Image of মো: হৃদয়

নাম: মো: হৃদয়

জন্ম তারিখ: ১ মে, ২০০৪

শহীদ হওয়ার তারিখ: ৫ আগস্ট, ২০২৪

বিভাগ: ঢাকা

ব্যক্তিগত তথ্য:

পেশা : ছাত্র শাহাদতের স্থান :শরীফ জেনারেল হাসপাতালের গেটসংলগ্ন।

শহীদের জীবনী

জীবন, প্রতিবাদ, শাহাদত ও হারানোর বেদনা সামাজিক বৈষম্যের বিরুদ্ধে দাঁড়ানো এক তরুণের নাম মো: হৃদয়। যাকে আমরা চিনি না, তবে যার মৃত্যু আমাদের বিবেককে প্রশ্নবিদ্ধ করে। একটি স্বপ্ন, একটি পরিবার, একটি জীবন সবকিছুই গুম করে দেওয়া হয় শুধু একটি প্রতিবাদে অংশ নেওয়ার কারণে। এ গল্প হৃদয়ের, এ গল্প প্রতিরোধের, এ গল্প রাষ্ট্রের নির্মম বাস্তবতার। ২০২৪ সালের জুলাই আগস্ট। সারা দেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন যখন চূড়ান্ত রূপ নিচ্ছে, তখন এক তরুণ তার জীবন নিয়ে দাঁড়ায় রাস্তায়। নাম তার মো: হৃদয়। স্বপ্ন ছিল বড় হয়ে বাবা মায়ের অভাব দূর করা কিন্তু সেই স্বপ্ন খুনি হাসিনার পালিত পুলিশের গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে যায় ৫ আগস্ট গাজীপুরের কোনাবাড়িতে। সে শুধু মারা যায়নি, তাকে গুমও করা হয়েছে। আজও তার মা চোখে সেই দৃশ্য নিয়ে অপেক্ষায় থাকেন “আমার বাবাটারে একবার শুধু দেখি, এই চাওয়া।” শহীদ পরিচিতি মো: হৃদয় একটি নাম, যে নাম আজ শুধু স্মৃতিতে, অশ্রুতে, প্রতিবাদে উচ্চারিত হয়। গোপালপুর উপজেলার আলমনগর গ্রামের এক নিভৃত পল্লীতে ২০০৪ সালের ১ মে দরিদ্র ভ্যানচালক লাল মিয়া ও গৃহিণী রেহেনা বেগমের ঘরে জন্ম নেয় এই সন্তান। জন্মের সময় হয়তো কেউ ভাবেনি, একদিন এই ছেলেই দেশের এক অন্ধকার সময়ে নিজের রক্ত দিয়ে জ্বালাবে আলোর মশাল। তার পিতা লাল মিয়া, জীবনের প্রায় পুরোটা সময় কাটিয়েছেন ভ্যান চালিয়ে পরিবারের মুখে আহার জুগিয়ে। বয়সের ভার আর ক্লান্ত জীবনের ক্ষত তাঁকে আজ প্রায় অচল করে দিয়েছে। আর মা রেহেনা বেগম, একজন সাধারণ গৃহিণী হলেও হৃদয়ের চোখে ছিলেন লড়াকু বীর নারী যিনি সংসারের দুঃখ-দুর্দশার মধ্যেও ছেলেকে মানুষের মতো মানুষ করে তোলার স্বপ্ন দেখতেন। হৃদয় এসএসসি পাস করে ভর্তি হয় হেমনগর ডিগ্রি কলেজে, মানবিক বিভাগে। তাঁর স্বপ্ন ছিল লেখাপড়া শেষ করে সমাজে অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলা, বাবা-মায়ের কাঁধে হাত রেখে ভরসা দেওয়া। কিন্তু শুধু স্বপ্নে কি জীবন চলে? অভাব