Image of মো: মামুন হোসেন

নাম: মো: মামুন হোসেন

জন্ম তারিখ: ৫ ডিসেম্বর, ১৯৯৬

শহীদ হওয়ার তারিখ: ২০ জুলাই, ২০২৪

বিভাগ: চট্টগ্রাম

ব্যক্তিগত তথ্য:

পেশা : গাড়িচালক, শাহাদাতের স্থান :মহাখালিতে পুলিশের গুলিতে

শহীদের জীবনী

মো: মামুন হোসেন, জন্ম তারিখ ০৫-১২-১৯৯৬, একজন পেশাদার গাড়িচালক। তার পিতা মো: আব্দুল মতিন এবং মাতা ফাতেমা খাতুন। মামুনের স্থায়ী ঠিকানা নোয়াখালী জেলার সদর থানার জালিয়াল গ্রামে, যেখানে তার ইউনিয়ন বিনোদপুর। বর্তমানে তিনি হাবিবুল্লাহ বেপারীর বাড়ি মহল্লায় বসবাস করছেন, যা একই থানার জালিয়াল এলাকায় অবস্থিত। মামুনের জীবনযাত্রা তার পরিবার ও পেশার মধ্য দিয়ে গড়ে উঠেছে এবং তিনি এলাকার মানুষদের জন্য একটি পরিচিত মুখ। ঘটনার বিবরণ ১৯ জুলাই শহীদ হন মামুন : মহাখালী ফ্লাইওভারের নিচে আজাদপাড়া এলাকায় আসরের নামাজ পড়ে মসজিদ থেকে বের হন। তখন মহাখালি এলাকায় রণক্ষেত্র। একটি অসম যুদ্ধ। একপক্ষে নিরস্ত্র ছাত্র জনতা। অন্যপক্ষে সশস্ত্র পুলিশ,আওয়ামী যুবলীগ,ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা। ছাত্রদের আন্দোলন শুরু হয় জুলাইয়ের প্রথম দিকে। কোটা বিরোধী আন্দোলন। যৌক্তিক দাবীকে উপেক্ষা করে স্বৈরশাসক হাসিনা। ১৪/১৫ জুলাইয়ে ভার্সিটিতে হামলা করে ছাত্রলীগ। রাজু ভাস্কর্যে, টিএসসিতে বেধড়ক মারপিঠ করে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা। ছাত্রীদের হেনস্তা করে নির্মমভাবে। প্রেক্ষাপট ১৯ জুলাই শিক্ষার্থীরা ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি দেয়। শিক্ষার্থীদের ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ বা সর্বাত্মক অবরোধের কর্মসূচি ঘিরে রাজধানী ঢাকায় ব্যাপক সংঘর্ষ, হামলা, ভাঙচুর, গুলি, অগ্নিসংযোগ ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। সমগ্র ঢাকা শহর আওয়ামী তাণ্ডবে তটস্থ হয়ে পড়ে। দেশের বিভিন্ন জেলাতেও ব্যাপক বিক্ষোভ, সংঘর্ষ ও সহিংসতা চলতে থাকে। পুলিশ ও বিজিবির নৃশংস গুলিতে ১১৯ জন শাহদাতবরণ করেন। এদিন আন্দোলন গণআন্দোলনে রূপ নেয়। রাস্তায় ছাত্রদের চাইতেও বেশি ছিল নানান শ্রেণি পেশার মানুষ। বলাবাহুল্য সারাদেশের চেয়ে রাজধানী ঢাকা ছিল বেশি অগ্নিগর্ভ। ঢাকার যাত্রাবাড়ী, উত্তরা, রামপুরা-বাড্ডা, সায়েন্সল্যাব, মিরপুর ১ ও ১০, মহাখালী, মোহাম্মদপুর, সাভার ছিল আন্দোলনের মূল হটস্পট কেন্দ্রবিন্দু। রাতে সারা দেশে কারফিউ জারি, সেনাবাহিনী মোতায়েন। সকল ইন্টারনেট সেবা সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়। ফলে তথ্য অন্ধকারে নিমজ্জিত হয় সারাদেশ। ১৯ জুলাইয়েই শহীদ হন মো: মামুন হোসেন মহাখালীতে তখন পুলিশ গুলি ছুড়ছে আন্দোলনকারীদের দিকে। মামুন আসরের নামাজ আদায় করে মসজিদ থেকে বের হন। একটি বুলেট তাকে বিদ্ধ করে। স্থানীয় জনতা তাকে ধরাধরি করে দ্রুত হাসপাতালে নেন। পরদিন রাত ৩ টায় তিনি ইন্তেকাল করেন। শহীদ মো: মামুন হোসেনকে গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। জানাজা শেষে নিজ গ্রামের কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। পারিবারিক অবস্থা শহীদ মামুনের পরিবার একটি মধ্যবিত্ত পরিবার। তিনি নিজে ড্রাইভিং করতেন। তার বাবা ও দুই ভাইও চালক। তাদের আয় দিয়েই চলত সংসার। তার ছোট ভাই মুদি দোকানদার। তারা যৌথ ফ্যামিলিতে আছেন। শহীদ মামুনের ছোট একটি পুত্র সন্তান আছে। শিশু সন্তান নিয়ে তার স্ত্রী শ্বশুরের বাসাতেই আছেন। আত্মীয়দের অনুভূতি শহীদের বড় মামার মতে মামুন একজন ভালো মানুষ ছিলেন। কখনও কারও সাথে কোন রকম ঝগড়াঝাঁটি করতেন না। কোন বিষয়ে কথা কাটাকাটি হলে তিনি শান্তভাবে তা সামলে নিতেন। মামুনের সাথে কেউ সহজে কোন বিষয় নিয়ে বাজতে যেত না। কারণ মামুন কথা বলতে নম্র স্বরে। মামুন ছিল ভদ্র ছেলে। ধার্মীক ছিল। ইসলামের হুকুম আহকাম মেনে চলত। রাজনৈতিক কোন দ্বন্দ্ব কারও সাথে ছিল না। পারিবারিক দায়দায়িত্ব পালন করত। তার হত্যার বিচার চাই। জুলাই বিপ্লবের শহীদ মো: মামুন হোসেন নাম : শহীদ মো: মামুন হোসেন জন্ম : ০৫-১২-১৯৯৬ সাল পিতা : মো: আব্দুল মতিন মাতা : ফাতেমা খাতুন বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা গ্রাম: জালিয়াল, ইউনিয়ন: বিনোদপুর থানা: সদর, জেলা: নোয়াখালী সদস্য : যৌথ ফ্যামিলি পরিবারের মোট সদস্য : স্ত্রী ও এক ছেলে আছে বয়স : ৪ বছর আহত হওয়ার তারিখ, স্থান ও আঘাতকারী : মহাখালিতে পুলিশের গুলিতে আহত ১৯ জুলাই নিহত হওয়ার স্থান ও সময় : হাসপাতালে পরদিন রাত ৩ টায় মৃত্যু কবর : নিজ এলাকায় প্রস্তাবনা শহীদের স্ত্রীকে একটি চাকুরির ব্যবস্থা করলে ভাল হয়। ২. তার শিশুপুত্রের ভরণপোষণের জন্য মাসিক ভাতা দেওয়া যেতে পারে। ৩. তাকে পড়াশোনা করার মতো ব্যবসার পদক্ষেপ নিয়ে রাখা। ৪. এককালীন অনুদান দেওয়া।

শহীদের তথ্য সম্বলিত ছবি

Image of মো: মামুন হোসেন
Image of মো: মামুন হোসেন
Image of মো: মামুন হোসেন

একই বিভাগ অন্যান্য শহীদদের তথ্য

মো: কবিরুল ইসলাম

মো: শাহাদাত হোসেন শাওন

মাজহারুল ইসলাম

মো: নিজাম উদ্দিন ইমন

মো: হোসাইন

মো: জহিরুল ইসলাম

মো: আরাফাত হোসেন আকাশ

 মোহাম্মদ ওয়াসিম

শাব্বির হোসেন

মো: রাব্বি আলম

মো: আমিনুল ইসলাম সাব্বির

ইউনুছ আলী শাওন

শেয়ার করুন Facebook Logo Twitter Logo WhatsApp Logo