Image of মো: মায়া ইসলাম

নাম: মো: মায়া ইসলাম

জন্ম তারিখ: ১ জানুয়ারি, ১৯৮২

শহীদ হওয়ার তারিখ: ১৯ জুলাই, ২০২৪

বিভাগ: ঢাকা

ব্যক্তিগত তথ্য:

পেশা : গৃহীনি, শাহাদাতের স্থান : ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যু

শহীদের জীবনী

মায়া ইসলামের জীবনের দৃশ্যপট মায়া ইসলাম ছিলেন এক সাহসী, নিরলস ও মমতাময় জীবনের প্রতিচ্ছবি একজন মা, একজন দাদি এবং একজন নিবেদিতপ্রাণ গৃহিণী। তার জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত যেন গড়ে উঠেছিল পরিবারের ভালবাসা, দায়িত্ব আর নিঃস্বার্থ সেবার ওপর ভিত্তি করে। টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুর উপজেলার এক গ্রামে ছিল তার শৈশব, কৈশোর আর যৌবনের শেকড়। সেখানকার মাটির ঘ্রাণ, গ্রামের দুপুর, ধানক্ষেতের পাশে কিশোরী মায়ার ছোট ছোট স্বপ্ন আজও তার স্বজনদের মনে জীবন্ত। তবে সেই মায়া দীর্ঘদিন ধরে রাজধানী ঢাকার রামপুরা এলাকার মেরাদিয়া হাটের একটি সাততলা ভবনের ছয়তলায় ছেলের ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন। স্বামী মাহবুব ইসলাম ছিলেন তার ছায়াসঙ্গী। জীবনসায়াহ্নে এসেও তারা হাতে হাত রেখে কাটাচ্ছিলেন সাদামাটা, কিন্তু ভালোবাসায় পূর্ণ একটি সংসার। মাহবুব ইসলাম মালিবাগ বাজারে একটি ইলেকট্রনিকস পণ্যের দোকান চালাতেন, আর মায়া নিজের জীবনের সমস্ত অবসর দিয়ে আগলে রাখতেন নাতি বাসিত খান মুসাকে। ছেলে মুস্তাফিজুর রহমান ব্যবসার কাজে ব্যস্ত থাকতেন। সংসারের ভিতরকার যত্ন-আত্তির প্রায় সবটাই নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন মায়া। মুসার খাওয়ানো, গোসল করানো, ঘুম পাড়ানো থেকে শুরু করে স্কুলে নিয়ে যাওয়া কিংবা হোমওয়ার্ক করানো সবকিছুতে ছিল তার নিখুঁত নজরদারি ও মাতৃস্নেহের ছায়া। অনেক সময় দেখা যেত, মা-বাবা ‘না’ বললেও দাদি মায়ার কাছে গেলেই মুসার সব আবদার মেনে নেওয়া হতো। তাদের সম্পর্ক ছিল শুধু রক্তের নয়, ছিল হৃদয়ের গভীর এক টান, যেন এক আত্মার আরেকটি ছায়া। মায়া ইসলামই শেষবারের মতো ছোট্ট নাতির মুখে শোনা একটি নিষ্পাপ আবদার "দাদি, আইসক্রিম খাব" পূরণ করতে গিয়ে শহীদ হন। গোলাগুলির আতঙ্কে যখন কেউ নিচে নামতে সাহস করেনি, তখন তিনি ভরসা হয়ে ছেলেটিকে নিয়ে নেমেছিলেন। আর সেই চরম সাহসিকতাই হয়ে দাঁড়ায় তার জীবনের শেষ দৃশ্য। তিনি ছিলেন এমন এক মানুষ, যিনি নিজের জীবন দিয়ে ভালোবাসার সংজ্ঞাকে নতুন করে লিখে গেছেন। ছোট্ট এক আবদার পূরণে নিজের জীবন উৎসর্গ করে তিনি কেবল একজন দাদি নন, হয়ে উঠেছেন বাংলার প্রতিটি মায়াবতী নারীর প্রতীক যারা ভালোবাসেন নিঃশর্তে, লড়েন নির্ভীকভাবে, আর ত্যাগ করেন নিঃস্বার্থভাবে। মায়া ইসলাম যেন এক মমতার নাম, এক নীরব প্রতিবাদ, এক জীবনশিল্পীর শ্রদ্ধার্ঘ্য, যে শেষ নিঃশ্বাস অবধি ছিলেন পরিবারের প্রহরী, নাতির আশ্রয়, আর এক অসমাপ্ত গল্পের মাইলফলক। আন্দোলন ও শাহাদাতের প্রেক্ষাপট ঢাকার উত্তপ্ত জুলাই মাস। রোদে ঝলসে