আর বাস্তবতার কঠিন চাপে বাধ্য হয়ে সে গাজীপুরে চলে যায়। চাচার সাহায্যে অটোরিকশা ক্রয় করে দিনে রিকশা চালিয়ে অর্থ জোগাড় করত, রাতে ক্লান্ত শরীরে বইয়ের পাতায় চোখ রাখত। পরিবারে দুই বোন বিবাহিত। তাদের সংসার আলাদা। এই একমাত্র ছেলেকে নিয়েই ছিল মা-বাবার সমস্ত আশার বাতিঘর। রেহেনা বেগম নিজের চোখে ছেলেকে আগলে রাখতেন, যেন এ দুঃসময়ে হারিয়ে না যায়। তিনি বলতেন, "হৃদয় শুধু আমার ছেলে না, সে আমার সাহস।" সেই সাহস আজ রক্তাক্ত, আর হৃদয়ের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায় শুধু কান্না আর লুঙ্গির ভেজা রক্তে। পারিবারিক অর্থনৈতিক বিবরণ “দারিদ্র‍্য মুচড়ে ধরেছিল আমাদের ঘর। ছেলেটা শুধু আমাদের সংসার টিকিয়ে রাখতেই গাজীপুর গিয়েছিল,” কথাগুলো বলছিলেন শহীদ হৃদয়ের মা রেহেনা বেগম, অশ্রুভেজা চোখে, কাঁপা কণ্ঠে। একমাত্র সন্তানের শোকে মুহ্যমান এই মায়ের কথাগুলো যেন হাজারো অসহায় মায়ের হৃদয় বিদীর্ণ করা আর্তনাদ। হৃদয়ের জন্ম হয়েছিল অভাবের ভেতর, বেড়ে উঠেছিল অনটনের ছায়ায়। তাদের পুরো পরিবার টিকে ছিল এক পিতার পরিশ্রম আর একজন মায়ের ত্যাগে। লাল মিয়া, হৃদয়ের বাবা, সারা জীবন ভ্যান চালিয়ে সংসারের চাকা টানতেন। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে শরীরটা আর সেইভাবে সাড়া দিচ্ছিল না। হাঁটাচলার শক্তিও নিঃশেষ প্রায়। মা রেহেনা বেগম গৃহিণী, সংসারের হাল ধরতেন যতটুকু পারতেন, কিন্তু আয় বলতে ছিল না কিছুই। তাদের বসতভিটায় ৪-৫ কাঠা জমি ছাড়া নেই আর কিছু। ফসলের জমি নেই, ব্যবসা নেই, নেই সরকারি সাহায্যের ছায়াও। ঘরের চালা ঝুঁকে পড়ে আছে, দেয়ালে টাঙানো ক্যালেন্ডারের পাতার মতোই প্রতিটি দিন বদলায় শুধু অভাবের হিসাব নিয়ে। এই ঘরেই বেড়ে উঠেছিল হৃদয়। এসএসসি পাস করে ভর্তি হয়েছিল হেমনগর ডিগ্রি কলেজের মানবিক বিভাগে। কিন্তু নিজের পড়াশোনা চালানো আর সংসারের খরচ বহন করাটা একসাথে হয়ে উঠছিল অসম্ভব। তাই হৃদয় গিয়েছিল গাজীপুর। সেখানে অটোরিকশা চালিয়ে উপার্জন করত। সকালে উঠে হাতে রিকশা, রাতে ঘরে ফিরে বইয়ের পাতা খুলে বসত। কত স্বপ্ন ছিল তার! শুধু নিজেকে গড়া নয় সে চেয়েছিল তার মা-বাবাকে একটা ভালো ঘর উপহার দিতে। চেয়েছিল তাদের মুখে হাসি ফোটাতে, দারিদ্র‍্য নামক অভিশাপ থেকে মুক্তি দিতে। হৃদয়ের মা বলেছিলেন, “সে বলত, মা, আমি