। ফেনী জেলার সোনাগাজী উপজেলার চরচান্দিয়া গ্রামে থাকাকালীন সময়ে তিনি নিয়মিত ফেনীর মহিপাল এলাকায় এসে চলমান আন্দোলনে যোগ দিতেন। তিনি বিশ্বাস করতেন যে ন্যায্যতার দাবী এবং শিক্ষা ক্ষেত্রের সকল বৈষম্য মুক্তির অধিকার আদায়ের জন্য সংগ্রাম করা প্রত্যেক নাগরিকের নৈতিক দায়িত্ব। কিন্তু ২০২৪ সালের ৪ আগস্ট ছিল তাঁর জীবনের শেষ দিন, যেদিন তাঁকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। সেদিন দুপুরে ফেনীর মহিপালে একটি মিছিলের সাথে বের হন মাসুম। আন্দোলন চলাকালীন পুলিশের সাথে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা মিছিলের উপর হামলা চালায়। মিছিলে বৃষ্টির মত গুলি চালানো হয়। ছাত্রলীগের ১৬ নং ওয়ার্ডের সভাপতি সাজ্জাদ হোসেন অন্তরের বন্দুক থেকে ছোঁড়া তিনটি গুলি এসে লাগে মাসুমের মাথায়। গুলির আঘাতে তিনি ঘটনাস্থলেই পড়ে যান এবং সেখানে তাঁর জীবনের অবসান ঘটে। মাসুমের বড় স্বপ্নগুলো থেমে যায়; থেমে যায় তাঁর সংগ্রামী জীবন। তিনি এক সাহসী যোদ্ধা হিসেবে চিরনিদ্রায় শায়িত হন, যিনি নিজের স্বপ্ন ও পরিবারের ভবিষ্যৎ গড়ার চেষ্টার পাশাপাশি দেশের জন্য লড়াই করেছেন। আঘাতের পরেই তাঁকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তিনদিন ধরে তাঁকে বাঁচানোর সব চেষ্টা করা হলেও ৭ আগস্ট ২০২৪, বিকাল ৫টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মাসুম শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই পরিবার, আত্মীয়স্বজন এবং এলাকাবাসীর মধ্যে নেমে আসে শোকের ছায়া। একজন মেধাবী, সম্ভাবনাময় যুবককে এভাবে হারানোতে সবাই ভেঙে পড়ে। মাসুমের মৃত্যুর পর ৭ আগস্ট রাতেই তাঁর মরদেহ চট্টগ্রাম থেকে অ্যাম্বুলেন্সে করে গ্রামের বাড়ি সোনাগাজীর চরচান্দিয়া গ্রামে পৌঁছানো হয়। সে রাতে পুরো গ্রাম জুড়ে একটি হৃদয়বিদারক দৃশ্যের সৃষ্টি হয়। আত্মীয়স্বজন ও প্রতিবেশীরা কাঁদতে কাঁদতে শোকাহত হৃদয়ে মাসুমকে শেষ বিদায় জানান। পরদিন, ৮ আগস্ট সকাল ৯ টায় সোনাগাজী মোহাম্মদ ছাবের সরকারি পাইলট হাইস্কুল মাঠে তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় হাজারো মানুষ অংশ নেয়, যারা এই তরুণ শহীদের জন্য শোক প্রকাশ করে। পরে চরচান্দিয়া ছোবহানিয়া মসজিদের সামনে দ্বিতীয় জানাজা শেষে গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে তাকে চিরশায়িত করা হয়। মাহবুবুল হাসান মাসুমের আত্মত্যাগ শুধু তাঁর পরিবারের জন্য নয়, পুরো জাতির জন্য এক বিশাল ক্ষতি। তাঁর মতো দেশপ্রেমিক যুবকের মৃত্যুতে গোটা এলাকাবাসী শোকাহত এবং তার স্মৃতি চিরকাল বেঁচে থাকবে মানুষের হৃদয়ে। মামলা সংক্রান্ত তথ্য ফেনীর মহিপালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের গুলিতে মো: মাহবুবুল হাসান (মাসুম) হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। গণবিক্ষোভের মুখে দেশত্যাগী স্বৈরাচার খুনী শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এবং সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ মোট ১৬২ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা ৪০০-৫০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এই মামলাটি ফেনী মডেল থানায় দায়ের করেন নিহত শিক্ষার্থী মাহবুবুল হাসান মাসুমের ভাই মোহাম্মদ মাহমুদুল হাসান। কেমন আছে তার পরিবার শহীদ মাসুমের পরিবার চরম অস্বচ্ছলতায় দিন কাটাচ্ছে। বাবাহীন এই পরিবারের বিরাট দায়িত্ব কাঁধে ছিল মাসুমের। টিউশনি করে নিজের পড়াশোনা চালানোর পাশাপাশি পরিবারকেও সহায়তা করত সে। পরিবারের অন্যান্য ভাইয়েরাও চাকরি ও টিউশনি করে কোনোমতে জীবনযাপন করছে। মাসুমের মায়ের জন্য সন্তান হারানোর শোক সহ্য করা কঠিন তার আশা ভরসার প্রতীক, শিক্ষিত, সম্ভাবনাময় তরুণ সন্তানকে হারিয়ে তিনি প্রায় পাগলপ্রায়। শহীদ সম্পর্কে নিকটাত্মীয় ও বন্ধুর বক্তব্য/অনুভূতি শহীদ মাসুম সম্পর্কে তার বড় ভাই মাহফুজুল হাসান বলেন-মাসুম একজন উদ্যোক্তা ছিলো। পড়াশোনার পাশাপাশি পরিবারের হাল ধরার জন্য ফেনীতে আসেন ব্যবসা করতে। খুব পরহেযগার ও বিনয়ী ছিল। চট্টগ্রাম কলেজে মাস্টার্স অধ্যয়নরত ছিল ও। চার ভাই তিন বোনের মধ্যে চতুর্থ। গত রোববার (৪ আগস্ট) সকাল থেকে ফেনীতে বৈষম্যবিরোধী কোটা আন্দোলনের ছাত্র-জনতার মিছিলে জাতীয় পতাকা বুকে জড়িয়ে নিয়েছিল মাসুম। দুপুর ১ টার দিকে সন্ত্রাসী ছাত্র ও যুব লীগ কর্মীদের এলোপাতাড়ি গুলিতে মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে আমার ভাই। পরে লোকজন তাকে উদ্ধার করে প্রথমে ফেনী জেনারেল হাসাতালে ভর্তি করেন। সেখানে থেকে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। পরিবারের অর্থনৈতিক অবস্থার বিবরণ শহীদ মো: মাহবুবুল হাসানের পরিবার বর্তমানে চরম অর্থকষ্টের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। বাবা হারানোর পর, মাহবুবুল হাসানের ওপরেই ছিল পরিবারের ভার। চার ভাই ও তিন বোনের এই বড় পরিবারের জন্য তিনি নিজের পড়াশোনার পাশাপাশি টিউশনি করে খরচ চালাতেন। তার অনুপস্থিতিতে, বাকি ভাইদের ১জন চাকরি ও অন্যরা কোনোমতে টিউশনি করে নিজেদের পড়াশোনা এবং পরিবারের খরচ বহন করছেন, কিন্তু তা যথেষ্ট নয়। মাহবুবুল হাসানের মায়ের অবস্থা সবচেয়ে মর্মান্তিক। ছেলেকে হারিয়ে তিনি শোকে পাগলপ্রায়। তাঁর মা প্রতিটি মুহূর্তে সন্তান হারানোর বেদনায় ভেঙে পড়ছেন, আর পরিবার অর্থনৈতিক সংকটে জর্জরিত। এই পরিবারের আর্থিক দুর্দশা হৃদয়বিদারক; যা সমাজের সহমর্মিতা ও সহায়তার জন্য অব্যাক্ত আকুল আবেদন জানায়। প্রস্তাবনাসমূহ শহীদ পরিবারটির সহযোগিতা প্রয়োজন। শহীদ মো: মাহবুবুল হাসান যিনি দেশের জন্য সর্বস্ব দিয়ে আত্মত্যাগ করেছেন। তাঁর পরিবারটি বর্তমানে একটি কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন। শহীদ পরিবারের সদস্যদের পুনর্বাসন এবং