যাওয়া রাস্তাঘাটের ভেতরেও সেদিন মায়া ইসলামের মুখে ছিল কোমল হাসি। কারণ, তার আদরের নাতি বাসিত খান মুসা বারবার বলছিল, “দাদি, আইসক্রিম খেতে চাই!” সাত বছর বয়সী ছেলেটির এই নিরীহ আবদারকে অবহেলা করতে পারেননি তিনি। দেশজুড়ে তখন থমথমে পরিবেশ, ঢাকার রামপুরা-মেরাদিয়া এলাকায় চলছিল কোটা সংস্কার ঘিরে ছাত্র-জনতার আন্দোলন। কিন্তু ছয় তলার ফ্ল্যাট থেকে নেমে মায়া ইসলাম গেটের ভিতর দাঁড়িয়ে ছিলেন ভেবেছিলেন, বাইরে যাবেন না, ভেতরেই থাকবেন। তার সঙ্গে ছিলেন। ছোট্ট মুসাও। কিন্তু কে জানত, গেটের ভেতর দাঁড়িয়েও মৃত্যু এসে গোপনে ঘাপটি মেরে আছে? কে জানত, নাতিকে একটু ঠাণ্ডা স্বাদ দেওয়ার আশায় নামা এই দাদি হঠাৎ দেশের ইতিহাসে ‘শহীদ’ হয়ে যাবেন? একটি বুলেট ও দুটি জীবন ২০২৪ সালের ১৯ জুলাই, দুপুর গড়িয়ে বিকেল হতে শুরু করেছে। রামপুরার মেরাদিয়া হাট এলাকার আকাশ ভারী হয়ে উঠছিল এক অদৃশ্য আতঙ্কে। চারপাশে ছড়িয়ে পড়তে থাকে গোলাগুলির বিকট শব্দ। রাস্তায় উত্তেজনা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার সাথে পুলিশের মুখোমুখি সংঘর্ষে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি। সেই মুহূর্তে কেউ কল্পনাও করেনি, সামান্য এক আইসক্রিমের আবদার পূরণ করতে বাসা থেকে নামা একজন দাদি ও তার সাত বছরের নাতির জন্য এই বিকেলটা হয়ে উঠবে জীবনের সবচেয়ে রক্তাক্ত সময়। বেলা ঠিক ৩টা। মায়া ইসলাম ছয়তলার ভাড়া বাসা থেকে নাতি বাসিত খান মুসাকে নিয়ে নেমেছিলেন নিচে। বাসার মূল গেট বন্ধ থাকায় তারা ভেতরেই দাঁড়িয়েছিলেন। তখনও পরিস্থিতি ছিল উত্তেজনাপূর্ণ, কিন্তু খানিকটা শান্ত। মুসার চোখে মুখে ছিল উচ্ছ্বাস দাদি তাকে আইসক্রিম কিনে দিচ্ছেন! কিন্তু মুহূর্তেই সব পাল্টে যায়। হঠাৎ করেই ছুটে আসে একটি গুলি। গুলিটি যেন সময়কে চিরে, শান্ত দুপুরকে ছিন্নভিন্ন করে ভেদ করে দেয় ছোট্ট বাসিত খান মুসার মাথা। গুলিটি তার শরীর ভেদ করে পেছনে থাকা মায়া ইসলামের তলপেটে ঢুকে যায়। দুই প্রজন্ম, দুই প্রাণ, একই গুলির শিকার হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। চারপাশে তখন হাহাকার, চিৎকার আর আতঙ্ক। মুসার ছোট্ট শরীর নিস্তেজ হয়ে পড়ে থাকে রক্তের ভেতর, আর মায়া ইসলাম, যিনি সারা জীবন আগলে রেখেছিলেন এই ছেলেটিকে, তিনিও পড়ে আছেন ঠিক তার পেছনে একটি অভিভাবক আত্মার নিঃশেষ অবয়ব হয়ে। সেই মুহূর্তে যেন থেমে যায় সময়। নিথর পড়ে থাকা দাদি-নাতির উপর দিয়ে যেন বয়ে যায় শত সহস্র পরিবারের ভয়াবহ ভবিষ্যতের ছায়া। আর্তনাদে ভেসে যায় একটি ভবন, এক এলাকা, একটি পরিবার। রক্তে ডুবে যায় শুধু দুটি দেহ নয়, ডুবে যায় নিরীহ মাতৃত্বের সব স্বপ্ন, পারিবারিক ভালোবাসার সব আশ্রয়, এবং নিরপাপ শৈশবের এক নির্মল হাসি। এটা ছিল শুধুই একটি গুলি নয় এটা ছিল একটি জীবনদায়ী হাতের ছিন্নতা, একটি পরিবারকে গুঁড়িয়ে দেওয়ার শব্দ, এবং এক গভীর রাষ্ট্রীয় নিষ্ঠুরতার প্রমাণচিহ্ন। সেই গুলির শব্দ এখনও প্রতিধ্বনিত