শুধু লেখাপড়াই করবো না। তোমাকে আর আব্বাকে কষ্ট করতে দিব না। একটা দিন আসবে, যেদিন কেউ আমাদের দেখে বলবে এই ঘরটা একটা সাহসী ছেলের ঘর।” কিন্তু সেই সাহসী ছেলের জীবন থেমে গেল, গুলির শব্দে। তার কষ্ট, স্বপ্ন, সংগ্রাম সবকিছু এক মুহূর্তে থেমে গেল পুলিশের বুলেটে। আজও সেই ঘরে জ্বলছে না চুলা। মা রেহেনা বেগম এক হাতে ছেলের জামা চেপে ধরে কাঁদেন, অন্য হাতে চোখ মুছতে মুছতে আকাশের দিকে তাকিয়ে বলেন “আমার হৃদয়ের রক্তে কেউ হয়তো জিতেছে, কিন্তু আমি তো আমার পৃথিবীটাই হারালাম।” আন্দোলনে যোগদান ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি রক্তাক্ত, দ্রোহের দিন। সেদিন সারাদেশের রাজপথে ছাত্র-জনতা বিজয়ের আকাঙ্ক্ষা নিয়ে নেমেছিল। দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি, দুঃশাসন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমেছিল তারা। আন্দোলনের ঢেউ ছড়িয়ে পড়েছিল গাজীপুরেও। কোনাবাড়ি রোডে হাজারো মানুষের সঙ্গে হৃদয়ও দাঁড়িয়েছিল একসারিতে শান্ত, সাহসী, সংকল্পবদ্ধ। তার হাতে ছিল না কোনো লাঠি কিংবা অস্ত্র, ছিল না কোনো দলীয় পরিচয়পত্র কিংবা রাজনৈতিক প্রতীক। হৃদয়ের হাতে ছিল শুধু এক টুকরো স্বপ্ন, চোখে ছিল প্রতিবাদের দীপ্তি। একদিকে পুলিশের বর্ম, টিয়ারশেল, রাইফেল; অন্যদিকে এক যুবকের খালি বুক, যেখানে জমেছিল বহু দিনের অভিমান আর আশা। সেদিন সে একা ছিল না। পাশে ছিল তার সহযাত্রী ও ভগ্নিপতি ইব্রাহিম হোসেন। সেই বিভীষিকাময় মুহূর্তের স্মৃতি মনে করে ইব্রাহিম আজও কেঁপে ওঠেন। চোখে পানি ধরে বলেন “আমি আর হৃদয় একসাথে ছিলাম। গুলি শুরু হওয়ার পর আমরা দৌঁড়াতে থাকি। আমি পাশের একটা বাসায় ঢুকে গা ঢাকা দিই। তখনও ও পেছনে ছিল। হঠাৎ দেখি পুলিশরা ওকে ধরে ফেলে টানতে টানতে নিয়ে যাচ্ছে... আমি শুধু চেয়ে চেয়ে দেখেছি। ভয়ে কিছু বলতে পারিনি, করতে পারিনি। সেই চোখে দেখা দৃশ্যটা এখনো রাতের ঘুমে ছায়ার মতো ফিরে আসে।” গাজীপুরের রোডে সেই দিনের গুলির শব্দ শুধু একটি প্রতিবাদকে থামায়নি একটি ভবিষ্যৎকে থামিয়ে দিয়েছে। হৃদয়, যে নিজের পরিবারকে বাঁচাতে শহরে এসেছিল, সে নিজেই শহীদের কাতারে নাম লেখাল। তাকে কেউ চিনত না রাজনীতির কর্মী হিসেবে, কিন্তু সেই দিন সে হয়ে উঠেছিল জনগণের কণ্ঠস্বর, একটি নিরস্ত্র প্রতিরোধের প্রতীক। শহীদ হওয়ার ঘটনা ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট, বিকাল ৫টা ৩০ মিনিট। গাজীপুরের কোনাবাড়ি থানার সামনে, শরীফ জেনারেল হাসপাতালের গেটসংলগ্ন এলাকায় হঠাৎ শুরু হয় গুলির শব্দ। চারদিক তখন আতঙ্কে কাঁপছিল, রাস্তাজুড়ে মানুষ ছুটছিল প্রাণ বাঁচাতে। কেউ বাসার ভেতর ঢুকে পড়ছিল, কেউ দোকানের ঝাঁপ টেনে দিচ্ছিল। ঠিক সেই সময়, এক ভবনের পাশে কোণায় মাথা নিচু করে লুকিয়ে ছিল এক তরুণ হৃদয়। সে পালাতে চায়নি, চিৎকারও করেনি, শুধু বাঁচার মিনতি করেছিল। কিন্তু তা-ও শোনেনি পুলিশ। প্রত্যক্ষদর্শী রবিন মিয়া কাঁপা গলায় বলেন, “হৃদয় ভবনের পাশে লুকিয়ে ছিল। পুলিশ খুঁজে পায়। সে তখন দু’হাত জোড় করে মিনতি করছিল। কিন্তু তারা শোনেনি। বরং মারধর করে, কিল-ঘুষি মেরে চিৎ করে ফেলে দেয়। তারপর ১০-১২ জন পুলিশ মিলে ঘিরে রাখে, এক পুলিশ সামনাসামনি এসে গুলি চালায়। সে সঙ্গে সঙ্গেই পড়ে যায়।” এই ঘটনার একটি ভিডিও মুহূর্তেই ফেসবুকে ভাইরাল হয়। ভিডিওতে দেখা যায় এক তরুণ কাঁপতে কাঁপতে কিছু বলতে চাইছে, অথচ আশপাশ ঘিরে রাখা পুলিশরা নির্দয়ভাবে আঘাত করছে। একজন পুলিশ আচমকা গুলি চালায়। তরুণটির দেহ থরথর করে কেঁপে ওঠে, তারপর ঢলে পড়ে মাটিতে। তারপর সেই লাশকে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যায় কয়েকজন কোনো এম্বুলেন্স, কোনো উদ্ধার নয়, শুধু লুকিয়ে ফেলার তাড়া। পরিবার ভিডিও দেখে হৃদয়ের পরিচয় নিশ্চিত করে। কারণ ঘটনাস্থলেই পড়ে ছিল একটি রক্তাক্ত লুঙ্গি হৃদয়ের অটো চালানোর সময়কার পোশাক। কিন্তু সেদিন থেকে আজও হৃদয়ের দেহ মেলেনি। সে হারিয়ে গেছে রাষ্ট্রীয় বর্বরতার এক অন্ধকার খাতে। আলমনগর ইউনিয়নের সাবেক মেম্বার আব্দুল হামিদ বলেন, কোনাবাড়িতে আমার দোকান আছে। মিছিলের আগেই হৃদয় আমার দোকানের সামনে ছিল। সে সময় তার বোন জামাইও সঙ্গে ছিল। বোনের জামাই দূর থেকে দেখেছে কিভাবে হৃদয়কে গুলি করে মেরেছে পুলিশ। কিন্তু ভয়ে কেউ সামনে যাওয়ার সাহস পায়নি। এক মায়ের কান্না রাত গভীর হলেও হৃদয়ের মায়ের চোখে ঘুম নামে না। একটানা কাঁদতে কাঁদতে তিনি বলেন “আমার বাবাটারে ফিরায়া দাও। একটাবার দেখি ওরে।” তার বুকের ভিতর যে কান্না জমে আছে, তা কোনো ভাষায় বলা যায় না। হৃদয়ের বাবা লাল মিয়া যিনি এখন বয়সের ভারে ন্যুব্জ, কোনো কথা বলেন না। শুধু জানালার ধারে বসে থাকেন। চুপচাপ। চোখের