তাঁদের জীবনমান উন্নয়নের জন্য নিম্নলিখিত প্রস্তাবনা: প্রস্তাবনা-১: শহীদ পরিবারের বর্তমান বাসস্থান অস্বাস্থ্যকর ও অদৃশ্য। তাদের নিরাপদ ও সুস্থ পরিবেশে বসবাসের জন্য একটি উপযুক্ত বাসস্থানের ব্যবস্থা করা অত্যন্ত জরুরি। একটি টেকসই ও সুরক্ষিত আবাসন নিশ্চিত করলে পরিবারটি মানসিকভাবে শান্তিতে থাকবে এবং জীবনযাপন করতে পারবে। প্রস্তাবনা-২: ভাইদের জন্য কোনো ব্যবসা প্রতিষ্ঠান তৈরি করলে উপকার হবে। শহীদ মো: মাহবুবুল হাসানের ভাইদের জন্য একটি ছোট ব্যবসা প্রতিষ্ঠান স্থাপন করা গেলে তাদের অর্থনৈতিক স্বনির্ভরতা প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হবে। স্থানীয় বাজারের চাহিদা ও সুযোগ অনুসারে ছোট ব্যবসার মাধ্যমে তারা নিজেদের জীবিকা নির্বাহ করতে পারবে এবং পরিবারটির অভাবের অবসান ঘটাতে সক্ষম হবে। প্রস্তাবনা-৩: ভাইদের চাকরির ব্যবস্থা করা। শহীদ পরিবারের ভাইদের কর্মসংস্থানের জন্য উপযুক্ত চাকরির ব্যবস্থা করা গেলে পরিবারটির আর্থিক সংকট অনেকটাই কমবে। সরকারী ও বেসরকারী খাতে তাঁদের জন্য চাকরি তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হলে তারা নিজেদের ও পরিবারের জন্য একটি স্থিতিশীল জীবন গড়তে সক্ষম হবে। উপরিউক্ত, প্রস্তাবনাগুলি বাস্তবায়ন হলে শহিদ মো: মাহবুবুল হাসানের পরিবারটি আবারও স্বাভাবিক জীবনযাত্রা শুরু করতে পারবেন। তাঁদের পাশে দাঁড়িয়ে সহযোগিতা করা নৈতিক দায়িত্ব। এক নজরে শহীদ পরিচিতি নাম : মো: মাহবুবুল হাসান জন্ম তারিখ ও বয়স : ১৫ মার্চ ১৯৯৯ (বয়স: ২৫ বছর) নিজ জেলা : ফেনী পেশা : প্রাইভেট টিউশন পিতা : মো: নোমান হোসেন (মৃত, ২৭ মে ২০২৩) মাতা : ফেরদৌস আরা বেগম (গৃহিণী, বয়স: ৫৫ বছর) স্থায়ী ঠিকানা : গ্রাম: চরচান্দিয়া, ইউনিয়ন: চরচান্দিয়া, থানা/উপজেলা: সোনাগাজী, জেলা: ফেনী বর্তমান ঠিকানা : এলাকা: মুরাদপুর, থানা: পাঁচলাইশ, জেলা: চট্টগ্রাম পরিবারের বিবরণ : ভাই ১: মাহমুদুল হাসান (বয়স: ২৮), চাকরি: কোহিনুর ফুডস অ্যান্ড কনজুমার প্রোডাক্টস, শিক্ষাগত যোগ্যতা: এলএলবি : ভাই ২: মাহফুজুল হাসান (বয়স: ২৬), শিক্ষাগত যোগ্যতা: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স : ভাই ৩: (বয়স: ২০), শিক্ষার্থী, একাদশ শ্রেণি, বায়তুশ শরফ মাদ্রাসা : বোন ১: আছিয়া খাতুন (বয়স: ৫০), গৃহিণী : বোন ২: রাবেয়া বসরী (বয়স: ৩০) : বোন ৩: সালেহা খাতুন (বয়স: ৩২), গৃহিণী পরিবারের আর্থিক অবস্থা : অসচ্ছল ঘটনা সংক্রান্ত : আহত হওয়ার সময়কাল : ৪ আগস্ট ২০২৪, রবিবার, দুপুর ২টা ১০ মিনিট আক্রমণকারী : সাজ্জাদ হোসেন অন্তর, ছাত্রলীগ নেতা, ১৬ নং ওয়ার্ড শহীদ হওয়ার তারিখ ও সময় : ০৭ আগস্ট ২০২৪, সন্ধ্যা ৬টা শাহাদাতবরণের স্থান : মহিপাল, ফেনী দাফনের স্থান : সোনাগাজী, ফেনী কবরের জিপিএস লোকেশন : ২২ক্ক৫০২৩.০"ঘ ৯১ক্ক২২৪৩.৯"ঊ শহীদের কবরের বর্তমান অবস্থান : পারিবারিক কবরস্থান, চরচান্দিয়া, সোনাগাজী, ফেনী