Image of মোঃ সিফাত হোসেন

নাম: মোঃ সিফাত হোসেন

জন্ম তারিখ: ২০ মে, ১৯৯৯

শহীদ হওয়ার তারিখ: ২০ জুলাই, ২০২৪

বিভাগ: ঢাকা

ব্যক্তিগত তথ্য:

পেশা: শ্রমিক শাহাদাতের স্থান : মিরপুর-১০ নং গোল চত্বর, মেট্রোরেলের ২৫২ নম্বর পিলারের পাশে

শহীদের জীবনী

ইতালির স্বপ্ন ছেড়ে শহীদের গর্ব নিয়ে চলে গেলেন চিরদিনের প্রবাসে -শহীদ মোহাম্মদ সিফাত হোসেন সিফাত হোসেন। একটি নাম, একটি গল্প, একটি অসমাপ্ত দেশ। মাদারীপুর জেলার কালকিনি উপজেলার রমজানপুর ইউনিয়নের ছোট্ট এক গ্রাম। সেই কাঁচা পথের ধারে জন্ম নেওয়া এক ছেলেটি বড় হচ্ছিল স্বপ্ন বুকে বেঁধে। বাবা মোহাম্মদ কামাল হাওলাদার ছিলেন স্যানিটারি মিস্ত্রি হাতে হাতুড়ি, মাথায় দায়ভার। মা পারভিন বেগম গৃহিণী দিনভর সংসারের চাকা ঘোরান যেভাবে নদী বইতে জানে শোক সহ্য করে। তিন ভাইবোনের সংসারে সিফাত ছিলেন সবচেয়ে বড়। ঠিক বড় ভাইয়ের মতোই ছায়া হয়ে থাকতেন দুই ভাইবোনের উপরে। ভাই রিফাত তখন এইচএসসি পরীক্ষার্থী, বোন জান্নাত ক্লাস নাইনে। সিফাতের জীবন ছিল যেন সংসারের একটা নীরব প্রতিশ্রুতি যে ছেলেটা পড়েছিল বাংলা কলেজে, পেরিয়েছে ইন্টারমিডিয়েট, কিন্তু গরিবের ঘরে বইয়ের পাতায় জীবন থেমে থাকে। বিশ্ববিদ্যালয়ের দরজায় পৌঁছাতে পারেননি, কিন্তু মনের জানালা কখনো বন্ধ হয়নি। যখন ক্লাসরুম দেওয়া যায় না, তখন মানুষ বেছে নেয় পৃথিবীকে। তাই তিন বছর সৌদি আরবে কাটিয়ে ফিরে এসেছিলেন দেশে কোনো অপরাধে নয়, একমাত্র অপরাধ ছিল তাঁর স্বপ্ন দেখা। সেদিন তাঁর পকেটে ছিল ইতালির ভিসা, হাতে ছিল ২৫ জুলাইয়ের টিকিট। ইউরোপের এক নতুন জীবনের পথে পা রাখার কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই, ২০ জুলাই মাত্র পাঁচদিন আগে একটি বুলেট থামিয়ে দেয় সব। মাথায় গুলি লাগে মিরপুরের উত্তপ্ত ছায়ায়। দুনিয়ার সঙ্গে তাঁর সমস্ত সম্পর্ক এক ঝলকে ছিন্ন হয়ে যায়। ইতালির স্বপ্নের কবর হয় আজিমপুরে। তার ঠিকানা ছিল ১০২/১, সেনপাড়া, মিরপুর একটি ভাড়াবাড়ি, যেখানে দেয়ালে লেগে থাকে শ্রমিকের ঘাম, ছাদে জমে থাকে সংসারের হিসেব। সেই বাড়িতে এখন শুধু অনুপস্থিতি। বাবার কণ্ঠে কান্না জমে থাকে, যেন প্রতিদিন একটা শোকসভা হয় ভোরের আজানে। মা নিঃশব্দে চেয়ে থাকেন ছেলের খালি বিছানায় তাঁর কান্না শোনে না রাষ্ট্র, শোনে না গণমাধ্যম, কিন্তু দেয়ালের ফাঁকে ফাঁকে সেই হাহাকার সুর হয়ে বাজে। ভাই রিফাত কথা বলে না আর, শুধু তাকিয়ে থাকে শূন্য দেয়ালে যেখানে হয়তো সে ভাবতো ভাই একদিন ফিরে আসবে ইটালির কোনো স্টেশন থেকে ফোন করে। বোন জান্নাতের মুখেও একা বাতাস যেন তার ভাই চলে যাওয়ার পর শব্দ আর ফিরতে চায় না। সিফাত ছিলেন না কোনো নেতা, না কোনো রাজনীতির পুতুল, না কোনো