কোণে জমা নীরব অশ্রু, বুকের মধ্যে অদৃশ্য গর্জন। হৃদয় যে স্বপ্ন দেখেছিল, পরিবারকে টেনে তুলবে দারিদ্র‍্য থেকে, সেই স্বপ্ন আজ তার রক্তে লেখা আছে। তবে সেই রক্ত কোথায় গেছে, তার হিসাব নেই কারও কাছে। অর্থনৈতিক প্রস্তাবনা ১. আবাসনের ব্যবস্থা: বসতভিটার উপর পাকা ঘর নির্মাণের জন্য সরকারিভাবে সহযোগিতা ২. মাসিক ভাতা: পরিবারকে অন্তত ১০,০০০ টাকা করে আজীবন মাসিক শহীদ ভাতা প্রদান ৩. ভাইবোনের শিক্ষাব্যবস্থা: হৃদয়ের দুই বোনের সন্তানের জন্য শিক্ষা সহায়তা ও বৃত্তির ব্যবস্থা ৪. বাবার চিকিৎসা ও জীবিকা:অসুস্থ পিতা লাল মিয়ার চিকিৎসা ও জীবিকার জন্য আর্থিক সহায়তা ৫. মায়ের জন্য পল্লী কর্মসংস্থান: মা রেহেনা বেগমের জন্য ক্ষুদ্র ব্যবসা বা সেলাই মেশিন সহায়তা ৬. লাশ উদ্ধার ও আইনি সহায়তা: হৃদয়ের লাশ উদ্ধারে সরকারি হস্তক্ষেপ এবং পরিবারকে আইনি সহায়তা ৭. নিরাপত্তা ও মনোবৈজ্ঞানিক সহায়তা: শহীদ পরিবারের সদস্যদেও এক নজরে শহীদ হৃদয়ের প্রোফাইল শহীদের পূর্ণ নাম : মো: হৃদয় জন্ম তারিখ : ০১/০৫/২০০৪ জন্মস্থান : গোপালপুর, টাঙ্গাইল পেশা : ছাত্র (সংসারের খরচ যোগাতে অটো রিকশা চালাতেন) প্রতিষ্ঠান : হেমনগর ডিগ্রী কলেজ, বর্ষ: ১ম, গ্রুপ: মানবিক স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানা : গ্রাম: আলমনগর , ইউনিয়ন: আলমনগর, থানা: গোপালপুর, জেলা: টাঙ্গাইল পিতার নাম : লাল মিয়া, পেশা: ভ্যান চালক, বয়স: ৬৫ মায়ের নাম : রেহেনা বেগম, পেশা: গৃহিণী, বয়স: ৬০ পরিবারের সদস্য : বাবা-মা, বোন : ২ জন (বিবাহিত) ঘটনার স্থান : কাশিমপুর রোডের শরীফ জেনারেল হাসপাতালের গেট সংলগ্ন, কোনাবাড়ী থানা, গাজীপুর আক্রমণকারী : পুলিশ আহত হওয়ার তারিখ : ০৫/০৮/২৪, সময়: বিকাল ৫.৩০ টা শহীদ হওয়ার তারিখ : ০৫/০৮/২৪, সময়: বিকাল ৫.৩৫ টা শহীদের কবরের বর্তমান অবস্থান : লাশ এখনো খুঁজে পাওয়া যায়নি

শহীদের তথ্য সম্বলিত ছবি

Image of মো: হৃদয়
Image of মো: হৃদয়
Image of মো: হৃদয়
Image of মো: হৃদয়

একই বিভাগ অন্যান্য শহীদদের তথ্য

মো: জুয়েল রানা

মো: রশীদ

রিয়া গোপ

রিয়াজুল ফরাজী

মোঃ সিফাত হোসেন

সজল মিয়া

শাখাওয়াত হোসেন শাহাদাত

মো: আব্দুল আহাদ

মো: মোহসীন

শাইখ আসহাবুল ইয়ামিন

দীপ্ত দে

মো: আবদুর হান্নান

শেয়ার করুন Facebook Logo Twitter Logo WhatsApp Logo