জন্ম তারিখ: ২০ জানুয়ারি, ২০০০
শহীদ হওয়ার তারিখ: ২১ জুলাই, ২০২৪
বিভাগ: চট্টগ্রাম
পেশা : ছাত্রী, শাহাদাতের স্থান : ঢাকার নিউমার্কেট এলাকায়, ঢাকা সিটি কলেজের কাছে
শহীদ নাছিমা আক্তার ২০০০ সালের ২০ জানুয়ারি নোয়াখালি সদরের মাইজদীতে জন্মগ্রহণ করেন। চব্বিশ বছর বয়সী নাছিমা সুজাপুর মহিলা দাখিল মাদরাসায় দশম শ্রেণির পর্যন্ত পড়েন, পরবর্তীতে বাসায় ইলমে দীন গ্রহণ করতেন। পিতা হাজী ইউসুফ আলী, মাতা ছালেহা বেগম। শহীদের বাবা বেঁচে নেই। শহীদের অর্থনৈতিক অবস্থা নাছিমা আক্তারের বাবা বেঁচে নেই। তাদের নিজস্ব বাড়িভাড়া দিয়ে তাদের সংসার চলত। বর্তমানে এটাই তাদের আয়ের প্রধান উৎস। এছাড়া নাছিমা তার ভাই বোনদের মধ্যে সবচেয়ে ছোট ছিলেন। আহ্লাদী ছোট বোন ছিলেন সবার খুব আদরের। তার ৬ ভাইবোনের মধ্যে বোনেরা সবাই বিবাহিত, বড় ভাই ও ছোট ভাই বর্তমানে স্পেনে আছেন, আর মেজ ভাই আপাতত বেকার। আদরের মেয়েকে হারিয়ে মা শোকে মুহ্যমান। শহীদী মৃত্যুর প্রেক্ষাপট নাছিমা আক্তার নিউমার্কেট এলাকায় তার ভাইয়ের বাসায় বেড়াতে গিয়েছিল। ১৯ জুলাই বিকালবেলা সে তার দুই ভাতিজাকে নিয়ে ছাদে উঠে। র্যাব হেলিকপ্টার থেকে গুলি ছুড়েছিল সেদিন। একটি গুলি এসে প্রথমে নাছিমার বড় ভাতিজাকে আহত করে। কি হল বুঝে উঠার আগেই আরেকটি গুলি এসে নাছিমার মাথায় বিদ্ধ হয়। পরে আহত ভাতিজা কোনরকমে বাসায় ফিরে অজ্ঞান হয়ে পড়ে। বাসার মানুষ ছাদে গিয়ে দেখেন নাছিমা গুলিবিদ্ধ হয়ে পড়ে আছেন। তৎক্ষনাৎ তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু অপারেশন করে বিদ্ধ গুলি বের করা সম্ভব হয়না দুই দিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে অবশেষে ২১ তারিখ পপুলার হাসপাতালের আইসিউতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। শহীদ নাছিমার আহত ভাতিজাও মৃত্যুবরণ করেন। জানাযা ও দাফন শহীদকে তার নিজ গ্রামে দাফন করা হয়। আল্লাহ তাকে জান্নাত নসীব করুন। পরিবার থেকে নাছিমা ও তার ভাতিজার মৃত্যুর সঠিক বিচারের দাবি উঠেছে। এক নজরে শহীদের ব্যক্তিগত তথ্যাবলি নাম : নাছিমা আক্তার জন্ম : ২০/০১/২০০০ পেশা : ছাত্রী বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা : গ্রাম: মাইজদী পৌরসভা, থানা: সদর, জেলা: নোয়াখালী পিতার : হাজী ইউসুফ আলী (মৃত) মাতার নাম : ছালেহা বেগম ঘটনার স্থান : ঢাকার নিউমার্কেট এলাকায়, ঢাকা সিটি কলেজের কাছে আক্রমনকারী : র্যাব গুলিবিদ্ধ হওয়ার তারিখ ও সময় : তারিখ : ১৯/০৭/২০২৪ দুপুর ৩ টা মৃত্যুর তারিখ ও সময়: তারিখ : ২১/০৭/২০২৪ কবরস্থান : নিজ গ্রাম