মঞ্চে চড়া নায়ক। তিনি ছিলেন একেবারে সাধারণ, একেবারে প্রকৃত রক্তমাংসের, ক্লান্ত হাতের, রুটি-চিবানো দিনের এক যুবক। তাঁর অপরাধ ছিল স্বপ্ন দেখা। তাঁর অপরাধ ছিল এক অচল রাষ্ট্রে সত্য ধারণ করা। জুলাই বিপ্লব তাঁকে শহীদ বানায়নি তাঁকে শহীদ বানিয়েছে রাষ্ট্রের সেই চোখ, যেটি মানুষকে দেখে না, শুধু ঝাঁকুনি দিয়ে সরিয়ে দেয়। কিন্তু ইতিহাস তাঁকে ভুলবে না। কারণ যারা স্বপ্ন দেখে, এবং স্বপ্নের দাম দেয় রক্তে তাদের নাম কখনো মুছে যায় না মাটির বুক থেকে। আন্দোলনের প্রেক্ষাপট বাংলাদেশ ২০২৪ একটি রক্তাক্ত ক্যালেন্ডার, যার প্রতিটি পাতায় লেখা ছাত্রের কান্না, মায়ের প্রতীক্ষা, আর রাষ্ট্রের নীরব নিষ্ঠুরতা। এই বছরটিতে যেন রক্ত আর পতাকা একে অপরের ছায়া হয়ে ওঠে একটিকে স্পর্শ করলেই অন্যটি ভিজে যায়। কোটা সংস্কারের দাবি, গণতন্ত্রের পুনঃপ্রতিষ্ঠা, রাষ্ট্র সংস্কারের আওয়াজ সব মিলিয়ে ছাত্রজনতা নামিয়ে আনে এক বিদ্রোহ, যার দিকে তাকিয়ে থাকা মানে অতীতকে প্রশ্ন করা, এবং ভবিষ্যৎকে উলটে লেখা। সেই বিদ্রোহের মিছিল শুধু ব্যানার বা স্লোগান নয় তা ছিল কবিতা, ভিডিও ফুটেজ, রক্তে লেখা প্রতিবাদ। কেউ রাস্তায় দাঁড়িয়ে স্লোগান দেয়, কেউ মোবাইলে ভিডিও করে, কেউ ভাঙা মাথা নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয় রাস্তার ধারে, কেউ ডাল-ভাত এনে তুলে দেয় ক্ষুধার্তদের হাতে। এই নতুন প্রজন্ম জানে, রাষ্ট্রকে রক্ত দিয়ে নয়—ভিডিও দিয়ে, তথ্য দিয়ে, জনমত দিয়ে কাঁপানো যায়। কিন্তু যে রাষ্ট্র ভয় পায় সত্য, সেই রাষ্ট্র ভয় পায় মোবাইলের ক্যামেরা। সেই ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে গর্জে ওঠে বুলেট। ২০ জুলাই, দুপুর ১টা। মিরপুর ১০। মেট্রোরেল ২৫২ নম্বর পিলারের পাশে চারতলা নির্মাণাধীন এক ভবনে দাঁড়িয়ে ছিলেন সিফাত হোসেন ক্যামেরা হাতে, চোখে দৃঢ়তা। তার সঙ্গে ছিলেন বাবা কামাল হাওলাদার এবং বন্ধু সিয়াম। নিচে তখন উত্তাল ছাত্র মিছিল, শ্লোগানে শ্লোগানে ফেটে পড়ছে রাস্তাঘাট “রাষ্ট্রের সংস্কার চাই!”, “কোটা সংস্কার চাই!” আর তার প্রতিউত্তরে ছোঁড়া হচ্ছে গুলি, টিয়ার শেল, লাঠিচার্জ। পুলিশ আর হেলমেট বাহিনী একসাথে ঝাঁপিয়ে পড়ছে নিরস্ত্র শিক্ষার্থীদের ওপর। সেই নির্মমতার প্রামাণ্যচিত্র হয়ে উঠছিল সিফাতের মোবাইল ক্যামেরা। নিচে যা ঘটছে, সেটি তো সে নিজে ঘটায়নি সে তো শুধু দেখাচ্ছিল। কিন্তু এই রাষ্ট্র জানে, যারা সত্য দেখায়, তারাই সবচেয়ে ভয়ানক। হঠাৎ একটি গুলির শব্দ ছুটে আসে বাতাস চিরে। তারপর আরেকটি। একটি গুলি লক্ষ্য করে ক্যামেরা ঠিক সেই লেন্সের দিকে যেখানে গঠিত হচ্ছিল ইতিহাস। সেকেন্ডের ভগ্নাংশে এক বুলেট ভেদ করে সিফাতের মাথা, ডান পাশ দিয়ে ঢুকে, বাম পাশ দিয়ে বেরিয়ে যায়। রক্ত ছিটকে পড়ে পিলারের গায়ে, ক্যামেরার স্ক্রিনে, বাবার জামায়। আরেকটি বুলেট সিয়ামের চোখ ফুঁড়ে ঢুকে পড়ে মস্তিষ্কে প্রতিটি শব্দ, প্রতিটি স্বপ্ন নিমিষে ঝলসে যায়। সিফাতের শেষ শব্দ “আব্বু...”