হয় মাহবুব ইসলামের নিঃসঙ্গ রাতে, মুসার বাবার নীরব কান্নায়, আর সিঙ্গাপুরের এক হাসপাতালের বিছানায় কষ্টে মোচড়ানো ছোট্ট শিশুর চোখে। এই একটি গুলি কেবল দুটি দেহকে বিদ্ধ করেনি, এটি বিদ্ধ করেছে শত শত পরিবারের হৃদয়। এটা ছিল সেই বাস্তবতা, যেখানে একটি শিশু আর তার দাদির ভালোবাসা থেমে যায় এক রাষ্ট্রীয় বর্বরতার মুখে। মুসার জীবন-মৃত্যুর লড়াই গুলির পরপরই মুসাকে নিয়ে তার বাবা ছোটেন হাসপাতালে। প্রথমে নেওয়া হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। দুদিন পর তাকে পাঠানো হয় ওয়ার্ডে। অবস্থা খারাপ হলে আবার আইসিইউতে, লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। মুসার চিকিৎসা চলে সিএমএইচ ও পরবর্তীতে তাকে পাঠানো হয় সিঙ্গাপুরে উন্নত চিকিৎসার জন্য। সেই সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মীরা থেমে থাকেনি। তাদের সহায়তায় সরকার ২২ অক্টোবর মুসাকে বিদেশে পাঠায়। এখন মুসা কিছুটা সুস্থ, তবে ভবিষ্যতের জন্য তার স্বাভাবিক জীবন ফিরবে কি না, কেউ জানে না। মায়া ইসলামের স্বামী মাহবুব ইসলাম বলেন, “আমার নাতি অলৌকিকভাবে বেঁচে আছে। ও-ই এই গণঅভ্যুত্থানের সবচেয়ে ছোট যোদ্ধা।” শোক ও বিচারপ্রক্রিয়া স্ত্রীকে হারিয়ে নিঃসঙ্গতার এক গভীর অন্ধকারে ডুবে আছেন মাহবুব ইসলাম। যিনি সারাটি জীবন কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সংসারের হাল ধরেছিলেন স্ত্রী মায়া ইসলামের সঙ্গে আজ তিনি নিঃস্ব, স্তব্ধ, শূন্য। চোখের সামনে ঘটে যাওয়া একটি নির্মম হত্যাকাণ্ড তাকে যেন হিম করে দিয়েছে। স্ত্রী শুধু তার জীবনসঙ্গীই ছিলেন না, ছিলেন ছেলের সন্তান মুসার মা-সম প্রাণ। সেই মানুষটিকে এক মুহূর্তে হারিয়ে ফেলে তিনি যেন দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। মাহবুব ইসলামের চারপাশে এখন আর পরিচিত ছায়াগুলো নেই। তার ছেলে মুস্তাফিজুর রহমান এবং পুত্রবধূ নিশামনি দিনরাত ব্যস্ত মুসার চিকিৎসা ও পুনরুদ্ধারের লড়াইয়ে। তারা আছেন সিঙ্গাপুরে একটি দেশের মধ্যেও যেন আরেকটি দূর দেশ। এই একাকীত্বের ভেতর মাহবুব ইসলাম দাঁড়িয়ে আছেন একটি ভেঙে পড়া সংসারের ধ্বংসস্তূপের সামনে। প্রতিটি রাত তার কাছে এক বোঝা যেখানে স্ত্রীকে হারানোর যন্ত্রণার পাশাপাশি আছে নাতির অনিশ্চিত ভবিষ্যতের ভয়। মায়া ইসলামের ছেলে মুস্তাফিজুর রহমান, যিনি একদিকে নিজের ছেলের প্রাণের জন্য হাসপাতালের করিডরে করিডরে ছোটেন, অন্যদিকে বুকের ভেতর লুকিয়ে রাখেন তার প্রিয় মা-কে হারানোর যন্ত্রণা। মুসাকে বাঁচানোর লড়াইয়ের মাঝেই তিনি মৃত্যুশয্যায় থাকা মাকে দেখতে পেরেছেন অ্যাম্বুলেন্সে, কিন্তু জানাজা কিংবা দাফনে অংশ নিতে পারেননি এটা তার হৃদয়ে গেঁথে থাকা এক আজীবনের ক্ষত। তিনি এখন শুধু এক বাবা নন, হয়ে উঠেছেন এক অভিভাবক, এক প্রাচীর ছেলের শারীরিক ও মানসিক পুনর্গঠনের এক নীরব যোদ্ধা। এই ভয়াবহ ঘটনার পর পরিবারটি আশাহত হলেও থেমে থাকেনি। সাহস সঞ্চয় করে ২০২৪ সালের ১ নভেম্বর খিলগাঁও থানায় মায়া ইসলাম হত্যার মামলা দায়ের করেন মুস্তাফিজুর রহমান। মামলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৮৭ জনকে আসামি করা হয়। তালিকায় আছেন তৎকালীন সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানসহ সরকার ও প্রশাসনের উচ্চ পর্যায়ের ব্যক্তিবর্গ। মাহবুব ইসলাম বলেন, "আমি বিচার চাই। আমার স্ত্রী শহীদ হয়েছেন, আমার নাতি মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছে। আমাদের পরিবারটা ভেঙে গেছে। এই বিচারপ্রক্রিয়া এখন শুধুই একটি মামলা নয়, এটি হয়ে উঠেছে হাজারো নিরীহ মানুষের একটি প্রতীকী দাবির প্রতিধ্বনি যেখানে জবাবদিহিতা চাওয়া হয় রাষ্ট্রের, এবং সুরক্ষা চাওয়া হয় প্রতিটি ঘরের মায়া, প্রতিটি নাতি মুসার জন্য। মায়া ইসলামের মৃত্যুর ঘটনায় মামলা হয় খিলগাঁও থানায় ১ নভেম্বর। সেখানে শেখ হাসিনাসহ ৮৭ জনকে আসামি করা হয়। তাদের মধ্যে আছেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ অনেকে। মায়ার পরিবার চায়, এই নির্মম হত্যার বিচার হোক। নইলে প্রতিটি আইসক্রিমে একটা গুলি লুকিয়ে থাকবে, প্রতিটি দাদির হাসিতে থাকবে মৃত্যুর ছায়া। প্রস্তাবনা ১. শহীদ মায়া ইসলামকে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি ও মর্যাদা প্রদান। ২. পরিবারকে নগদ অর্থ ক্ষতিপূরণ ও সহায়তা প্রদান। ৩. মুসার বিদেশে চিকিৎসার সম্পূর্ণ ব্যয় সরকারিভাবে বহন। ৪. পরিবারকে ঢাকায় একটি স্থায়ী সরকারি বাসা ও একজন সদস্যকে সরকারি চাকরির ব্যবস্থা। ৫. মুসার জন্য পূর্ণ শিক্ষাবৃত্তি ও মানসিক পুনর্বাসনের সহায়তা। ৬. আইনি লড়াইয়ের জন্য রাষ্ট্রীয়ভাবে আইনজীবী ও সহায়তা প্রদান। এই সহায়তাগুলো শুধু একটি শহীদ পরিবারের প্রতি দায়িত্ব নয়, বরং রাষ্ট্রের নৈতিক দায় ও মানবিক কর্তব্য। একনজরে শহীদ মায়া ইসলাম পুরো নাম : মায়া ইসলাম জন্মস্থান : মির্জাপুর, টাঙ্গাইল বয়স মৃত্যুকালে : ৫২ বছর বাসস্থান : মেরাদিয়া হাট, রামপুরা, ঢাকা (ছেলের বাসায়) স্বামী : মাহবুব ইসলাম (ব্যবসায়ী, মালিবাগ বাজারে ইলেকট্রনিক দোকান) সন্তান : ১ ছেলে (মুস্তাফিজুর রহমান), ১ মেয়ে নাতি : বাসিত খান মুসা (ইংলিশ ভার্সন নার্সারির ছাত্র, শহীদ বাবুল একাডেমি) শহীদ হওয়ার তারিখ : ১৯ জুলাই ২০২৪ শহীদ হওয়ার স্থান : মেরাদিয়া হাট, রামপুরা, ঢাকা মৃত্যুর কারণ : পুলিশের গুলিতে নিহত চিকিৎসা কেন্দ্র : ১. বনশ্রী হাসপাতাল ২. ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যু দাফনস্থল : গ্রামের বাড়ি, মির্জাপুর, টাঙ্গাইল

শহীদের তথ্য সম্বলিত ছবি

Image of মো: মায়া ইসলাম
Image of মো: মায়া ইসলাম

একই বিভাগ অন্যান্য শহীদদের তথ্য

মারুফ মিয়া

মো: ইরফান ভূঞা

মো: সিরাজুল বেপারী

মো: কবির

মো: মোহসীন

মো: রফিকুল ইসলাম চঞ্চল

মোঃ সিফাত হোসেন

মো: সাইফ আরাফাত শরীফ

আব্দুল গণি

বাবু মোল্লা

মো: আকাশ

মো: গণি মিয়া

শেয়ার করুন Facebook Logo Twitter Logo WhatsApp Logo