। এরপর সে ঝরে পড়ে বাবার কাঁধে, যেমন গাছ থেকে ঝরে পড়ে অপরিপক্ব ফল, যা এখনও পাকেনি, কিন্তু তবু ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে সময়ের আগেই। সেই গুলিটি শুধু রক্ত নিয়ে যায় না নিয়ে যায় একটি সম্ভাবনা, একটি পরিবারের স্বপ্ন, এবং একটি সমাজের মৌন বিবেক। বাবার কাঁধে তখন শুধু একটি মৃত শরীর নয়, একটি ধ্বংসপ্রাপ্ত ভবিষ্যৎ। আর রাষ্ট্র? রাষ্ট্র দাঁড়িয়ে থাকে নীরব, যেন সে কিছুই দেখেনি। কিন্তু আমরা যারা চোখে দেখি, হৃদয়ে শুনি- উই রিমিম্বার। এই গুলির শব্দ এখনও বাতাসে বাজে, ভিডিও ফুটেজে সঞ্চিত, কবিতার লাইনে জমে থাকে। এবং ইতিহাস একদিন এই বুলেটের দাগ ধরে বিচার করবে এক নিষ্ঠুর সময়ের। সেদিন, মিরপুরের রাস্তায়, কেবল একজন যুবক মারা যায়নি মরে গিয়েছিল রাষ্ট্রের সাহস, এবং জন্ম নিয়েছিল এক নীরব কিন্তু ধ্বনিময় বিপ্লব। শহীদ হওয়ার মুহূর্ত ও পোস্টমর্টেমের যন্ত্রণাময় যুদ্ধ সেই দিনটায়, ২০ জুলাই ২০২৪, আকাশ নীল ছিলো না ছিল ধূসর, ভারী আর রক্তের গন্ধে ভেজা। ঠিক দুপুর ১টা, মিরপুর ১০ নম্বরের ব্যস্ত রাজপথ থেকে একটু দূরে, ২৫২ নম্বর মেট্রোরেল পিলারের পাশে এক নির্মাণাধীন ভবনের চতুর্থ তলায় দাঁড়িয়ে ছিলো সিফাত এক হাতে মোবাইল, আরেক হাতে সত্যের দায়। তার পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন তার বাবা, মোহাম্মদ কামাল হাওলাদার একজন স্যানিটারি মিস্ত্রি, কিন্তু সেই মুহূর্তে একটিমাত্র পরিচয়: তিনি একজন বাবা। তিনি প্রত্যক্ষ করেছেন, বুকে হাত দিয়ে অনুভব করেছেন একটি বুলেট কীভাবে রাষ্ট্রের হিংসা হয়ে তার ছেলের মাথা চিরে প্রবেশ করে, কীভাবে মগজ ছিটকে পড়ে কংক্রিটের মেঝেতে, কীভাবে একটি যুবক, যার ভবিষ্যৎ ইউরোপমুখী, যাত্রা শুরু করে মৃত্যুর দিকে। সিফাতের শেষ শব্দ ছিলো “আব্বু।” সেই একটি শব্দ, যেন ছুঁড়ে দেওয়া এক ছুরির মত, কামাল হাওলাদারের বুক চিরে দেয় চিরদিনের জন্য। ছেলের নিথর শরীর কোলে তুলে তিনি ছুটে যান আল হেলাল হাসপাতাল জবাব: “নিচ্ছি না, জায়গা নেই, নিয়ম নেই।” যেন একজন শহীদ নয়, একটা ঝামেলা রক্তাক্ত, অস্বস্তিকর, অপাংক্তেয়। হাসপাতালে সেদিন চিকিৎসা মিলেনি কি নৈতিকতা, কি মানবতা, কিছুই ছিল না। সেদিনই মৃত্যু নিশ্চিত হয়। কিন্তু মৃত্যু মানেই তো শেষ নয় এরপর শুরু হয় এক নতুন যুদ্ধ, ভয়ঙ্কর, নিষ্ঠুর, অবমাননাকর। লাশ দেওয়ার আগে চাওয়া হলো পোস্টমর্টেম। কামাল হাওলাদার প্রতিবাদ করেন “আমি দেখেছি, ছেলের মাথায় গুলি লেগেছে। কেন আরও কেটে দেখতে হবে?” কিন্তু সরকারি নিয়ম বলছে “কাগজ না হলে লাশ নয়।” সামনে জড়ো হওয়া মানুষজন বলেন, “দুই দিন ধরে পড়ে আছি, কেউ লাশ দিচ্ছে না। আপনি পারবেন না।” অবশেষে অনেক তর্ক, কান্না, অনুরোধে লাশ নিয়ে বের হন। কিন্তু পথ থেমে যায় না পুলিশি বাধা আসে। কেউ বলে কাগজ ঠিক নেই, কেউ বলে অনুমতি নাই। হুমকি, গালাগালি, গা-ছাড়া ব্যবহার সবকিছু মিলে রাষ্ট্র যেন তার নিঃশেষিত সন্তানের মৃতদেহকেও পুরোপুরি ছিনিয়ে নিতে চায় বাবার কাছ থেকে। শেষ পর্যন্ত, এক দুঃস্বপ্নের মতো সেই যাত্রা, গাড়ি ভাড়া করে, রাতে কাঁধে লাশ নিয়ে রওনা হন মাদারীপুরের দিকে। রাত ১০টার দিকে, নিজের হাতে, নিজের গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে মাটি দেন তিনি ছেলেকে। এই রাষ্ট্র শুধু সিফাতকে হত্যা করেনি। সে কামাল হাওলাদারকেও প্রতিটি মুহূর্তে হত্যা করেছে—বারবার, কাগজের নামে, নিয়মের নামে, হুমকির নামে। তাকে একজন বাবার মৌলিক অধিকার থেকেও বঞ্চিত করা হয়েছে। এই পিতৃত্ব যেন একটি অপরাধ, এই শোক যেন রাষ্ট্রদ্রোহ। সিফাতের রক্ত একবার ঝরেছে, কিন্তু কামাল হাওলাদারের হৃদয় থেকে প্রতিটি দিন রক্তক্ষরণ হয়েছে, এখনো হয়। প্রতিটি দিনই তার চোখের সামনে ফিরে আসে সেই গুলি, সেই শব্দ “আব্বু...” আর তারপরে এক অনন্ত নীরবতা, যা না কোনো শব্দে ফোটে, না কোনো রাষ্ট্র বুঝতে পারে। এবং সেই নীরবতাই আজ গর্জে উঠছে এক বিপ্লবের মেঘে। যেই বুলেট রাষ্ট্র ছুড়েছিল সত্যের দিকে, তা একদিন রাষ্ট্রকেই করবে বিবস্ত্র। এক নজরে শহীদ পরিচিতি নাম : মোঃ সিফাত হোসেন জন্ম তারিখ ও স্থান : ২০ মে, ১৯৯৮ সাল; গ্রাম: চড়পালরদি, ইউনিয়ন: রমজানপুর, : উপজেলা: কালকিনী, জেলা: মাদারীপুর বয়স (শাহাদাতের সময়) : ২৫ বছর পিতার নাম ও পেশা : কামাল হাওলাদার (বয়স ৫১); পেশা: স্যানেটারি মিস্ত্রি মাতার নাম ও পেশা : পারভিন বেগম (বয়স ৪২); পেশা: গৃহিণী। : (পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, শহীদের মায়ের মানসিক অসুস্থতা রয়েছে) ভাইবোন : সিফাত ভাইবোনদের মধ্যে সবার বড় ছিলেন : ছোট ভাই: মোঃ রিফাত হোসেন (বয়স ১৮); বরিশাল গৌরীদি সরকারি কলেজ থেকে : এই বছর (২০২৪) এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের কথা। বড় ভাইয়ের মৃত্যুতে : তিনি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত : ছোট বোন: জান্নাত (বয়স ১৩); পূর্বে মিরপুরের মনিপুর স্কুলে অধ্যয়নরত থাকলেও, : সিফাতের শাহাদাতের পর থেকে গ্রামের বাড়িতে স্থানীয় একটি স্কুলে নবম শ্রেণীতে : পড়াশোনা করছে। স্থায়ী ঠিকানা : গ্রাম: চড়পালরদি, ইউনিয়ন: রমজানপুর, উপজেলা: কালকিনী, জেলা: মাদারীপুর বর্তমান ঠিকানা (ঘটনার সময়) : ১০২/১ সেনপাড়া, মিরপুর, ঢাকা। (এখানে তিনি পিতা ও এক ভাগ্নের সাথে থাকতেন) শিক্ষাগত যোগ্যতা : এইচএসসি পাশ (বাংলা কলেজ, ঢাকা)। : পরিবারের আর্থিক অনটনের কারণে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করতে পারেননি পেশা : প্রায় তিন বছর সৌদি আরবে কর্মরত ছিলেন, দেশে ফেরার পর ইতালি যাওয়ার প্রস্তুতি : নিচ্ছিলেন শাহাদাতের পূর্বে তিনি কোটা সংস্কার ও রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে : অংশগ্রহণ করেন এবং খাবার ও পানি বিতরণে নিয়োজিত ছিলেন। শাহাদাতের স্থান : মিরপুর-১০ নং গোল চত্বর, মেট্রোরেলের ২৫২ নম্বর পিলারের পাশে একটি নির্মাণাধীন : ভবনের চতুর্থ তলা শাহাদাতের তারিখ ও সময় : ২০ জুলাই, ২০২৪ (শনিবার), দুপুর আনুমানিক ১:০০-১:৩০ ঘটিকা আঘাতকারী : আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য (পুলিশ) ও ছাত্রলীগের সম্মিলিত গুলিবর্ষণ হাসপাতাল/প্রাথমিক চিকিৎসা (তৎপরবর্তী) : ঘটনার পর সিফাতের পিতা কামাল হাওলাদার বহু বাধা অতিক্রম করে তাকে : আল-হালাল হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে : মৃত ঘোষণা করেন। পরবর্তীতে তিনি পোস্টমর্টেম ছাড়াই শহীদের মরদেহ গ্রহণ করেন। দাফন : শাহাদাতের দিন (২০ জুলাই, ২০২৪), রাত আনুমানিক ১০টার দিকে মাদারীপুরের : কালকিনিতে নিজ গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে শহীদ মো: সিফাত হোসেনকে দাফন করা হয় প্রস্তাবনা দাবিগুলোও পরিষ্কার কোনো বিলাসিতা নয়, শুধু ন্যায্য অধিকার: ১. রিফাত ও জান্নাতের পূর্ণ শিক্ষাব্যয় বহন করা ২. পরিবারের জন্য একটি নির্ভরযোগ্য জীবিকার ব্যবস্থা, চাকরি হোক বা সরকারি সহায়তা। ৩. শহীদ জননী পারভিন বেগমের জন্য মানসিক স্বাস্থ্য চিকিৎসা, যেন একজন মা আবার মানুষ হয়ে ওঠেন, ছেলেকে না হোক, নিজেকে অন্তত চিনতে পারেন। মিডিয়ায় প্রকাশিত শহীদের নিউজ লিঙ্ক https://www.facebook.com/Msuddin.Official/videos/1162801358279294/ https://www.bssnews.net/bangla/stories-of-mass-upsurge/176059 https://www.protidinersangbad.com/todays-newspaper/campus/473853

শহীদের তথ্য সম্বলিত ছবি

Image of মোঃ সিফাত হোসেন
Image of মোঃ সিফাত হোসেন
Image of মোঃ সিফাত হোসেন
Image of মোঃ সিফাত হোসেন
Image of মোঃ সিফাত হোসেন
Image of মোঃ সিফাত হোসেন

একই বিভাগ অন্যান্য শহীদদের তথ্য

মো: রফিকুল ইসলাম চঞ্চল

মোঃ সুজন খাঁন

কোরমান শেখ

জাকারিয়া হাসান

 মো: তাজুল ইসলাম

মো: জুনায়েত হোসেন

কাজী মো: আব্দুর রহমান

রাইফা

মো: রুখতন মিয়া

মো: রাসেল মাহমুদ

মো: জাকির হোসেন

মো: মনিরুজ্জামান মোল্লা

শেয়ার করুন Facebook Logo Twitter Logo WhatsApp Logo